কি কি কারণে আপনার গলা ব্যথা হতে পারে ? কোন ঘরোয়া পদ্ধতি গুলো অনুসরণ করলে আপনার গলা ব্যথা দ্রুত সেরে যাবে ? এ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন –
গলা
ব্যথা খুবই কমন একটি
রোগের নাম। আমার সবাই
কম বেশি এই সমস্যায়
ভুগে থাকি। গলা ব্যথার সমস্যার
কোন বয়স সীমা থাকে
না। অর্থাৎ ছোট থেকে বড়
যে কোন বয়সের মানুষের
মধ্যেই এই ব্যথার সমস্যা
দেখা দিতে পারে। আর সচরাচর এই
ব্যথা হলে আমরা এটাকে
ছোটখাট সমস্যা বলে উড়িয়ে দেই।
এমনকি আমাদের মধ্যে অনেক মানুষই আছেন
যারা গলা ব্যথা হওয়ার
কারণ, লক্ষণ ও প্রতিকারের উপায়
গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানি না। এতে
করে পরবর্তীতে এই প্রবলেম মারাত্মক
জোরালো হয়ে উঠতে পারে।
সেজন্য আমাদের গলা ব্যথা সম্পর্কিত
বিষয় গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত
ধারণা থাকা খুবই জরুরি।
এখন
চলুন আমরা গলা ব্যথা
সম্পর্কিত বিষয় গুলো সম্পর্কে
বিস্তারিত জেনে নেই,
গলা ব্যথা কি ?
গলা
ব্যথাকে ইংরেজিতে আমরা বলি Sore Throat।
আমাদের গলায় যদি কোন
প্রকার প্রদাহ এবং যন্ত্রণা বা
ব্যথা, খাদ্যবস্তু গিলতে অসুবিধা হওয়ার মত ঘটনা ঘটে
তখন চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় আমরা তাকে Pharyngitis বা
গলা ব্যথা বলে থাকি।
কী কী কারণে গলা ব্যথা হতে পারে ?
গলা
ব্যথার হওয়ার কয়েকটি উল্লেখযোগ্য কারণ রয়েছে। কারণগুলো
সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা
করা হলো –
ভাইরাস
সংক্রমণের কারণে :
আপনার
শরীরে যদি ভাইরাসজনিত সংক্রমণ
ঘটে তাহলে আপনার গলা ব্যথা হতে
পারে। এই সংক্রমণ সাধারণত
কোন আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শ গেলে সেই জীবাণু
বাতাসের মাধ্যমে আপনার দেহে প্রবেশ
করতে পারে। তবে এই সংক্রমণ
অল্প সময়ের জন্য স্থায়ী হয়
এবং এর উপসর্গ অনুসারে
নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
ব্যাকটেরিয়াল
সংক্রমণের কারণে :
যদি
আপনার শরীরে স্ট্রেপটোক্কাস ব্যকটেরিয়ার সংক্রমণ ঘটে তাহলে আপনার
ফ্যারিঞ্জাইটিস হতে পারে। সাধারণত
এই ধরণের সংক্রমণ বেশ জোরালো হয়
সে জন্য এ সময়
আপনার বিশেষ চিকিৎসার প্রয়োজন হতে পারে।
সাইনাস
সংক্রমণের কারণে :
আপনার
সাইনাস বা নাকে যদি
সংক্রমণ ঘটে এবং এর
জন্য যখন আপনি হাঁচি
দিবেন তখন আপনার নাসা
গলবিল দিয়ে এই সংক্রমণ
গলার ভিতরে চলে যেতে পারে।
যার ফলে আপনার সোর
থ্রোট হতে পারে। ঠান্ডা
জনিত কারণে আপনার সর্দি-জ্বর হলে শরীর
পানিশূন্য হয়ে যাবে এ
সময় গলায় অস্বস্তি হতে পারে।
ধূমপান
বা তামাক জাতীয় দ্রব্য গ্রহণ করলে :
আপনি
যদি ধূমপান বা তামাক জাতীয়
দ্রব্য গ্রহণ করেন তাহলে এর
থেকে সৃষ্ট টক্সিক বা বিষাক্ত পদার্থ
আপনার গলার ভিতরে চলে
যাবে এবং পরবর্তীতে আপনার
গলার কোষ গুলোকে বিষাক্ত
করে তুলবে। যার জন্য গলায়
প্রদাহ হতে পারে।
দূষিত
বাতাসের সংস্পর্শে গেলে :
আপনি
যদি শুষ্ক বাতাস, প্রচণ্ড দূষণ, ধোঁয়া, ধুলো-বালি প্রভৃতির
সংস্পর্শে বেশী যান তাহলে
এতে থাকা জীবাণু নাক
মুখের মাধ্যমে আপনার গলার ভিতরে প্রবেশ
করতে পারে এবং পরবর্তীতে
এর জন্য আপনার ফ্যারিঞ্জাইটিস
হতে পারে।
অ্যালার্জিজনিত
কারণে :
আপনার
অ্যালার্জির সমস্যা থাকে তাহলে তার
জন্য ও আপনার গলা
ব্যথা হতে পারে। আর
অ্যালার্জিজনিত কারণে যদি আপনার গলার
প্রদাহ হয় তবে তা
সারতে অনেক সময় লাগতে
পারে।
গলা ব্যথা হলে আপনার শরীরে কি ধরনের উপসর্গ দেখা দিতে পারে ?
গলা
ব্যথা হলে আপনার শরীরে
যে ধরনের উপসর্গগুলো দেখা দিতে পারে
সে সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা
করা হলো –
গলা
খুসখুস করা :
সোর
থ্রোটের প্রাথমিক উপসর্গ হল গলা খুসখুস
করা। সমস্যাটি খুব বেশি মারাত্মক
না হলে আপনার গলা
খুসখুস করতে পারে।
গলায়
যন্ত্রণা হওয়া :
আপনার
গলার সংক্রমণ যখন বেশি বেড়ে
যায় তখন আপনার গলায়
যন্ত্রণা বা প্রদাহের সৃষ্টি
হতে পারে।
গলার
দুই পাশের গ্রন্থি ফুলে যাওয়া :
ফ্যারিঞ্জাইটিস
হলে আপনার গলার দুই পাশের
গ্রন্থি ফুলে সেখানে ব্যথা
হতে পারে।
ঢোক
গিলতে কষ্ট হওয়া :
এই সময় আপনার খাবার
খাওয়ার সময় ঢোক গিলতে
কষ্ট হতে পারে। এমনকি
পানি খেতে ও কষ্ট
হতে পারে।
কাশি
হওয়া :
গলা
ব্যথা হলে নাকের ভিতরের
শ্লেষা জাতীয় পদার্থ নাসা গলবিল হয়ে
আপনার গলায় জমে কাশি
হতে পারে।
গলার
চামড়ায় লালচে ভাব দেখা দেয়া
:
সোর
থ্রোট হলে গলায় যন্ত্রণা
হওয়ার কারণে আপনার গলার চামড়ায় লালচে
লালচে ভাব দেখা দিতে
পারে। এ সময় আপনার
গলায় ফুসকুড়ি বা চুলকানি হতে
পারে।
গলার
স্বর পরিবর্তন হওয়া :
ফ্যারিঞ্জাইটিস
হলে অতিরিক্ত কাশি হওয়ার কারণে
এ সময় আপনার গলার
স্বরে পরিবর্তন আসতে পারে। এ
সময় আপনার গলায় কর্কশতা দেখা
দিতে পারে।
অস্বস্তিকর
ফোলা টনসিল :
সোর
থ্রোট যদি মারাত্নক ভাবে
বেড়ে যায় তাহলে আপনার
গলার গ্রন্থি কোষ গুলো ফুলে
সেখানে টনসিলের সৃষ্টি হতে পারে। এ
সময় আপনার গলায় অস্বস্তিকর একটা
ভাব কাজ দিতে পারে।
নিঃশ্বাস
নিতে কষ্ট হওয়া :
আপনার গলা ব্যথার তীব্রতা যদি মারাত্মক ভাবে বেড়ে যায় তাহলে এসময় আপনার নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট বা শ্বাসকষ্ট হতে পারে। এ রকম হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন।
জেনে নিন-অ্যাজমা (Asthma) বা হাঁপানি হলে শরীরে কোন ধরনের লক্ষণ দেখা দিতে পারে ?
গায়ে
ব্যথা :
আপনার
ফ্যারিঞ্জাইটিস যদি ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের
কারণে হয় তাহলে এই
ব্যথা গায়ে ও ছড়িয়ে
পড়তে পারে।
কানে
ব্যথা :
গলার
সংক্রমণ যদি আপনার কানে
ছড়িয়ে পরে তাহলে এর
কারণে আপনার কানে ব্যথা হতে
পারে।
দূর্বল
হয়ে পড়া :
ফ্যারিঞ্জাইটিস
হলে শরীরে জ্বর, সর্দি, কাশি প্রভৃতি রোগ
থাকার কারণে এ সময় আপনার
শরীর অনেক দূর্বল হয়ে
পড়তে পারে।
এছাড়াও
গলা ব্যথা হলে আপনার জ্বর, বমি, মাথাব্যথা, নাক দিয়ে পানি পড়া, হাঁচি ইত্যাদি উপসর্গ দেখা দিতে পারে।
গলা ব্যাথা কমানোর ঘরোয়া উপায় ?
যে পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করলে আপনার গলা
ব্যথা দ্রুত সেরে উঠবে তা
নিয়ে নিম্নে আলোচনা করা হলো –
কুসুম
গরম পানি খাওয়া :
আনি
যদি গলার ব্যথা থেকে
দ্রুত সেরে উঠতে চান
তাহলে সব সময় কুসুম
গরম পানি পান করুন।
এতে করে আপনার ব্যথা
দ্রুত নিরাময় হয়ে যাবে। আর
গলা ব্যথা হলে কখনোই ঠান্ডা
কোন কিছুই খাবেন না। এ সময়
আপনি গরম স্যুপ, গরম
পানির সঙ্গে লেবু বা মধু
মিশিয়ে খেতে পারেন। দেখবেন
আরাম পাচ্ছেন।
আদার
রস :
ফ্যারিঞ্জাইটিস
থেকে দ্রুত মুক্তি পেতে হলে আদার
রস সবচেয়ে ভাল কাজ দেয়।
আদার রস আপনি চায়ের
মিশিয়ে খেতে পারেন। কিংবা
প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠার
পর পানি গরম করে
তাতে আদার কুচি মিশিয়ে
জ্বাল দিয়ে ঐ পানি
পান করলে ভাল আরাম
পাবেন।
লবঙ্গ
:
লবঙ্গ
খুবই কার্যকরী একটি উপাদান। গলা
ব্যথা সারাতে লবঙ্গ অনেক ভাল কাজ
দেয়। কারণ এর ভিতরে
অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান রয়েছে যা আপনার গলার
সংক্রমণ থেকে দ্রুত মুক্তি
পেতে সহায়তা করবে। সে জন্য গলা
ভাল রাখার জন্য প্রতিদিন আপনি
চায়ের সাথে লবঙ্গ মিশিয়ে
চা পান করবেন।
রসুন
:
রসুনের
গুণের কথা আমরা সবাই
কম বেশি জানি। রসুন
গলা ব্যথা সারাতে ও অনেক গুরুত্বপূর্ণ
ভূমিকা পালন করে। এর
ভিতরে রয়েছে অ্যালিসিন নামক একটি অর্গান
সালফার যৌগ। যা আপনার
গলার সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা রাখে।
তাজা রসুনে প্রাকৃতিক অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য থাকার কারণে এটি আপনাকে গলায়
ব্যথা থেকে দ্রুত মুক্তি
পেতে সহায়তা করবে।
বিশেষজ্ঞরা
গবেষণায় দেখেছেন যে, নিয়মিত রসুন
খেলে সর্দি-কাশিসহ বিভিন্ন ভাইরাস সংক্রমণ থেকে মুক্তি মেলে।
তাই গলা ব্যথা সারানোর
জন্য প্রতিদিন সকালে উঠে কাঁচা রসুন
খাবেন।
মেথি
:
সোর
থ্রোট দ্রুত সারাতে মেথির বীজ বা তেল
ও অনেক ভাল কাজ
দেয়। কারণ মেথির ভিতরে
অ্যান্টি-ফাঙ্গাল উপাদান রয়েছে যা আপনার গলার
ভিতরে সংক্রমিত ক্ষতিকর ছত্রাক বা ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস
করতে পারে। গলা ব্যথা সারানোর
জন্য আপনি সকালে ঘুম
থেকে উঠে গরম পানিতে
মেথির বীজ জ্বাল দিয়ে
ঐ পানি পান করবেন।
পানি খেতে না চাইলে
চা এর সাথে মেথি
মিক্সড করে ও খেতে
পারেন। এতে করে আপনার
গলা ব্যথা ও ফোলা ভাব
দ্রুত সেরে উঠবে।
তবে
গর্ভবস্থায় থাকাকালীন সময়ে মেথি খাবেন
না। এতে আপনার ক্ষতি
হতে পারে।
গোলমরিচ
:
ফ্যারিঞ্জাইটিস
সারাতে গোলমরিচ অনেক ভাল কাজ
দেয়। এর ভিতরে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি, অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ভাইরাল
উপাদান আছে যা আপনাকে
সর্দি-কাশি থেকে মুক্তি
দেয়া ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের ব্যথা নিরাময়ে অনেক ভাল কাজ
করবে। গোলমরিচ খাওয়ার জন্য আপনি আস্ত
গোলমরিচের দানা নিয়ে তা
পানিতে ফুটিয়ে চায়ের মতো করে পান
করবেন। এতে করে আপনার
গলার ব্যথা দ্রুত সেরে যাবে।
গোলমরিচের
মেন্থল থাকার কারণে এটি খেলে আপনি
গলা ব্যথা এবং কাশি থেকে
তৎক্ষণাৎ স্বস্তি পাবেন।
মধু
:
মধুর
অনেক গুণের কথা আমরা শুনে
থাকি। গবেষণায় দেখা গেছে যে,
মধুর ভিতরে থাকা উপাদান সমূহ
গলার ব্যথা, যন্ত্রণা বা প্রদাহের দ্রুত
নিরাময় করতে পারে। গলা
ব্যথা সারাতে হলে আপনি চায়ের
সঙ্গে ২-৩ ফোঁটা
মধু মিশিয়ে খেতে পারেন। এছাড়াও,
মধু বিভিন্ন ক্ষতের সমস্যা, কাশির সমস্যা সমাধানে অনেক ভাল কার্যকরী।
তাই গলা ভাল রাখতে
হলে আপনি প্রতিদিন সকালে
চায়ের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খাবেন।
বেকিং
সোডা :
সোর
থ্রোট সারাতে বেকিং সোডার কার্যকারিতা অনেক। গলার ব্যথা থেকে
দ্রুত উপশম পাওয়ার জন্য
আপনি ১ কাপ গরম
পানিতে ১/৪ চা
চামচ বেকিং সোডা এবং ১/৪ চা চামচ
লবণ মিশিয়ে গার্গল করবেন। এভাবে প্রতি তিন ঘণ্টা পরপর
গার্গল করবেন। এই দ্রবণে থাকা
অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদানসমূহ আপনার গলার ভিতরে থাকা
ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া মেরে ফেলতে পারে।এতে
করে দ্রুত আপনার গলা ব্যথা সেরে
যাবে।
গলা ব্যথার জন্য কখন চিকিৎসকের কাছে যাবেন ?
সাধারণত
সোর থ্রোট এক সপ্তাহের মধ্যে
ভাল হয়ে যায়। তবে
ঘরোয়া টোটকা এবং এক সপ্তাহের
মধ্যে যদি আপনার গলা
ব্যথার ভাল না হয়
এবং ব্যথার তীব্রতা বেশি থাকে এবং
সেই সাথে
* কাশির
সাথে রক্ত,
* তীব্র
শ্বাসকষ্ট,
* দম
বন্ধ হয়ে যাওয়া প্রভৃতি
মারাত্নক ধরনের উপসর্গ দেখা যায় তাহলে
অবশ্যই তৎক্ষনাৎ আপনাকে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
গলা
ব্যথার চিকিৎসা :
গলা ব্যথার চিকিৎসার জন্য ডাক্তার আপনার গলা পরীক্ষার সাথে প্রয়োজন অনুযায়ী অন্যান্য শারীরিক পরীক্ষা করতে পারেন। এরপর ডাক্তার রোগের ধরণ ও অবস্থান নির্ণয় করে আপনাকে প্রয়োজনীয় ঔষধ দিবেন। নিয়ম মাফিক ঔষধ গুলো খেলে আপনি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন।
আমাদের পরামর্শ :
গলা
ব্যথাকে আমরা সবাই সাধারণ
অসুখ মনে করলেও যদি
সময় থাকতে যদি এই সমস্যার
সমাধান করতে না পারি
তাহলে এটি পরবর্তীতে আমাদের
শরীরে বিভিন্ন জটিল রোগের সৃষ্টি
হতে পারে। সে জন্য গলা
ব্যথার লক্ষণ প্রকাশ পাওয়ার সাথে সাথে অবশ্যই
উপরিউক্ত ঘরোয়া পদ্ধতি গুলো অনুসরণ করার
চেষ্টা করবেন এবং সংক্রমণ যদি
মারাত্মক ভাবে বেড়ে যায়
তাহলে অবশ্যই এ ব্যপারে চিকিৎসকের
পরামর্শ নিয়ে ঠিকমত ঔষধ
সেবন করবেন।