টাইফয়েড কি ? কি কারণে আপনার টাইফয়েড হতে পারে ? কিভাবে আপনি টাইফয়েড প্রতিরোধ করতে পারবেন ? এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে লেখাটি পড়ুন –
টাইফয়েড
এখন আমাদের সবার কাছে খুবই
পরিচিত একটি রোগ। সচরাচরই
এখন আমাদের দেশে এই রোগ
হতে দেখা যায়। বিশেষজ্ঞদের
মতে, টাইফয়েড জ্বর মূলত জীবাণুর
সংক্রমণের কারণে হয়ে থাকে। আমাদের
মধ্যে এমন অনেক মানুষ
আছেন যারা এই রোগ
হওয়ার কারণ, প্রতিকার
ও প্রতিরোধের উপায়গুলো সম্পর্কে অজ্ঞাত আছেন। যার জন্য এই
রোগের প্রকোপ ক্রমশ বেড়েই চলেছে। ঠিকমত চিকিৎসা করানো না হলে এই
জ্বর মৃদু থেকে জটিল
আকার ধারণ করতে পারে।
এমনকি এর জন্য রোগীর
মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে। তবে
যথাযথ যত্ন এবং চিকিৎসা
করতে পারলে কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই টাইফয়েড নিরাময় করা যায়। এজন্য
টাইফয়েড জ্বরের মোকাবেলা করতে হলে আমাদের
এর সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা থাকা অত্যন্ত জরুরি।
এখন
আসুন আমরা টাইফয়েড জ্বর
সম্পর্কিত বিষয়গুলো বিস্তারিত জেনে নেই,
টাইফয়েড কি ?
Typhoid হল
এক ধরনের অন্ত্রের জ্বর। এটি মূলত পানিবাহিত
একটি রোগ। যা আমাদের
অন্ত্রনালিতে জীবাণু সংক্রমণের ফলে সৃষ্টি হয়।
এই রোগের জন্য ‘ সালমোনেলা টাইফি ’ ও ‘প্যারাটাইফি’ এই
দুই ধরনের ব্যাকটেরিয়াই মূলত এর জন্য
দায়ী। দূষিত খাবার ও দূষিত পানির
মাধ্যমে এই ব্যকটেরিয়া মানবদেহে
প্রবেশ করে থাকে। এই
জ্বরকে ডাক্তারি পরিভাষায় ‘এন্টারিক
ফিভার’ নামে ও ডাকা
হয়ে থাকে।
টাইফয়েড কাদের বেশি হয় ?
এই জ্বরের কোন নিদিষ্ট বয়সসীমা
থাকে না অর্থাৎ যে
কোনো বয়সের মানুষেরই টাইফয়েড জ্বর হতে পারে।
তবে সাধরণত শিশুরা ধুলা-বালি, ময়লা-আর্বজনা বেশি ধরে বলে
তাদের শরীরে ব্যাকটেরিয়া প্রবেশ করার আশঙ্কা বেশি
থাকে। এজন্য তারা ‘এন্টারিক ফিভার’ এ বেশি আক্রান্ত
হয়।
কি কি কারণে আপনার টাইফয়েড হতে পারে ?
টাইফয়েড
জ্বর হওয়ার পেছনে কয়েকটি উল্লেখযোগ্য কারণ রয়েছে। কারণগুলো
সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা
করা হলো –
দূর্বল
স্বাস্থ্যবিধির কারণে :
স্বাস্থ্যবিধি
সম্পর্কে ভাল ধারণা না
থাকলে অসচেতনতা কার্যকলাপ করার কারণে আপনার
শরীরে ব্যকটেরিয়ার সংক্রমণ হতে পারে। যার
ফলে আপনার টাইফয়েড জ্বর হওয়ার আশঙ্কা
দেখা দিতে পারে।
দূষিত
পানির মাধ্যমে :
‘এন্টারিক
ফিভার’ হল মূলত পানিবাহিত
রোগ। সেজন্য আপনি যদি দূষিত
বা ময়লা পানি ব্যবহার
করেন তাহলে ঐ পানির মাধ্যমে
আপনার শরীরে এই ব্যকটেরিয়া সংক্রমিত
হওয়ার ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি থাকে।
দূষিত
খাবার :
অনেকক্ষণ
ধরে খোলা বা ফ্রিজে
রাখা বাসি খাবারে ব্যকটেরিয়া
জমতে পারে ঐ খাবার
যদি আপনি খান তাহলে
এর মাধ্যমে আপনার শরীরে জীবাণু প্রবেশ করতে পারে। যার
ফলে পরবর্তীতে টাইফয়েড জ্বর হওয়ার আশঙ্কা
দেখা দিতে পারে।
প্রপার
স্যানিটেশনের অভাব :
আপনার
যদি প্রপার স্যানিটেশন ব্যবস্থার অভাব বা স্যানিটেশন
ব্যবস্থা যদি ভাল না
হয় তাহলে আপনার জীবাণু সহজে আপনার শরীরকে
আক্রমণ করতে পারে। যার
থেকে আপনার ‘এন্টারিক ফিভার' হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে।
আক্রান্ত
ব্যক্তির সংস্পর্শে আসলে :
আপনি
যদি টাইফয়েড জ্বরে আক্রান্ত কোন ব্যক্তির সংস্পর্শে
যান তাহলে ঐ ব্যক্তির শরীর
থেকে আপনার দেহে জীবাণু সংক্রমিত
হতে পারে। যার দরুন পরবর্তীতে
আপনি টাইফয়েড জ্বর হতে পারে।
মল দূষণ :
যাত্রা
পথে মানুষ যানবাহনের বাথরুম ব্যবহার করে সেখানে সংক্রমিত
ব্যক্তির মলত্যাগ করার ফলে যদি
আপনি ঐ দূষিত মলের
সংস্পর্শে যান তাহলে ঐ
মলের ভিতর দিয়ে দায়ী
ব্যাকটেরিয়া আপনার মলের মধ্যে পাস
করে। যার ফলেও আপনার
এন্টারিক ফিভার হতে পারে।
সংক্রমিত
ব্যক্তির প্রস্রাবের মাধ্যমে :
সংক্রমিত
মানুষের প্রস্রাবের মাধ্যমেও টাইফয়েড জ্বরের জন্য দায়ী ব্যাকটেরিয়া
আপনার শরীরের ভিতরে প্রবেশ করতে পারে।
টাইফয়েড জ্বরে আক্রান্ত কি না তা বুঝার উপায় ?
টাইফয়েড
জ্বর হলে আপনার শরীরে
নির্দিষ্ট কিছু উপসর্গ দেখা
দিতে পারে। নিচে উপসর্গগুলো সম্পর্কে
বিস্তারিত আলোচনা করা হলো –
মাত্রাতিরিক্ত
জ্বর হওয়া :
টাইফয়েড
জ্বরের অন্যতম প্রধান উপসর্গ হল জ্বর হওয়া।
প্রথমে হালকা থেকে ধীরে ধীরে
জ্বরের তীব্রতা বাড়তে শুরু করে। অর্থাৎ
এই রোগ হলে আপনার
মাত্রাতিরিক্ত জ্বর হতে পারে।
জ্বরের তাপমাত্রা ১০৩°-১০৪° পর্যন্ত
উঠতে পারে। শরীরের জীবানু প্রবেশের ৬-১৫ দিনের মধ্যে লক্ষণগুলো দেখা দেয় ।সময় মত চিকিৎসা সা করলে এই জ্বর ৭-৩০ দিন পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে ।সেই সাথে অনেক
সময় শ্বাসকষ্টের সমস্যাও দেখা দিতে পারে।
অতিরিক্ত
ক্লান্তি অনুভব করা :
‘এন্টারিক
ফিভার’ এ আক্রান্ত হলে
ইন্টারনাল ব্লিডিং এর আশঙ্কা দেখা
দিতে পারে সেজন্য আপনার
শরীর অনেক দূর্বল হয়ে
পড়তে পারে এবং এ
সময় আপনার অতিরিক্ত ক্লান্তি অনুভূত হয়ে থাকতে পারে।
মাথা
ব্যথা :
টাইফয়েড
জ্বরের তীব্রতা যদি মারাত্মক ভাবে
বেড়ে যায় তাহলে আপনার
মাথা ব্যথা দেখা দিতে পারে।
ক্ষুধামান্দ্য
:
সাধারণত
এন্টারিক ফিভার হলে মাত্রাতিরিক্ত জ্বর
থাকার কারণে আপনার ক্ষুধামান্দ্য দেখা দিতে পারে।
অর্থাৎ এ সময় খাবার
খাওয়ার ইচ্ছা বা চাহিদা অনেক
কমে যেতে পারে।
ডায়রিয়া
:
এ সময় আপনার শরীরের
তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার কারণে
ঘন ঘন ডায়রিয়ার সমস্যা
দেখা দেয়ার আশঙ্কা বেড়ে যেতে পারে।
কোষ্ঠকাঠিন্য
:
দীর্ঘ দিন ধরে যদি আপনি এই জ্বরে ভুগেন তাহলে এক সময় আপনার শরীর কড়া হয়ে যায় এবং যার থেকে পরবর্তীতে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
জেনে নিন-
কোষ্ঠকাঠিন্য কি এবং কেন হয় ?সারানোর ঘরোয়া উপায়
শিশুর পেটে গ্যাস হলে করণীয় কি
বমি
হওয়া :
এন্টারিক
ফিভার এর কারণে আপনার
শরীর দূর্বল হয়ে পড়ে। এজন্য
এ সময় আপনার বমি
বমি ভাব বা বমি
হতে পারে।
গলা
ব্যথা :
টাইফয়েড
জ্বরের কারণে শরীরে ঠান্ডা ঠান্ডা ভাব থাকার কারণে
এ সময় আপনার গলা
বসে যাওয়া বা গলায়ও ব্যথা
হতে পারে।
ফুসকুড়ি
ওঠা :
আন্ত্রিক
জ্বরের অন্যতম কমন একটি উপসর্গ
হল ফুসকুড়ি ওঠা। এই জ্বরের
কারণে আপনার শরীরে বিভিন্ন জায়গায় র্যাশ বা
ফুসকুড়ির মত দেখা দিতে
পারে।
টাইফয়েড জ্বর হলে কি কি খাওয়া উচিত ?
সঠিক
যত্ন ও খাবার খেতে
পারলে অল্প কিছু দিনের
আপনি টাইফয়েড জ্বর থেকে সেরে
উঠতে পারবেন। এই জ্বর থেকে
দ্রুত সেরে উঠার পদ্ধতিগুলো
হল-
আদার
রস :
আন্ত্রিক
জ্বর দ্রুত সারানোর জন্য আপনি আদার
রস বানিয়ে এর সাথে সমপরিমাণ
মধু মিশিয়ে প্রতিদিন সকালে ও সন্ধ্যা পান
করবেন। দেখবেন উপকার পাচ্ছেন।
তুলসী
পাতার রস :
টাইফয়েড
জ্বরে দ্রুত সারানোর জন্য তুলসী পাতাও
অনেক ভাল কার্যকরী। এটি
খাওয়ার জন্য আপনি তুলসী
পাতার সাথে সূর্যমুখী পাতার
রস বানিয়ে খেতে পারেন। এরকম
করে তিন দিন সকালে
এটি খাবেন। দেখবেন আপনার টাইফয়েড জ্বর দ্রুত নিরাময়
হয়ে যাবে।
বিশ্রাম
নেয়া :
এই জ্বর থেকে পুরোপুরি
সেরে উঠা না পর্যন্ত
আপনি সবসময় রেস্টে থাকার চেষ্টা করবেন।
টাইফয়েড জ্বর ভালো করার উপায় ?
অ্যান্টিবায়োটিক
সেবনের মাধ্যমে :
জ্বরে
যদি আপনার অবস্থা খুব খারাপ হয়ে
যায় তখন অবশ্যই দ্রুত
ডাক্তারের শরণাপন্ন হবেন। এতে করে আপনাকে
৭-১৪ দিনের জন্য
অ্যান্টিবায়োটিকের একটি কোর্স লিখে
দিতে পারেন। যা আপনার শরীরে
এই রোগের বিরুদ্ধে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা
গড়ে তোলে।
অ্যান্টিবায়োটিক
ইনজেকশনের মাধ্যমে :
যদি
আপনার উপসর্গগুলো গুরুতর হয় তাহলে চিকিৎসক
আপনাকে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার কথা বলতে পারেন।
ভর্তি হওয়ার পর একটি ড্রিপের
মাধ্যমে আপনাকে অ্যান্টিবায়োটিক ইনজেকশন এবং পুষ্টিকর খাবার
দিবে।
অস্ত্রোপচারের
মাধ্যমে :
টাইফয়েড
জ্বরের কারণে যদি আপনার দেহে
অভ্যন্তরীণ রক্তপাতের মতো কোন প্রাণঘাতী
জটিলতা দেখা দেয় তাহলে
সেক্ষেত্রে ডাক্তার অস্ত্রোপচার করার সিদ্ধান্ত নিতে
পারেন।
টাইফয়েড হলে শরীরের কি কি ক্ষতি হতে পারে ?
টাইফয়েড
জ্বরের কারণে আপনার শরীরের যেসব অঙ্গ প্রতঙ্গ
গুলোর ক্ষতি হতে পারে সে
সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা
করা হলো –
লিভার
:
জ্বরের
তীব্রতা মারাত্মক হলে আন্ত্রিক জ্বরের
জন্য দায়ী ব্যাকটেরিয়া রক্ত
প্রবাহের মাধ্যমে লিভারে পৌঁছে যায়। যার ফলে
আপনার লিভার ফুলে যেতে পারে
এবং দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে না পারলে
অঙ্গটি মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হতে
পারে।
প্লীহা
:
টাইফয়েড
জ্বর হলে এর জন্য
দায়ী ব্যাকটেরিয়া রক্ত প্রবাহের মাধ্যমে
আপনার প্লীহাকে ও আক্রমণ করতে
পারে। যার ফলে আপনার
প্লীহা ফুলে যেতে পারে।
পেশি
:
আন্ত্রিক
জ্বর যদি আপনার শরীরের
কোন অঙ্গকে আক্রমণ করে তাহলে ঐ
অঙ্গের সাথে যুক্ত পেশির
কোষগুলোর ধ্বংস হয়ে যেতে পারে।
গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল
ট্র্যাক্ট :
আপনার
শরীরের টাইফয়েড জ্বরের প্রভাব ব্যাপকভাবে বেড়ে গেলে এটি
আপনার গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল ট্র্যাক্টকে আক্রমণ করতে পারে।
পিত্তথলি
:
ব্যাকটেরিয়া
রক্তের মাধ্যমে আপনার পিত্তথলিকে পৌঁছে যেতে পারে। সময়
মতো চিকিৎসা না করালে পিত্তথলি
ও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে।
ফুসফুস
:
দীর্ঘ
দিন ধরে এই জ্বরে
ভুগলে এটি রক্ত
প্রবাহের মাধ্যমে আপনার ফুসফুসকে আক্রমণ করতে পারে। সময়
থাকতে চিকিৎসা না করালে ফুসফুস
ছিদ্র হয়ে যেতে পারে।
কিডনি
:
এন্টারিক
ফিভার এর প্রভাব যখন
আপনার শরীরে মারাত্মকভাবে বেড়ে যায় তখন
এর জীবাণু আপনার কিডনিকে আক্রমণ করে কিডনিকে ক্ষতিগ্রস্থ
করতে পারে।
কিভাবে
আপনি টাইফয়েড প্রতিরোধ করতে পারবেন ?
যেভাবে
আপনি টাইফয়েড প্রতিরোধ করবেন সে সম্পর্কে নিচে
বিস্তারিত আলোচনা করা হলো –
ভ্যাকসিন
গ্রহণ :
টাইফয়েড
জ্বর প্রতিরোধ করতে হলে আপনাকে
অবশ্যই এর ভ্যাকসিন গ্রহণ
করে নিতে হবে। এই
ভ্যাকসিন শতকরা ৯০ শতাংশ কার্যকর।
এই রোগের জন্য দুই ধরনের
ভ্যাকসিন পাওয়া যায়। এই ভ্যাকসিনগুলো আপনার
হেপাটাইটিস-এ এবং টাইফয়েড
জ্বর হওয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করবে। আর
এই ভ্যাকসিনগুলো ৩ বছরের জন্য
আপনাকে এই জ্বর হওয়ার
হাত থেকে রক্ষা করবে।
সঠিক
স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করা :
এন্টারিক
ফিভার প্রতিরোধ করতে
হলে আপনাকে সঠিক স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে
সঠিক জ্ঞান থাকতে হবে এবং সে
অনুযায়ী কার্যক্রম চালিয়ে যেতে হবে।
পরিষ্কার-পরিছন্ন থাকা :
টাইফয়েড
জ্বর প্রতিরোধ করার মূলমন্ত্র হল
পরিষ্কার-পরিছন্নতা বজায় রাখা। যেমন
ধরুন – ময়লা জিনিস ধরার
পর অবশ্যই আপনাকে সাবান ও পরিষ্কার পানি
দিয়ে হাত ধুয়ে নিতে
হবে।এরপর শাকসবজি, ফলমূল, খাবার প্লেট সবসময় পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে
নিতে হবে। এতে করে
রোগ জীবাণু থাকবে না।
ফুটানো
পানি পান করা :
এই জ্বর মূলত পানিবাহিত
রোগ হওয়ার কারণে পানি সব সময়
ভাল করে ফুটিয়ে পান
করা উচিত। এতে করে পানিতে
যদি কোন রোগ জীবাণু
থাকে সেগুলো ধ্বংস হয়ে যাবে।
বাইরের
খাবার খাওয়া বন্ধ করা :
বাইরের
খাবারের মাধ্যমে আপনার শরীরে জীবাণু প্রবেশ করে আন্ত্রিক জ্বর
সৃষ্টি করতে পারে। তাই
এই জ্বর প্রতিরোধ করতে
হলে আপনাকে এসব রাস্তায় খোলা
খাওয়া থেকে অবশ্যই বিরত
থাকতে হবে।
বাথরুম
পরিষ্কার-পরিছন্ন রাখা :
প্রয়োজনে পড়ুন:
কোন রোগের জন্য কোন ডাক্তারের কাছে যাবেন
শেষ কথা,
টাইফয়েড
জ্বর একটি মারাত্নক সংক্রমক
রোগ। সঠিক সময়ে চিকিৎসা
করাতে না পারলে এই
রোগের জন্য আপনার মৃত্যু
পর্যন্ত ঘটতে পারে। তবে
দ্রুত ব্যবস্থা নিতে পারলে অল্প
কিছু দিনের মধ্যে এই জ্বর থেকে
সেরে উঠা সম্ভব। তাই
আন্ত্রিক জ্বরের প্রকোপ থকে নিজেকে বাঁচাতে
হলে আপনাকে অবশ্যই উপরিউক্ত বিষয়গুলো অনুসরণ করতে হবে এবং
অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ পালন করতে হবে।