রমজানে ডায়াবেটিস রোগীরা কিভাবে ব্যায়াম করবে? বিস্তারিত জেনে নিন-
রমজানে ডায়াবেটিস রোগীরা যেসব ব্যায়াম করবেন |
রমজানে ডায়াবেটিস রোগীদের ব্যায়াম ও খাদ্য গ্রহনের সময় সূচি কিছুটা পরিবর্তন হয়ে যায়। ডায়াবেটিস রোগীর ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণের একটি অন্যতম মাধ্যম হলো ব্যায়াম। প্রায় ডায়াবেটিস রোগীরাই জানতে চান যে রমজান মাসে কোন সময়টা ব্যায়ামের জন্য ভালো।এছাড়াও রমজানে ডায়াবেটিস রোগীকে খাবার গ্রহনের দিকেও লক্ষ্য রাখতে হয়। রোজার সময় যেহেতু অনেক লম্বা সময় আমাদের না খেয়ে থাকতে হয় তাই ডায়াবেটিস রোগীদের ব্লাড সুগার কমে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই যারা ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত তাদের কিছু নিয়ম ও সঠিক সময় মেনে রমজানে শরীর চর্চা করতে হবে। কায়িক শ্রম বা ব্যায়াম ও সঠিক খাদ্য অভ্যাসের মাধ্যমে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব।
রমজানে ডায়াবেটিস রোগীরা কিভাবে শরীর চর্চা বা ব্যায়াম করবেন ?
রমজানে অনেকেই আছেন যারা তারাবির নামাজ নিয়মিত মসজিদে গিয়ে আদায় করেন। তাদের ক্ষেত্রে বলা যায়, মসজিদে যাওয়ার সময় যদি কেউ 15 থেকে 20 মিনিট হেঁটে নামাজ পড়তে যায় তাহলে অতিরিক্ত আর কোন ব্যায়াম এর প্রয়োজন হয়না । মূলত রমজান মাসে ডায়াবেটিস রোগীরা নিয়মিত 15 থেকে 20 মিনিট করে হাঁটাহাঁটি করলে যথেষ্ট ।
- বাসায় ট্রেডমিল,সাইক্লিং মেশিনের দ্বারা ব্যায়াম করুন ধীরে ধীরে ব্যায়াম করুন।
রমজানে কোন সময়টা ব্যায়ামের জন্য ভালো ?
রমজান মাসে রোজা রাখা অবস্থায় কোনো প্রকার ভারী ব্যায়াম করা যাবে না। কারন এতে শরীর দুর্বল হতে পারে। প্রতিটি মানুষই তার নিজের শারীরিক ক্ষমতা সম্পর্কে জানে, তাই রোজা রাখা অবস্থায় কোনো ভাবেই নিজের শরীরিক ক্ষমতার চেয়ে বেশি পরিশ্রম করা থেকে বিরত থাকতে হবে। রমজানে ডায়াবেটিস রোগীদের শরীর চর্চার সবচেয়ে ভালো সময় হলো ইফতারে দুই ঘন্টা পর এবং সেহেরিতে। এছাড়াও সকালেও হালকা কিছু শারীরিক ব্যায়াম করা যেতে পারে।
রমজানে ডায়াবেটিস রোগীরা কি কি নিয়ম মেনে ব্যায়াম করবেন ?
- কতটুকু ব্যায়াম করলে ব্লাড সুগারের মাত্রা বেড়ে যাবে না সেক্ষেত্রে নিজের শারীরিক ক্ষমতা অনুযায়ী ব্যায়াম করতে হবে।
- রোজা রাখা অবস্থায় যদি চোখে ঝাপসা দেখা, মাথা ঘুরানো, বমি-বমি ভাব, শরীরে অতিরিক্ত ঘাম হয় তাহলে যত দ্রুত সম্ভব সুগারের মাত্রা পরিমাপ করতে হবে।
- যদি ডায়াবেটিস রোগীর সুগারের মাত্রা ৩.৯ মিলি মোলের কম এবং ১৬.৬ মিলি মোলের বেশি হয়ে থাকে তাহলে রোজা না রাখাই ভালো।
- ডায়াবেটিস রোগীরা বিকেলে বিশ্রাম নিতে পারেন
মন্তব্য
অনেকেই
আছেন যারা শারীরে অতিরিক্ত
প্রেসার বা লোড নিয়ে
ব্যায়াম করেন তাদের ক্ষেত্রে
বলা যায়, কোনো মানুষের
তার শরীরের ক্ষমতার বাইরে গিয়ে কোনো অতিরিক্ত পরিশ্রম
করা সঠিক নয়। এ
ক্ষেত্রে শরীরের অবস্থা ভালো তো হবেই
বা বরং খারাপ হতে
থাকবে। আর ডায়াবেটিস রোগীদের
ক্ষেত্রে সেটা আরও জটিল
হয়।এজন্যই রমজানে সুস্থ থাকতে সঠিক পদ্ধতিতে ব্যায়াম
করুন। এছাড়াও সবসময় রেজিস্ট্রার্ড ডাক্তারের চিকিৎসা ও পরামর্শ
নিন।