কোন ধরনের ভুলের কারণে মেয়েদের স্তন ক্যান্সার হতে পারে?বিস্তারিত জানতে লেখাটি পড়ুন-
বর্তমান
সময়ে জটিল রোগের ভিতরে
স্তন ক্যান্সার বিশ্ব জুড়ে ব্যাপক আলোড়ন
সৃষ্টি করেছে। ক্যান্সারে নারীদের মৃত্যুর হারের মধ্যে সবার শীর্ষে রয়েছে
স্তন ক্যান্সার। বিশেষজ্ঞ দের মতে, অনিয়ন্ত্রিত
জীবনযাপন করার কারণে মূলত
ব্রেস্ট ক্যান্সারে মৃত্যুর হার ক্রমাগত ভাবে
বেড়েই চলেছে। আর প্রচলিত ওষুধ
এবং কেমোথেরাপি দিয়ে এই রোগ
থেকে সাময়িক মুক্তি মিললে ও পরবর্তীতে আবার
এই ক্যান্সারের জীবাণু আক্রান্ত ব্যক্তির দেহে ফিরে আসতে
পারে, এমন শঙ্কা থেকেই
যায়। গবেষণায় দেখা গেছে যে,
নারীদের কিছু দৈনন্দিন অভ্যাস
গত ভুলের কারণেই মূলত ব্রেস্ট ক্যান্সারের
ঝুঁকিকে বাড়িয়ে দিচ্ছে। কিন্তু এই ভুল গুলো
অধিকাংশ নারীর কাছেই অজানা রয়েছে। এ জন্য স্তন
ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে হলে আমাদের
এই ভুল গুলো সম্পর্কে
বিস্তারিত ধারণা থাকা খুবই জরুরি।
এখন চলুন যে ধরনের ভুলের কারণে মেয়েদের স্তন ক্যান্সার হয় সে সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই,
কোন ধরনের ভুলের কারণে মেয়েদের স্তন ক্যান্সার হতে পারে ?
যে সব ভুল গুলোর
কারণে মেয়েদের স্তন ক্যান্সার হতে
পারে তা নিম্নে বিস্তারিত
আলোচনা করা হলো –
জীবনযাত্রার
আমূল পরিবর্তনের জন্য :
নারীদের
জীবনযাত্রার আমূল পরিবর্তনের কারণেই
মূলত তাদের ব্রেস্ট ক্যান্সার হওয়ার প্রবণতা বেড়ে যাচ্ছে ।
কারণ তাদের অফিসিয়াল ও সাংসারিক জীবনে
দুই দিকেই ব্যস্ততা থাকার কারণে নিজের শরীরের দিকে ঠিক মত
খেয়াল রাখতে পারেন না। আর এ
জন্য অসুখ বিসুখ হচ্ছে
টের পেলে ও সব
সময় এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। আর এটিই তাদের
ব্রেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার সবচেয়ে বড় ভুল।
আরও পড়ুন:ব্রেস্ট ক্যান্সার কী ? এটি হওয়ার কারণ এবং প্রতিরোধ করার উপায় কি ?
সব সময় ব্রা পরে
থাকলে :
ব্রেস্ট
ক্যান্সার হওয়ার অন্যতম কারণের মধ্যে একটি হল সব
সময় বক্ষবন্ধনী বা ব্রা পরে
থাকা। অধিকাংশ নারীরাই সব সময় ব্রা
পরে থাকেন। আপনি যদি সারাক্ষণ
বক্ষবন্ধনী পরে থাকেন তাহলে
আপনার শরীরে ঠিক মত বাতস
প্রবেশ করতে পারবে না।
এর ফলে আপনার ঘাম
বেশি হবে এবং আদ্রতা
জমে থাকবে। যার জন্য ঘামের
জীবাণু বাতাসের সাহায্যে বাইরে বেরিয়ে যেতে পারবে না।
এতে করে এই জীবাণু
আপনার শরীরে জমে থাকবে এবং
এর ফলে স্তন ক্যান্সার
হওয়ার ঝুঁকি অনেকটাই বেড়ে যেতে পারে।
সে জন্য চিকিৎসক বিশেষজ্ঞরা
মেয়েদেরকে ঘরে থাকার সময়
টুকুতে ব্রা ব্যবহার করতে
নিষেধ করেন।
সঠিক
মাপের ব্রা পরিধান না
করলে :
স্তনের আকার অনুযায়ী সঠিক মাপের বক্ষবন্ধনী পরিধান না করার কারণে ও আপনার ব্রেস্ট ক্যান্সারের প্রবণতা বেড়ে যেতে পারে। আপনি যদি আপনার স্তনের আকারের চেয়ে বড় মাপের ব্রা পরিধান করেন তাহলে এটি আপনার স্তনের টিস্যু গুলোকে ঠিক মত সাপোর্ট দিতে পারবে না। আবার যদি আপনি স্তনের আকারের চেয়ে বেশি ছোট বা টাইট ব্রা পরিধান করেন তাহলে এর জন্য আপনার স্তনের তরলবাহী লসিকা গ্রন্থি গুলি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এতে করে আপনার স্তন ক্যান্সার হবার ঝুঁকি বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিতে পারে।স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধের জন্য আপনাকে সঠিক মাপের বক্ষবন্ধনী পরিধান করতে হবে।
প্লাস্টিকের
জিনিসে খাবার খেলে :
সাম্প্রতিক
গবেষণায় দেখা গেছে, প্লাস্টিকের
জিনিস পত্রে খাবার খেলে ক্যান্সার হওয়ার
ঝুঁকি বেড়ে যায়। কথাটা
পুরোপুরি সত্য না হলে
ও ভিত্তিহীন নয়। কারণ প্লাস্টিকের
সিরামিক জাতীয় জিনিস যেমন : প্লেট, গামলা, বক্স প্রভৃতি তৈরি
করার সময় সিন্থেটিক জৈব
যৌগ ব্যবহার করা হয় আর
নমনীয়তার জন্য এটিকে গলিয়ে
শক্ত জিনিসের মধ্যে ঢালা যায়। সে
জন্য প্লাসিটিকের জিনিস দীর্ঘদিন ব্যবহার করলে এর থেকে
দুর্গন্ধ বেরোনোর পাশাপাশি ঐ সব রাসায়নিক
পদার্থ গুলো বাইরে বেরিয়ে
আসে। আর বিশেষ করে,
প্লাস্টিকের বক্সে খাবার রাখলে এবং আর সেই
বক্স ওভেনে দিয়ে গরম করে
খেলে ঐ সব রাসায়নিক
পদার্থ গুলো খাবারের সাথে
মিশে আপনার শরীরে ব্রেস্ট ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি মারাত্মক ভাবে বাড়িয়ে দিতে
পারে।
এ জন্য ডাক্তাররা প্লাস্টিকের
জিনিস পত্রে খাবার খেতে নিষেধ করেন।
তাই প্লাস্টিকের পাত্র ব্যবহার না করে এর
বদলে কাঁচ এবং স্টিলের
পাত্রে খাবার খেতে পারেন। আর
যদি প্লাস্টিক ব্যবহার করতে চান তাহলে
সেটি ফুড গ্রেড কি
না তা নিশ্চিত হয়ে
তারপর ব্যবহার করবেন।
বর্তমান
সময়ে আমরা বাইরের জাঙ্ক
ফুড বা Fast Food এর দিকে বেশি
ঝুঁকে পড়ঋি। কিন্তু এই জাঙ্ক ফুড
আমাদের শরীরে পুষ্টির চাহিদা ঠিক মত পূরণ
করতে পারে না। উল্টে
আরও শরীরের মেদ বাড়িয়ে দেয়।
তাই আপনি যদি এই
সব খাবার বেশি খান তাহলে
আপনার শরীরের মেদ বাড়ার পাশাপাশি
জটিল রোগ ব্যধি সৃষ্টি
হতে পারে এবং পরবর্তীতে
স্তন ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে।
স্তন
ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে হলে আপনাকে
এই সব জাঙ্ক ফুড
খাওয়া বাদ দিয়ে বেশি
বেশি করে পুষ্টিকর খাবার
যেমন : সবুজ শাক-সবজী,
ডিম, মাছ, মাংস প্রভৃতি
খেতে হবে।
ব্যায়াম
বা শরীরচর্চা না করলে :
সারাদিন ব্যাস্ততার মধ্যে থাকার কারণে বেশির ভাগ মেয়েরা ব্যায়াম বা এক্সারসাইজ করার সময় পাই না। কিন্তু আপনি যদি ঠিক মত ব্যায়াম বা শরীরচর্চা না করেন তাহলে আপনার শারীরিক পরিশ্রম কম হবে। এর ফলে আপনার শরীরের মেদ বেড়ে যেতে পারে। আর যখনই আপনার মেদ বেড়ে যাবে তখন আপনার শরীরে বিভিন্ন ধরনের জটিল রোগ সৃষ্টি হবে। আর এর থেকে পরবর্তীতে আপনার স্তন ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যাবে।নিজেকে সুস্থ রাখার জন্য প্রতিদিন অন্তত আপনাকে ৩০ মিমিট সময় এক্সারসাইজ করার জন্য রাখতে হবে।
বাচ্চা
দেরিতে নিলে :
আপনি
যদি ৩০ বছরের উর্ধ্বে
গিয়ে সন্তান নেন তাহলে এর
জন্য আপনার ব্রেস্ট ক্যান্সার প্রবণতা অনেকটাই বেড়ে যাবে। কারণ
বিশেষজ্ঞ দের মতে, ৩০
বছরের পার হয়ে সন্তান
নিলে নারীদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা
ধীরে ধীরে হ্রাস পেতে
থাকে। আর বিভিন্ন ধরনের
জটিল রোগ তাদের দেহে
বাসা বাঁধে। যা তাদের ব্রেস্ট
ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনাকে অনেকাংশেই বাড়িয়ে দিতে পারে।
ডিও
বা সেন্ট ব্যবহার করলে :
শরীরের
ঘামের দূর্গন্ধকে এড়ানোর জন্য অধিকাংশ নারীরাই
বিভিন্ন ধরনের ডিওডোরেন্ট বা সেন্ট ব্যবহার
করে থাকি। কিন্তু এই সব ডিওডোরেন্টে
অনেক সময় এলুমিনিয়াম বেসড
উপাদান থাকে যা শরীরের
জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। আর এই ধরনের
সেন্ট যদি আপনি বডিতে
লাগান তাহলে ঐ সব উপাদান
আপনার লোম কূপের মাধ্যমে
শরীরে প্রবেশ করে স্তন ক্যান্সার
হওয়ার প্রবণতাকে বাড়িয়ে তুলতে পারে।
সে জন্য সেন্ট বা
ডিওডোরেন্ট কেনার আগে সব সময়
এতে কি কি উপাদান
আছে তা ভাল মতো
চেক করে নিবেন। আর
ভাল ব্রান্ডের ডিও ব্যবহার করবেন।
ন্যাপথলিন
দেয়া কাপড় ব্যবহার করলে
:
আমাদের
ওয়্যারড্রোব বা আলমারির কাপড়
পোকা-মাকড়ের হাত থেকে রক্ষা
করার জন্য আমরা সবাই
কাপড়চোপড়ে ন্যাপথলিন দিয়ে থাকি। আবার
অনেক সময় বাথরুমের দুর্গন্ধ
এড়াতে বেসিনে ও ন্যাপথলিন ফেলে
রাখি। কিন্তু এই ন্যাপথলিন পুরোটাই
ক্ষতিকর কেমিক্যাল দিয়ে তৈরী। যা
কাপড়চোপড়ে দিলে ক্ষতিকর পোকামাকড়
দূর হবে। কিন্তু কাপড়চোপড়ে
লেগে থাকা ন্যাপথলিনের গুড়া
আপনার শরীরের ভিতরে ঢুকে ব্রেস্ট ক্যান্সার
সৃষ্টি করতে পারে।
কেমিক্যাল
ন্যাপথলিন এর বদলে আপনি
প্রাকৃতিক উপায় ব্যবহার করতে
পারেন যেমন: নিমপাতা শুকিয়ে কাগজে মুড়িয়ে রেখে দিতে পারেন।
এর ফলে আপনার কাপড়চোপড়ে
পোকামাকড় আসবে না।
অ্যালকোহল
বা মদ্যপান করলে :
যে সব নারীরা অ্যালকোহল
বা মদ্যপান করেন তাদের স্তন
ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি তুলনামূলক ভাবে বেশি থাকে।
আপনি যদি মদ্য পানকারী
হন তাহলে আপনার ক্ষেত্রে ও এই রোগে
আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা বেড়ে যেতে পারে।
জন্ম
নিয়ন্ত্রণ ওষুধ সেবন করলে
:
আপনি দীর্ঘ দিন ধরে যদি গর্ভনিরোধক ওষুধ বা জন্ম নিয়ন্ত্রণ পিল সেবন করেন তাহলে আপনার শরীরে এই ওষুধের সাইড ইফেক্ট দেখা দিতে পারে। যার জন্য পরবর্তীতে আপনার স্তন ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যেতে পারে।সে জন্য দীর্ঘ দিন ধরে এই সব ওষুধ সেবন করা যাবে না।
আরও পড়ুন: জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল খাওয়ার সুবিধা-অসুবিধা গুলো কি কি ?
এয়ার
ফ্রেশনার ব্যবহার করলে :
ঘরের
দূর্গন্ধ দূর করার জন্য
আপনি যে এয়ার ফ্রেশনার
ব্যবহার করেন এতে প্যাথালেট
নামক প্লাস্টিসাইজিং রাসায়নিক থাকে। এটি আপনার ঘরের
সুগন্ধকে দীর্ঘস্থায়ী করতে সাহায্য করে।
সুগন্ধ দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার কারণে এয়ার ফ্রেশনারে থাকা
এই রাসায়নিক পদার্থ বাতাসের সঙ্গে মিশে যেতে পারে
এবং আপনি নিঃশ্বাস নেওয়ার
সময় নাক দিয়ে আপনার
দেহে প্রবেশ করতে পারে। যার
ফলে পরবর্তীতে আপনার ব্রেস্ট ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে।
দূর্গন্ধ
দূর করার জন্য এয়ার
ফ্রেশনারের বদলে আপনি দারুচিনি
ব্যবহার করতে পারেন। এ
জন্য আপনাকে ফুটন্ত পানিতে এক টুকরো দারুচিনি
ফেলে দিতে হবে। এতে
করে আপনার ঘরে শীঘ্রই সুগন্ধই
ছড়িয়ে পড়বে।
ক্যামিকাল
যুক্ত ক্লিনার ব্যবহার করলে :
রান্নাঘরের
বেসিন, বেঞ্চ বা কেবিনেটের ময়লা
পরিষ্কার করার জন্য আমরা
বিভিন্ন ধরনের রঙিন তরল ক্লিনার
ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু
এই সব রঙিন তরল
ক্লিনারের ভিতরে থাকা কেমিকেল আপনার
শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।
এগুলো চামড়ায় লাগলে আপনার ব্রেস্ট ক্যান্সার হওয়ার প্রবণতাকে অনেক বেশি বাড়িয়ে
দিবে এবং এর সাথে
মাইগ্রেন ও অ্যালার্জির হওয়ার
প্রবণতাকে ও বাড়িয়ে দিতে
পারে।
তাই
ব্রেস্ট ক্যান্সারের ঝুঁকি কমানোর জন্য আপনি কেমিকেলযুক্ত
এই ক্লিনার ব্যবহার না করে ভিনেগার
বা বেকিং সোডা দিয়ে রান্নাঘরের
জিনিস পত্র পরিস্কার
করতে পারেন।
চুলে
রঙ লাগালে :
চুলে
কালার করার সাথে ও
ব্রেস্ট ক্যান্সারের সম্পর্ক রয়েছে। চুল পেকে গেলে
অথবা চুলে স্টাইল করার
জন্য আমরা চুলে বিভিন্ন
ধরনের কালার ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু
এই সব কালারে ক্ষতিকর
কেমিক্যাল মিশ্রিত থাকে। যা আপনার চুলের
চামড়ায় লাগলে চুলের ক্ষতি করতে পারে এবং
এর সাথে সাথে যদি
কোন ভাবে হাত বা
বুকে লাগে তাহলে স্তন
ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকিকে ও বাড়িয়ে দিতে
পারে।
এ জন্য সব সময়
আমাদেরকে কেমিক্যাল কালারের পরিবর্তে ভেষজ চুলের কালার
ব্যবহার করতে হবে। অথবা
মেহেদি পাতা বেটে মাথায়
লাগাতে পারেন। এটি প্রাকৃতিক হওয়ার
কারণে এতে কোন পার্শ্ব
প্রতিক্রিয়া থাকবে না এর ফলে
আপনার শরীরের কোন ক্ষতি হবে
না এবং আপনার চুলের
সৌন্দর্যকে ও বাড়িয়ে দিবে।
অবশেষে আমরা বলতে পারি যে,
স্তন
ক্যান্সার আক্রমণের ভয়াবহতা নিয়ে সারা বিশ্বকেই
নাড়া দিচ্ছে। আর নারীদের এই
রোগে আক্রান্ত হওয়ার হার সবচেয়ে বেশি।
সে জন্য এই রোগ
প্রতিরোধ করতে হলে নারীদেরকে
উপরি উক্ত দৈনন্দিন অভ্যাস
গুলো পরিবর্তন করার পাশাপাশি যথেষ্ট
সর্তকতা অবলম্বন করে চলতে হবে।
তাহলেই সহজে আমরা এই
মারণ ব্যাধি প্রতিরোধ করতে সক্ষম হব।