শিশু তথা বাচ্চার পায়খানা শক্ত হওয়ার কারণ ও করণীয় কি? বিস্তারিত
আজকের লেখাটি আমরা শিশু তথা বাচ্চার পায়খানা শক্ত হওয়ার কারণ ও করণীয় কি? সেই সম্পর্কে আলোকপাত করেছি। কেননা অনেকেই এই বিষয়ে নানান প্রশ্ন করে থাকেন। যেমন- কি খেলে বাচ্চাদের পায়খানা নরম হবে? ছোট বাচ্চাদের পায়খানা না হলে করণীয় কী? নবজাতক শিশুর পায়খানা না হলে করণীয় কি? ত মাসের বাচ্চার পায়খানা না হলে করণীয় কি? ইত্যাদি। তাই এই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে লেখাটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
সাধারণত বড়দের তুলনায় ছোট শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকায় ছোটরা বিভিন্ন রোগে বেশি ভোগে। এর ভিতর বাচ্চাদের খুবই পরিচিত সমস্যা পায়খানা শক্ত হওয়া। পায়খানা শক্ত হওয়ায় ফলে শিশুর কোষ্ঠকাঠিন্য হয়ে যায় অনেক সময়। বাচ্চাদের সবসময় এই সমস্যা হলেও শিশু যখন নিজে পায়খানা করে তখন এইসমস্যা বেশি দেখা দেয়। বিশেষ করে দুই থেকে তিন বছর বয়ষের শিশুদের ভিতর এই ধরনের সমস্য বেশি হয়ে থাকে ।
কিন্তু বর্তমান সময়ে সব বয়সের শিশুদের ভিতর এই সমস্যাদেখা দিচ্ছে। তবে অনেকেই অনেক সময় মনে করে বাচ্চাদের পায়খানা শক্ত হলেই বাচ্চা কোষ্টকাঠিন্য ভোগে।এমনটা কিন্তু নয়। যদি শিশু সপ্তাহে তিনবারের চেয়ে কম মলত্যাগ করে থাকে, মল যদি শক্ত বা মোটা হয়ে বের হয়, মলের সাথে কখনো কখনো রক্ত বের হয় তখন এটাকে কোষ্ঠকাঠিন্য হিসেবে ধরা হয়। তাছাড়া বেশ কিছু লক্ষণ ও দেখায় যায়।যেমন মলত্যাগ করতে গেলে ব্যথা করা , পায়খানায় যেতে অনীহা, খাবারে প্রতি চাহিদা বা রুচি কমে যাওয়া, বমি বমি ভাব হওয়া ও পেটব্যথা করা ।আর বয়সের তুলনা করলে এক বছর বা এক বছরের বেশি বয়সের শিশুদের যদি মাঝে মধ্যে প্যান্টে মল লেগে থাকে তাহলে বুঝতে হবে শিশুর কোষ্ঠকাঠিন্য হয়েছে।
তবে শিশুর চেহারা বা জিব্বা লক্ষ করলেও কোষ্ঠকাঠিন্য থাকলে বোঝা যায়। আরো কিছু লক্ষন রয়েছে যেমন-
- শিশুর চেহারা অস্বাভাবিক
- নাভিতে হার্নিয়া
- ঠিক বয়সে৷ হাটাচলা না করা,বসতে না পারা
- দেহের স্বাভাবিক বৃদ্ধি না হওয়া
- খাওয়ার রুচি না থাকা
- প্রতিদিন নিয়মিত পায়খানা বা মলত্যাগ না করা ।
- পেট ফুলে থাকা বা শক্ত হওয়া
- মলত্যাগ করার সময় পেট ব্যথা ও কান্নাকাটি করা
- পায়খানা খুব শক্ত হওয়া এবং পায়খানার সাথে রক্ত যেতে পারে ।
- বমি বমি ভাব থাকা অথবা বমি হওয়া
বাচ্চাদের পায়খানা শক্ত হওয়ার কারন কি?
বাচ্চাদের পায়খানা শক্ত হওয়ার কারণগুলো মধ্যে প্রথম ও প্রধান কারন হলো বাচ্চাদের সঠিক খাদ্যাভ্যাস গড়ে না তোলা।বাচ্চাদের আঁশআঁ জাতীয় খাবার না খাওয়ানো, পর্যা প্তর্যা পরিমাদে মৌসুমি খাবার, সবজি, টাটকা ফল না খাওয়া, পর্যা প্তর্যা পরিমাণে পানি অথবা তরল খাবার না খাওয়ানো, বাচ্চাকে সঠিক পদ্ধতিতে পায়খানা করা না শেখানো। তাছাড়া অতিরিক্ত মানসিক চাপ। এখন বলতে পারেন বাচ্ছাদের আবার মানসিক চাপ কি.?
বাচ্চাদের ওপর ও মানসিক চাপ পড়তে পারে। যেমন ধরেন বাচ্ছাকে নতুন পরিবেশে নিলে মানসিক চাপ হতে পারে, পরিবারে নতুন কোন শিশুর আগমন ঘটলে মানসিক চাপ হতে পারে, প্রথম স্কুলে ভর্তি করার কারণে মানসিক চাপ হতে পারে, হরমোনের বিভিন্ন সমস্যা বা জন্মগত ভাবে কোন রোগের কারণেও এই সমস্যা সমস্যা হতে পারে।
বাচ্চাদের পায়খানা শক্ত হলে য্যে সকল জটিলতার সৃষ্টিসৃ হতে পারে-
বাচ্চাদের পায়খানা শক্ত হওয়ার ফলে মলদ্বার ফেটে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে, এমনকি ক্ষত হয়ে ক্ষত স্থানে চুলকানি হতে পারে, অনেক দিন নিয়মিত ভাবে পায়খানা না হওয়ার ফলে মলত্যাগের স্বাভাবিক যে প্রক্রিয়া তা অকার্যকরর্য হয়ে অন্ত্রের ভিতর জটিল রোগ সৃষ্টিসৃ হতে পারে। অনেকদিন যাবত ক্ষুধামান্দ্য থাকলে শরীরে পর্যা প্তর্যা পরিমাণে পুষ্টির অভাব থেকে যাবে, শিশুদের ওজন বৃদ্ধিবৃ তে বাধা পড়ে ,এমনকি এতে করে বাচ্চাদের মানসিক বৃদ্ধিবৃ ও ব্যহত করে।
বাচ্চাদের পায়খানা শক্ত হলে করণীয় কি ?
মায়ের খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তনর্ত :
শিশুরা সাধারণত মায়ের বুকের দুধের উপর নির্ভরর্ভ শীল হয়ে থাকে, এমন অবস্থায় অবশ্যই মায়ের খাবারের পরিবর্তনর্ত করতে হবে।
মায়ের
খাবারে বেশি পরিমাণে শাক
-সবজি, ফলমূল , তরল খাবার,তেল
মসলা কম জাতীয় খাবার
রাখতে হবে । মাংস
বা মাংস জাতীয় খাবার
এড়িয়ে চলতে হবে ।
বাইরের বিভিন্ন ধরনের ফাস্টফুড যেগুলো মুখরোচক কিন্তু অতিরিক্ত তেল মসলা দেওয়া
থাকে। এই খাবারগুলো ত্যাগ
করতে হবে।
বাচ্চাকে ফর্মুলা র্দুধ কম খাওয়ানো:
বাচ্চাকে যদি আপনি ফর্মুলা র্মু দুধ দিয়ে থাকেন তাহলে আপনার বাচ্চার পায়খানা শক্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।ফর্মুলা র্দুধ খাওয়ানোর ফলে বাচ্চার সঠিক ভাবে হজম হয় না যার ফলে বাচ্চার পায়খানা শক্ত হয়ে যায়। এক্ষেত্রে বাচ্চাকে ফর্মুলা র্মু দুধ খাওয়ানো থেকে বিরত থাকতে হবে।তবে সে সকল বাচ্চা মায়ের দুধ পায় না বা কোন কারনে খেতে পারেনা তাদেরকে ফর্মুলা র্দুধ খাওয়ানো একবেরে বন্ধ না করে পরিবর্তনর্ত করে দেয়া যেতে পারে।
যেয়েতু
ইসুপগুলের ভুষি পায়খানা নরম
করতে সাহায্য করে তাই যে
সকল বাচ্চার বয়স ৬ মাসের
বেশি ওইসব বাচ্চাদের রাতে
খাওয়ার পর বা খাবার
সময় গরম দুধের সাথে
ইসুপগুলের ভুষি মিশিয়ে দিয়ে
খাওয়াতে পারেন। এতে শিশুর মলত্যাগ
করতে সহজ হবে। তবে
৬ মাস এর কম
বয়সী শিশুদের জন্য শুধুমায়ের বুকের
দুধ একমাত্র খাদ্য।তাই এদের ক্ষেত্রে অবশ্যই
ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করা উচিত।
আঁশআঁ জাতীয় খাবার খাওয়ানো :
ছয় মাস পূর্ন হওর্ন য়ার সাথে সাথে বাচ্চাদের দুধের পাশাপাশি অন্যান্য খাবার দেয়া যায়।সেই খাবার দেয়ার পাশাপাশি খেয়াল রাখতে হবে যেন শিশুদের খাদ্যতালিকায় প্রতিদিন আঁশআঁ জাতীয় খাবার রাখার চেষ্টা করুন ।আঁশআঁ হলো খাবারের এমন অংশ, যা শরীরের খাদ্য গ্রহণের পরে যে অবশিষ্ট খাবার হিসেবে জমা হয়ে মল তৈরি করে। আঁশআঁ জাতীয় খাদ্যের আশঁ অংশটুকু যা হজম না হওয়ার জন্য এগুলো পরিপাকতন্ত্রের বেশ কিছু জলীয় অংশকে শোষণের মাধ্যমে ধরে রাখে ও এই জলীয় অংশসহ এগুলোকে মলের সাথে বেরকরে আনে। এতে করে মল নরম হয়। ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য হওয়ার বা পায়খানা শক্ত হওয়ার কোন সম্ভাবনা থাকে। এক কথা প্রতিরোধ ও বলা যেতে পারে।আশঁ জাতীয় খাবার যেমন- শাক-কচুশাক,কলমিশাক,ডাটাশাক, মিষ্টি আলুর শাক, পুদিনা পাতা, পুঁইপুঁ শাক, মুলাশাক, লাউয়ের এবং মিষ্টি কুমড়া ইত্যাদি।
পেট ম্যাসাজ:
অনেকেই ভাবতে পারে কোন ব্যায়াম বা কোন ধরনের ম্যাসাজ বাচ্চাদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।র্ণএমনটা কিন্তু নয়।অনেক ধরনের ম্যাসাজ রয়েছে যেগুলো শিশুর জন্য অনেক উপকারি।শিশুর শরীর ও সুস্থতায় অনেক বেসি ভূমিকা পালন করে।তেমনি একটি ম্যাসাজ যা বাচ্ছাদের গ্যাস কমাতে সাহায্যে করে এমনকি পেটে ব্যাথা কমাতে সাহায্যে করে। বাচ্চার পেটে আলতোভাবে ম্যাসাজ করে দিতে পারেন। যেমন - আঙ্গুল দিয়ে ঘড়ির কাঁটা কাঁ র মত প্যাটার্নে পের্নে টের উপর হাত দিয়ে ঘুরাতে থাকুন। শিশুর দু’টি পা একসাথে ঘরে নিয়ে পেটের দিকে আস্তে আস্তে চাপ বা ঠেলে দিন। এতে করে পায়খানা শক্ত হওয়ার ফলে হওয়া পেটে ব্যাথা ও গ্যাসের জন্য পায়খানা শক্ত হলে তা নিরাময় হবে।
বেশি বেশি পানি পানের অভ্যাস:
পানির অপর নাম জীবন। আর আমাদের শরিরের প্রায় ৬০% পানি। এতে বোঝা যায় পানি আমাদের শরীরের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ। পানি খাবার হজম করতে সহায়তা করে থাকে। বেশি বেশি পানি পান করলে মলাশয় পরিষ্কার থাকে এবং শরীর নতুন ভাবে খাবার থেকেঅহজেই পুষ্টি গ্রহণ করতে পারে। প্রতিদিন শিশুকে অবশ্যই বেশি করে পানি পান করাতে হবে।অনেক সময় দেখা যায় শিশু পানি খেতে চায়না সেক্ষেত্রে পানি খেতে না চাইলে তাদের বিভিন্ন শরবত, তাজা তাজা ফলের জুসজু অথবা স্যুপ বা তরল জাতীয় খাওয়ানো যেতে পারে।
ফলের রস :
ফলের রস পায়খানা নরম করতে সাহায্য করে ফলে কোষ্টকাঠিন্য দূরদূ হয়। শিশুর বয়স ৬ মাস হলে যেহেতু তাকে বাড়তি খাবার দেয়া যাই তাই তাকে অল্প অল্প পরিমাণে ফলের জুসজু করে দিতে পারেন।তবে খেয়াল রাখতে হবে বাজারের কেনা কোন ধরনের ফলের জুসজু নয়, ঘরের তৈরি করা একদম ফ্রেশ ফলের জুসজু করে দিন।
কেননা বাজারের কেনা জুসেজু বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয় যা বাচ্চাদের জন্য খুবই মারাত্মক। তাই সময়ে সল্পতায় বা অন্য কোন অজুহা জু তে বাচ্চাদের বাজারের কেনা জুসজু দেয়া থেকে বিরত থাকুন। বিভিন্ন ধরনের ফল যেমন -ফল কিনে ভালো করে ধুয়ে জুসজু তৈরি করে খাওয়ান।
নিয়মিত মলত্যাগের অভ্যাস গোড়ে তোলা :
বাচ্চাদের নিয়মিত মলত্যাগ এর অভ্যাস গড়ে তুলার চেষ্টা করুন। যখন বাচ্চা আপনার কথার রেসপন্স করা শিখে যাবে তখন থেকে সে আপনার কথা বুঝতে শিখবে, সেই সময় থেকেই বাচ্চাদের মলত্যাগ করার অবভ্যাস করে ফেলুন। বাচ্চা পটে বসতে না চাইলে বাচ্ছাকে বকাবকি না করে বাচ্চাকে বোঝানোর চেষ্টা করুন।
বিভিন্ন ভাবে খেলাধুলার মাঝে পটে বসার অভ্যাস করুন বা পুরস্কার দেওয়ার মাধ্যমে ও তাকে উৎসাহিত করতে পারেন। আপনার বাচ্চা যদি কোনো নির্দিষ্ট একটি বাথরুমে যেতে চায় বা পছন্দ করে, তবে রাগারাগি না করে তাকে সেই সুযোগ করে দিন।
বাইরের খাবার ও মাংস জাতীয় খাবার পরিমানের বেশি না দেওয়া :
বাচ্চা যেন অতিরিক্ত জাঙ্ক ফুড ও মাংস জাতীয় খাবার পছন্দ করে বা খাওয়াতে অভ্যস্ত হয়ে না হয়ে যায় সেদিকে অবশ্যই লক্ষ্য রাখুন। বাচ্চাদের কোষ্ঠকাঠিন্য বা পায়খানা শক্ত হওয়ার অন্যতম একটি কারণ বলতে পারেন জাঙ্ক ফুড।বিফ, কলিজা, মাটন এইসব পরিমিত পরিমাণে খাওয়াতে হবে, তাছাড়া ঠিকমতো হজম হয় কিনা সেদিকে ও খেয়াল রাখবেন। যদি দেখেন হজমে সমস্যা হচ্ছে তাহলে আপনার বাচ্চাকে পেঁপেপেঁ র পিউরি ও পাকা কলাসহ সহজপাচ্য খাবার যেগুলো সহজে হজম হয় সেই খাবারগুলো খেতে দিন
আরও পড়ুন:
বাচ্চাদের দ্রুত ঘুম পাড়ানোর উপায়
শিশু তথা বাচ্চারা খেতে না চাইলে করনীয় ?
দুধের উপর নির্ভশীলতা কমিয়ে আনা:
বাচ্চারা সাধারণত দুধ খেতে পছন্দ করে।অনেক বাচ্চায় দেখবেন দুধ খাওয়ার কারনে অন্য খাবার তেম্ন খেতে চায় না বা পছন্দ করে না। খেয়াল রাখতে হবে যেন এক বছরের বেশী বয়স হলে বাচ্চাকে প্রতিদিন আধা লিটার থেকে পৌনে এক লিটার দুধ এর বেশি দুধ খেতে দেয়া কোন ভাবেই ঠিক না।
কেননা
দুধে এতো পুষ্টিগুন রয়েছে
যার কারনে দুধকে একটি আদর্শবার্শ ন
খাদ্য বলা হয়। বেশি
দুধ খেলে বাচ্চাদের অন্য
কোন ধরনের খাবারের প্রতি চাহিদা কমে যায় ফলে
খেতে চায়না অন্য সব খাবার।
এতে করে বাচ্চাদের পায়খানা
শক্ত হতে পারে এমনকি
বাচ্চারর কোষ্ঠকাঠিন্য ও হতে পারে।তাই
বাচ্চাকে অবশ্যই পরিমিত পরিমাণে দুধ খাওয়ান সাথে
অন্য সব ধরনের খাবার
বিশেষ করে আশঁ জাতীয়
যে সকল খাবার আছে
সেইগুলো খাওয়াতে উৎসাহিত করুন।
বাচ্চার পায়খানা শক্ত শিশুর শারীরিক কার্যক্রম কি?
বাচ্চার কোষ্ঠকাঠিন্য রোধে তাদের প্রতিদিন খেলাধুলা করার ব্যবস্থা করেদিন।বাচ্চা হাত পা নাড়াচাড়া করে খেলাধুলা করছে কিনা সেদিকে খেয়াল রাখুন।
বাচ্চা যদি সারাদিন শুয়ে বসে থাকে তাহলে বাচ্চার নড়াচড়া বেশি হবে না। প্রতিদিন কম করে হলেও ১ ঘন্টা বাচ্চাকে শারীরিক কার্যক্রর্যম করান তা না হলে বাচ্চার অন্ত্রে নড়াচড়া স্বাভাবিক হবে না। এই বিষয়ে অবশ্যই খেয়াল রাখুন।
ঔষধের দিকে খেয়াল রাখবেন কেন?
সাধারনত জ্বর, সর্দি, কাশি ইইত্যাদি যেকোনো ধরনের রোগের জন্য বাচ্চাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে ডাক্তারের পরামর্শ অর্শ নুযায়ী ঔষধ খাওয়ান। তাহলে এক্ষেত্রে কেন নয়..? কিছু ওষুধ আছে যেগুলো খাওয়ালে বাচ্চার পায়খানা শক্ত হয়ে যায় এই ওষুধ গুলোর দিকে লক্ষ রাখবেন। যদি মনে করেন কোষ্ঠকাঠিন্য হচ্ছে তাহলে অবশ্যই ওষুধ বন্ধ করুন এবং ডাক্তারের পরামর্শ নির্শ ন।
তা না হলে ডাক্তারের থেকে এমন ওষুধ নিন যাতে কোষ্ঠকাঠিন্য না হয়। কোষ্ঠকাঠিন্য রোধ করতে কিছু উপাদানবাচ্চার জন্য রাতের খাবার পর পর ইসুপগুলের ভূষি গরম গরম দুধে মিশিয়ে খাওয়াবেন, বা শিশুকে খেজুরজু ও খাওয়াতে পারেন। খেজুরেজু পাওয়া যায় এমন সব পুষ্টি গুন যা খেলে খাদ্য পরিপাকে সাহায্য করে থাকে।
কুসুম গরম পানিতে গোসল :
কুসুম
গরম পানিতে গোসল শিশুর জন্য অনেক উপকারী। এতে আপনার বাচ্চা অনেক স্বস্তি পাবে। ঠান্ডা পানির কেশ কাঠিয়ে শিশুর গোসল করা রীতিটি অনেক পুরাতন। অনেক আগেই থেকেই এই রীতি আমাদের দেশে চালু রয়েছে।
কেননা বাচ্চার
পায়খানা শক্ত হলে এসময়
বাচ্চাকে কুসুম গরম পানি দিয়ে
গোসল করাতে পারেন। এতে করে পেটের
পেশিগুলো রিলাক্স হবে ও পরিপাক
ক্রিয়া স্বাভাবিক করবে। তাছাড়া এটি বাচ্চাকে কিছুটা
হলেও স্বস্তি দিতে পারবে।
নবজাতকের পায়খানা না হলে করনীয় :
কোষ্ঠকাঠিন্য সম্পর্কে কিছু কমন প্রশ্ন
উত্তর: বাচ্চাদের বয়স অনুযায়ী খাবার নির্ধারণ হয় ।আপনার বাচ্চার বয়স যদি ছয় মাসের বেশি হয় তাহলে আঁশযুক্ত খাবার যেমন-শাকসবজি, পাকা কলা, পেঁপে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ।বাচ্চা পায়খানা করার সময় যদি ব্যথা পায় জোর না করে পায়খানার রাস্তায় অলিভ অয়েল দিতে পারেন অথবা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী গ্লিসারিন সাপোজিটরি দিতে পারেন ।
বাচ্চাদের পায়খানা না হলে ঔষধ ?
উত্তর:দীর্ঘদিন ধরে বাচ্চাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থাকলে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ সেবন করতে পারেন ।এক্ষেত্রে ডাক্তাররা সাধারণত গ্লিসারিন সাপোজিটরি (পায়খানার রাস্তায় ব্যবহার করতে হয়) ও ডমপেরিডন জাতীয় ঔষধ সেবনের পরামর্শ দিয়ে থাকেন। সুতরাং এরকম সমস্যা থাকলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে ।
৮ মাসের শিশুর পায়খানা না হলে করনীয় ?
উত্তর: ৬-৮ মাস বয়সের বাচ্চার পায়খানার সমস্যা হলে সাধারণত বুকের দুধের পাশাপাশি বাড়তি খাবার খাওয়াতে হবে বিশেষ করে কলা ,পেঁপে ,সবুজ শাকসবজি ,খেজুর ইত্যাদি ।
( ১-৬ )মাসের বাচ্চার পায়খানা না হলে করনীয় ?
নবজাতক শিশুর পায়খানা না হলে করনীয় ?
উত্তর:বাচ্চাদের পায়খানা সমস্যা হতে পারে ।তবে সাধারণত বাচ্চা যদি একদিন পরপর অথবা দুই দিন পর পর পায়খানা করে তাহলে সেটা স্বাভাবিক । মনে রাখতে হবে বাচ্চা যদি একনাগাড়ে তিন দিনের বেশি পায়খানা না করে তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে ।
পরামর্শ :
যে কোন ধরনের সমস্যার শুরুতেই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। প্রাথমিকভাবে পায়খানা নরম হওয়ার জন্য ওষুধ, দৈনন্দিনঅভ্যাস পরিবর্তনর্ত করতে বিভিন্ন পরামর্শ দের্শ ওয়া হবে, সেগুলো অবশ্যই অনেকদিন যাবত মেনে চলতে হবে।
যেসকল বাচ্চাদের সমস্যা দীর্ঘমের্ঘ য়াদিন হয়েছে বা বিভিন্ন উপসর্গ
দের্গ খা দিয়েছে সেসকল
বাচ্চাদের অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলতে হবে।
শিশুদের জন্য অন্যান্য বিষয় জানুন
শেষকথাঃ
আপনারা যারা এই সম্পর্কে বিভিন্ন প্রশ্ন করেন। যেমন: শিশু তথা বাচ্চার পায়খানা শক্ত হওয়ার কারণ ও করণীয় কি ? কি খেলে বাচ্চাদের পায়খানা নরম হবে? ছোট বাচ্চাদের পায়খানা না হলে করণীয় কী? নবজাতক শিশুর পায়খানা না হলে করণীয় কি? ত মাসের বাচ্চার পায়খানা না হলে করণীয় কি? ইত্যাদি। আশাকরি তারা এই লেখাটিতে যথাযথ উত্তর পেয়ে গেছে।
এই বিষয়ে আরো জনার থাকলে আমাদের জানাতে পারেন। ধন্যবাদ!