জরায়ুর টিকা দেওয়ার নিয়ম
প্রথম ডোজ:
- টিকা দেওয়ার আগে রোগীর পরিচয় নিশ্চিত করুন।
- রোগীর বয়স ১০ থেকে ১৪ বছরের মধ্যে কিনা তা নিশ্চিত করুন।
- রোগীর কোনও গুরুতর অসুস্থতা আছে কিনা তা নিশ্চিত করুন।
- রোগীকে টিকা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দিন।
- রোগীর সম্মতি নিন।
টিকা প্রদান
- রোগীকে একটি আরামদায়ক অবস্থানে বসান।
- টিকা দেওয়ার স্থানটি ভালো করে পরিষ্কার করুন।
- টিকা প্রদানের স্থানে টিকা দেওয়ার জন্য সঠিক স্থান চিহ্নিত করুন।
- টিকা প্রদানের স্থানে একটি ছোট্ট ইনজেকশন দিন।
- টিকা প্রদানের পর ইনজেকশন দেওয়া স্থানে একটি মলম লাগান।
দ্বিতীয় ডোজ:
- প্রথম ডোজ দেওয়ার ছয় মাস পর দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়।
- প্রথম ডোজের মতোই দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার নিয়ম।
- টিকা দেওয়ার পরের বিষয়গুলো
- টিকা দেওয়ার পর রোগীকে কিছুক্ষণ পর্যবেক্ষণে রাখুন।
- টিকা দেওয়ার পর যদি কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়, তাহলে তা যথাযথ চিকিৎসা নিন।
টিকা দেওয়ার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
জরায়ুর টিকা দেওয়ার পর সাধারণত কোনও গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায় না। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে নিম্নলিখিত পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যেতে পারে:
- ইনজেকশন দেওয়ার স্থানে ব্যথা, লালভাব, ফোলাভাব
- মাথাব্যথা
- বমি বমি ভাব
- ক্লান্তি
এই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলো সাধারণত হালকা এবং স্বল্পস্থায়ী হয়। কিছুদিনের মধ্যেই এই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলো সেরে যায়।
জরায়ু মুখের ক্যান্সারের টিকার দাম কত
বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি (ইপিআই)র আওতায় জরায়ু মুখের ক্যান্সারের টিকা বিনামূল্যে দেওয়া হয়।
বেসরকারিভাবে এই টিকার দাম সাধারণত ২০০ থেকে ৪০০ টাকা প্রতি ডোজ। তবে নির্দিষ্ট দাম নির্ভর করে টিকার ধরন, ব্র্যান্ড এবং বিক্রেতার উপর।
বর্তমানে বাংলাদেশে বাজারে দুটি ধরনের জরায়ু মুখের ক্যান্সারের টিকা পাওয়া যায়। একটি হলো "সারভারিক্স" এবং অন্যটি হলো "গার্ডাসিল"।
"সারভারিক্স" টিকার প্রতি ডোজের দাম সাধারণত ২০০ থেকে ২৫০ টাকা। "গার্ডাসিল" টিকার প্রতি ডোজের দাম সাধারণত ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা।
আপনি যদি বেসরকারিভাবে এই টিকা নিতে চান, তাহলে আপনার স্থানীয় বেসরকারি হাসপাতাল বা ক্লিনিকে যোগাযোগ করতে পারেন।
প্রয়োজনে আরও জানুন:
টিকাদান কর্মসূচি
এই কর্মসূচির আওতায় ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সী সব মেয়েকে এই টিকা দেওয়া হবে। এই টিকা দুটি ডোজ দেওয়া হয়। প্রথম ডোজ দেওয়ার ছয় মাস পর দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়।
এই টিকাদান কর্মসূচির মাধ্যমে জরায়ু মুখের ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সরকারের একটি বড় উদ্যোগ।