অতিরিক্ত গরমে সুস্থ থাকতে করণীয়

বর্তমানে বিশ্বব্যাপী উষ্ণতা বাড়ার কারণে পৃথিবীর প্রায় দেশে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে সুদীপ্ত অতিরিক্ত তাপমাত্রার ফলে কি কি সমস্যা হতে পারে এবং এই তাপমাত্রায় কিভাবে নিজেকে সুস্থ রাখা যায় সেই বিষয়ে বিস্তারিত এই আর্টিকেলে বর্ণনা করা হলো-

অতিরিক্ত গরমে সুস্থ থাকতে করণীয়


অতিরিক্ত গরমে কি কি সমস্যা হতে পারে 

অতিরিক্ত গরমে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে, যার মধ্যে রয়েছে:

1. পানিশূন্যতা:

এটি অতিরিক্ত গরমের সবচেয়ে সাধারণ সমস্যা।

লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে তৃষ্ণার্ত বোধ করা, মুখ শুষ্ক হওয়া, অল্প প্রস্রাব করা, মাথাব্যথা, মাথা ঘোরা এবং দুর্বলতা।গুরুতর ক্ষেত্রে, পানিশূন্যতা মৃত্যুর কারণ হতে পারে

2. তাপজনিত অসুস্থতা:

তাপজনিত অসুস্থতার মধ্যে রয়েছে হালকা তাপ অসুস্থতা, তাপ ক্লান্তি, তাপ স্ট্রোক এবং হিটশক।লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে মাথাব্যথা, মাথা ঘোরা, বমি বমি ভাব, বমি, পেশীতে টান, দ্রুত হৃদস্পন্দন এবং শ্বাসকষ্ট।তাপ স্ট্রোক একটি জরুরী অবস্থা যা দ্রুত চিকিৎসা না করা হলে মৃত্যুর কারণ হতে পারে।

3. ত্বকের সমস্যা:

অতিরিক্ত গরম ত্বকের সমস্যা, যেমন র‍্যাশ এবং পোড়া, সৃষ্টি করতে পারে।

4. শ্বাসকষ্টের সমস্যা:

গরমের কারণে শ্বাসকষ্টের সমস্যা, যেমন অ্যাজমা, আরও খারাপ হতে পারে।

5. হৃদরোগের সমস্যা:

গরমের কারণে হৃদরোগের সমস্যা, যেমন হৃদরোগ, আরও খারাপ হতে পারে।

6. মানসিক স্বাস্থ্যের সমস্যা:

গরমের কারণে মানসিক স্বাস্থ্যের সমস্যা, যেমন বিষণ্ণতা এবং উদ্বেগ, আরও খারাপ হতে পারে।

 প্রতিরোধ:

অতিরিক্ত গরমে সুস্থ থাকার জন্য, প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা, হালকা পোশাক পরা, নিয়মিত গোসল করা, বাইরে বের হওয়া এড়িয়ে চলা এবং স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া গুরুত্বপূর্ণ।

মনে রাখবেন: অতিরিক্ত গরম একটি গুরুতর সমস্যা হতে পারে। সচেতন থাকা এবং সাবধানতা অবলম্বন করা গুরুত্বপূর্ণ।

অতিরিক্ত গরমে সুস্থ থাকার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস:

হাইড্রেটেড থাকুন:

প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন, বিশেষ করে যখন বাইরে বের হন।ঠান্ডা পানি, ORS (ওরাল রিহাইড্রেশন সল্যুশন) বা তরমুজের রসের মতো তরল পান করুন।প্রস্রাবের রঙ পর্যবেক্ষণ করুন। হালকা হলুদ রঙ নির্দেশ করে যে আপনি পর্যাপ্ত পরিমাণে হাইড্রেটেড আছেন।

পোশাক:

হালকা রঙের, ঢিলেঢালা সুতির পোশাক পরুন।বাইরে বের হলে টুপি, ছাতা এবং সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন।

খাদ্য:

হালকা, সহজে হজমযোগ্য খাবার খান।তেলতেলে, মশলাযুক্ত এবং ভাজা খাবার এড়িয়ে চলুন।প্রচুর ফল ও শাকসবজি খান।

ক্রিয়াকলাপ:

দিনের সবচেয়ে গরম সময় (সকাল ১০টা থেকে দুপুর ৩টা) বাইরে বের হওয়া এড়িয়ে চলুন।ভারী পরিশ্রম এড়িয়ে চলুন।নিয়মিত ব্যায়াম করুন, তবে সাবধানে।

ঘর:

ঘর ঠান্ডা রাখতে জানালা বন্ধ রাখুন এবং পর্দা ব্যবহার করুন।প্যানখা, এয়ার কন্ডিশনার বা অন্যান্য শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা ব্যবহার করুন।ঘরে বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা রাখুন।

আরও জান:

এসি ছাড়া ঘরকে ঠান্ডা রাখার অভিনব কৌশল

অন্যান্য:

  • নিয়মিত গোসল করুন।
  • পর্যাপ্ত ঘুম পান করুন।

যাদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ :

শিশু ও বৃদ্ধ: শিশু ও বৃদ্ধরা গরমের প্রভাবের প্রতি বেশি সংবেদনশীল। তাদের নিয়মিত পানি পান করতে উৎসাহিত করুন এবং তাদের উপর নজর রাখুন।

গর্ভবতী নারী: গর্ভবতী নারীদের আরও বেশি পানি পান করতে হবে এবং গরমে অসুস্থ বোধ করলে দ্রুত চিকিৎসা সহায়তা নিতে হবে।

দীর্ঘস্থায়ী রোগী: যাদের হৃদরোগ, ডায়াবেটিস বা কিডনি রোগের মতো দীর্ঘস্থায়ী রোগ রয়েছে তাদের গরমের সময় বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।

মনে রাখবেন:

অতিরিক্ত গরমে সুস্থ থাকার জন্য সচেতন থাকা এবং সাবধানতা অবলম্বন করা গুরুত্বপূর্ণ। তারপরেও যদি অসুস্থ বোধ করেন তবে ডাক্তারের পরামর্শ নিন ।

এই টিপসগুলো ছাড়াও, আপনার এলাকার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের নির্দেশাবলী অনুসরণ করা উচিত।

আরো বেশি তথ্যের জন্য :

https://www.cdc.gov/extreme-heat/about/index.html

https://www.who.int/

https://en.wikipedia.org/wiki/Global_surface_temperature


Post a Comment

Previous Next