Piles বা অর্শ কী ? কী কারণে পাইলস হয় এবং সারানোর উপায়?
Piles বা অর্শ রোগের সাথে আমরা সবাই কম বেশি পরিচিত আছি। বর্তমান সময়ে দেখা দেয়া জটিল রোগ গুলোর মধ্যে Piles অন্যতম একটি রোগ। আমেরিকার গবেষণার হিসাব অনুযায়ী, সারা বিশ্বের প্রায় ৭৫% মানুষ এই রোগে আক্রান্ত। অর্শ রোগ হলে মলদ্বার দিয়ে রক্তক্ষরণ হয়। এই রোগ মলদ্বারের ভিতরে বা বাইরে ও হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুসারে, আমাদের অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন করার কারণে মূলত অর্শ রোগের প্রকোপ দিন দিন বেড়েই চলেছে। অধিকাংশ মানুষই দীর্ঘ দিন ধরে এই রোগে ভুগার পরে ও লজ্জার কারণে রোগের চিকিৎসার জন্য ডাক্তার দেখাতে সংকোচ বোধ করেন। আবার অনেক মানুষ অর্শ রোগ হওয়ার কারণ, উপসর্গ ও প্রতিরোধের উপায় গুলো সম্পর্কে ঠিক মত জ্ঞান না থাকার কারণে রোগটি ক্রমশ জটিল আকারে পরিণত হয়। যা পরবর্তীতে নির্মুল করা অনেক কঠিন হয়ে পড়ে। সেজন্য আমাদের অর্শ রোগ সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা থাকা খুবই জরুরি।
পাইলস কি ?
Piles রোগ হল
মলদ্বারের একটি রোগ। কোন
কারণে যদি আমাদের পায়ুপথ
বা পায়খানার রাস্তার মুখ ফুলে যায়
এবং সেখান থেকে রক্ত পড়ে
অথবা পায়খানার রাস্তায় যদি গোটার মত
হয় তখন একে চিকিৎসা
বিজ্ঞানের ভাষায় Haemorrhoids বা অর্শ রোগ
বলা হয়। সাধারণত পাইলস
হলে মলদ্বার দিয়ে মাংসপিন্ডের ক্ষুদ্র
অংশ বের হতে দেখা
যায় এবং সেখান থেকে
রক্তক্ষরণ হয়।
কী কী কারণে পাইলস হয় ?
কয়েকটি
উল্লেখযোগ্য কারণে আপনার পাইলস হতে পারে। কারণগুলো
সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা
করা হলো –
বংশগত
কারণে :
আপনার
পরিবারের কোন সদস্য যদি
আগে থেকে অর্শ রোগে
আক্রান্ত থাকেন তাহলে আপনার শরীরেও এই রোগে আক্রান্ত
হওয়ার ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি।
স্থূলতায়
ভুগলে :
আপনি
যদি দীর্ঘ দিন ধরে অতিরিক্ত
ওজন বা স্থুলতায় ভুগেন
তাহলে আপনার শরীরে হেমোরয়েড দেখা দেয়ার চরম
সম্ভাবনা রয়েছে।
কোষ্ঠকাঠিন্যের
সমস্যা থাকলে :
দীর্ঘ
সময় ধরে যদি আপনার
কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থাকলে শরীর কড়া হয়ে
যায় এবং পরবর্তীতে
এর থেকে আপনার অর্শ
রোগ হওয়ার মারাত্মক ঝুঁকি রয়েছে।
পড়ুন:কোষ্ঠকাঠিন্য কি এবং কেন হয় ?সারানোর ঘরোয়া উপায়
মলত্যাগ
করার সময় জোরে চাপ
দিলে :
সব সময় মলত্যাগ করতে
গেলে যদি আপনি মলদ্বারের
উপর অনেক প্রেসার প্রয়োগ
করে মলত্যাগ করার চেষ্টা করেন
সেক্ষেত্রে আপনার হেমোরয়েড হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে।
শক্ত
বা কষা পায়খানা হলে
:
পায়খানা
স্বাভাবিক হওয়ার পরিবর্তে যদি শক্ত বা
কষা ধরণের হয় তাহলে আপনার
পাইলস হওয়ার প্রবণতা বেড়ে যেতে পারে।
পায়খানার
বেগ আটকে রাখলে :
পায়খানার
বেগ আসলে যদি আপনি
তা আটকে রাখেন তাহলে
পরে মলত্যাগ করতে অনেক কষ্ট হবে।
এর থেকে পরবর্তীতে আপনার
অর্শ রোগ হওয়ার আশঙ্কা
দেখা দিতে পারে।
শারীরিক
পরিশ্রম ঠিক মত না
করলে আপনার শরীরের অঙ্গ প্রতঙ্গ গুলো
সক্রিয় থাকে না। যার
ফলে পাইলস হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে।
জটিল
রোগ থাকলে :
আপনি
যদি আগে থেকে বিভিন্ন
ধরনের জটিল রোগ যেমন
: ডায়াবেটিস, ক্যান্সার প্রভৃতিতে আক্রান্ত থাকেন তাহলে আপনার হেমোরয়ড হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে।
আরও পড়ুন:
রক্তের সুগার লেভেল বেড়েছে কি না কিভাবে বুঝবেন ?
ডায়রিয়ার
সমস্যা থাকলে :
আপনার
যদি ঘন ঘন ডায়রিয়ার
সমস্যা থাকে তাহলে অনেক
সময় অর্শ রোগ আশঙ্কা
বেড়ে যেতে পারে।
গর্ভাবস্থা
:
অনেক
সময় গর্ভাবস্থায় বিভিন্ন ধরনের শারীরিক পরিবর্তন হওয়ার কারণেও আপনার হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যেতে পারে।
পাইলস
হলে কি কি সমস্যা
দেখা দিতে পারে ?
পাইলস
হলে আপনার শরীরে যে ধরনের সমস্যা
দেখা দিতে পারে তা
নিয়ে নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো –
মলদ্বার
দিয়ে ব্লাড যাওয়া :
আপনার
অর্শ রোগ হলে মলত্যাগ
করার সময় কিংবা মলত্যাগ
করা ছাড়াও মলদ্বার দিয়ে রক্তক্ষরণ হতে
পারে।
মলদ্বারে
চুলকানি হওয়া :
হেমোরয়েড
হলে আপনার মলদ্বারের আশেপাশে বা পায়খানার রাস্তায়
চুলকানি দেখা দিতে পারে।
মলত্যাগের
সময় মলদ্বার নিচের দিকে নেমে আসা
:
অর্শ
রোগ হলে আপনার মলত্যাগ
করার পরে মলদ্বার নিচের
দিকে নেমে আসতে পারে
অর্থাৎ অ্যানাল কুশনগুলো নরম গোটার মতো
বের হয়ে আসতে পারে।
যা নিজে ভিতরে চলে
যেতে পারে অথবা হাত
দিয়ে ঢুকিয়ে দিতে হতে পারে।
মলদ্বারে
ফুলে যাওয়া :
পাইলস
হলে আপনার মলদ্বার ফুলে যেতে পারে
এবং সেই সাথে মলদ্বারে
প্রচন্ড ব্যাথা হতে পারে।
পায়খানার
রাস্তা পরিষ্কার রাখতে সমস্যা হওয়া :
আপনি
যদি হেমোরয়েড রোগে আক্রান্ত হন
তাহলে আপনার পায়খানার রাস্তায় অতিরিক্ত ফুলা ভাব এবং
পায়ুপথের গোটাগুলো বের হয়ে আসার
জন্য আপনার মলদ্বার পরিষ্কার রাখতে সমস্যা হতে পারে।
ঘরোয়া পদ্ধতিতে কিভাবে চিরতরে পাইলস থেকে মুক্তি পাবেন ?
ঘরোয়া পদ্ধতিতে চিরতরে পাইলস থেকে মুক্তির উপায়গুলো সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো –
মলত্যাগের
সময় সঠিক নিয়মে বসা
:
Piles নিরাময় করতে হলে সবার
প্রথমে আপনাকে মলত্যাগের সময় বসার ধরণ
ঠিক করতে হবে। আমরা
অনেকেই কমোডে ভুল পদ্ধতিতে বসে
মলত্যাগ করি যার জন্য
আমাদের অর্শ রোগের ঝুঁকি
আরও বেড়ে যায়। তাই
সঠিক নিয়ম জেনে রাখা
উচিত। আপনি যদি হাই
কমোডে বসে মলত্যাগ করবেন
তখন একটু সামনের দিকে
ঝুঁকে বসবেন। এতে করে আপনার
বৃহদন্ত্রের উপর কম প্রেসার
পড়বে। এর ফলে আপনার
পাইলস হওয়ার ঝুঁকি কমে যাবে। আর
মলত্যাগের সময় কখনোই জোরে
চাপ দিয়ে মলত্যাগ করার
চেষ্টা করবেন না।
বরফ
লাগানো :
হেমোরয়েড
দ্রুত নিরাময় করতে বরফ অত্যন্ত
কার্যকরী একটি উপাদান ।
ব্যথার স্থানে বরফ লাগালে রক্ত
চলাচল সচল থাকবে এবং
ব্যথা দ্রুত নিরাময় করতে এটি গুরুত্বপূর্ণ
ভূমিকা পালন করে। বরফ
ব্যবহারের জন্য আপনাকে একটি
কাপড়ে কয়েক টুকরো বরফ
নিয়ে সেটিকে পেঁচিয়ে ব্যথার স্থানে ১০ মিনিট রেখে
দিতে হবে। এভাবে দিনে
বেশ কয়েকবার বরফ লাগালে তাড়াতাড়িই
আপনি অর্শের ব্যথা থেকে মুক্তি পাবেন।
পায়খানা
বেগ আসলে আটকে রাখা
যাবে না :
অর্শ
রোগ চিরতরে নিরাময় করতে হলে কখনই
আপনি পায়খানার বেগ আসলে তা
আটকে রাখার চেষ্টা করবেন না। কারণ পায়খানা
আটকে রাখলে এটি
আরও শক্ত হয়ে কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা
দিবে। যা আপনার হেমোরয়েড
হওয়ার ঝুঁকিকে মারাত্মকভাবে বাড়িয়ে দিবে। তাই পায়খানার চাপ
আসলে দেরি না করে
আগেই আপনাকে বাথরুমে চলে যেতে হবে।
পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা :
হেমোরয়েড
এর সমস্যা প্রতিরোধ করার জন্য আপনাকে
পর্যাপ্ত পরিমাণে পরিমাণে পানি পান করতে
হবে। শরীরে পানির পরিমাণ ঠিক থাকলে আপনার
পায়খানা নরম হবে। এর
ফলে আপনার কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা হবে না। আর
অর্শ রোগ হওয়ার ঝুঁকিও
কম থাকবে। তাই হেমোরয়েড না
হওয়ার জন্য আপনাকে দিনে
কমপক্ষে ২ লিটার পানি
পান করতে হবে।
আরও পড়ুন:পানি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
নিয়মিত
ব্যায়াম বা শরীরচর্চা করা
:
ঘরোয়া
উপায়ে অর্শ রোগ থেকে
মুক্তি পেতে হলে আপনাকে
নিয়মিত এক্সারসাইজ বা হালকা ব্যায়াম
করতে হবে। এটি আপনার
খাদ্যবস্তু ঠিক মত হজম
করতে এবং শরীরকে সচল
রাখতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে। এর
ফলে পায়খানা নরম হবে এবং
আপনার পাইলস হওয়ার আশঙ্কা থাকবে না। তাই পাইলস
এর ঝুঁকি এড়ানোর জন্য আপনি প্রতিদিন
অন্তত আধা ঘণ্টা হালকা
ব্যায়াম কিংবা হাঁটাচলা করার চেষ্টা করবেন।
ওজন
নিয়ন্ত্রণে রাখা :
অর্শ
রোগ থেকে চিরতরে মুক্তি
পেতে হলে আপনাকে অবশ্যই
ওজন নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখতে হবে। তাই যেসব
কর্মকান্ড করলে ওজন নিয়ন্ত্রণে
সেগুলো সঠিকভাবে পালন করবেন।
জেনে নিন, কীভাবে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখবেন
পাইলস ভাল করতে হলে কি খাবার খাবেন ?
পাইলস
দ্রুত নিরাময়ের জন্য আপনাকে নিচের
খাবারগুলো বেশি করে খেতে
হবে। খাবারগুলো হল –
ফাইবার
বা আঁশজাতীয় খাদ্য :
পাইলস
দূর করতে হলে আপনাকে
বেশি বেশি করে খাদ্য
তালিকায় ফাইবার বা আঁশজাতীয় খাবার
যেমন : সবুজ শাক-সবজী,
ফলমূল, ডাল, মটরশুটি, গাজর,
বাদাম, শস্য, লাল চাল, লাল
আটা প্রভৃতি রাখতে হবে। এর থেকে
আপনার শরীরে পানি যাবে ফলে
পায়খানা নরম হবে। দ্রুতই
আপনি এই রোগ থেকে
মুক্তি পাবেন।
আদা
এবং লেবুর রস :
আদা
ও লেবুর রস আপনার শরীরকে
হাইড্রেট রাখতে সাহায্য করে। এতে করে
আপনার অর্শের সমস্যা দ্রুত সেরে উঠবে। এই
রস বানানোর জন্য আপনাকে আদাকুচি,
লেবু নিতে হবে। এরপর
রস বানিয়ে এতে এক চা
চামচ মধু মিশিয়ে মিশ্রণ
বানিয়ে দিনে দুই বার
খাবেন। দেখবেন উপকার পাচ্ছেন।
অলিভ
অয়েল :
পাইলস
নিরাময় করতে অলিভ ওয়েল
খুবই কার্যকরী। এজন্য আপনাকে প্রতিদিন এক চা চামচ
করে অলিভ অয়েল খেতে
হবে। এটি আপনার অর্শের
প্রদাহ দ্রুত কমাতে সহায়তা করবে।
বেদানা
:
বেদানা
আপনার হেমোরয়েডের সমস্যার দূর করতে অনেক
ভাল কাজ দিবে৷ এর
জন্য প্রথমে আপনাকে বেদানার দানা গুলো ভালো
করে ছাড়িয়ে নিয়ে এরপর ভালো
করে পানিতে ফোটাতে হবে। যতক্ষণ না
পানির কালার বদলে বেদনার কালারের
মত হয় ততক্ষণ পর্যন্ত
আপনাকে পানি ফুটিয়ে যেতে
হবে। এরপর ঐ পানি
সুন্দর করে ছেঁকে নিবেন।
এভাবে দিনে দুইবার ঐ
পানি পান করবেন। এতে
করে আপনার অর্শের সমস্যা শীঘ্রই দূর হয়ে যাবে।
ডুমুর
:
হেমোরয়েডের
নিরাময় করতে ডুমুরও অনেক
কার্যকরী। এটি খাওয়ার জন্য
আপনি শুকনো ডুমুর নিয়ে এক গ্লাস পানিতে
সারারাত ভিজিয়ে রাখবেন। পরের দিন সকালে
উঠে ঐ ডুমুর ভেজানো
পানি অর্ধেক খেয়ে নিবেন আর বাকি অর্ধেক
বিকালে খাবেন।
কাঁচা
পেঁয়াজ :
অর্শ
রোগ হলে আপনার মলদ্বার
থেকে যে রক্তক্ষরণ হয়
কাঁচা পেঁয়াজ খেলে তা অনেকটাই
কমে যাবে। কাঁচা পেঁয়াজ খেলে আপনার বৃহদান্ত্রের
যন্ত্রণাও অনেকটা কমে যাবে।
কলা
:
হেমোরয়েডের
সমস্যা দূর করতে কলা
সবচেয়ে বেশি কার্যকরী। এটি
খেলে আপনার পায়খানা নরম হবে। আপনি
শীঘ্রই এই প্রবলেম থেকে
মুক্তি পাবেন।
পাইলস হলে কি ধরনের অপারেশন করতে হতে পারে ?
যখন
ঘরোয়া পদ্ধতি এবং চিকিৎসকের দেয়া
ওষুধে পাইলস ভাল না হয় তখন
সাধারণত চিকিৎসকরা ৩ ধরনের অপারেশনের
মাধ্যমে এই রোগের চিকিৎসা
দিয়ে থাকেন। সেগুলো হল –
হেমোরয়েডেকটোমি
:
যদি
পাইলস ভেতরে ঢুকানো সম্ভব না হয় তাহলে
এই পদ্ধতিতে চিকিৎসকরা অপারেশনের মাধ্যমে আপনার হেমোরয়েডের এর গোটা গুলো
কেটে অপসারণ করতে পারেন।
স্টেপলড
হেমোরয়েডোপেক্সি :
এই পদ্ধতিতে ডাক্তার সার্জারির মাধ্যমে আপনার হেমোরয়েডের এর গোটা গুলো
পুনরায় পায়ুপথের ভেতরে ঢুকিয়ে দিবেন।
হেমোরয়েডাল
আর্টারি লাইগেশন :
এই পদ্ধতির মাধ্যমে আপনার অর্শের এর গোটা গুলোর
উপরে একটি ব্যান্ড পরিয়ে
দেয়া হয় এর ফলে
হেমোরয়েডের রক্ত সরবরাহ অপারেশনের
মাধ্যমে বন্ধ করে দেয়া
হয় এবং এতে করে
ঘা বা গোটাগুলো শুকিয়ে
যাবে।
শেষ কথা,
Piles একটি মারাত্মক জটিল রোগ। এজন্য
এর লক্ষণ প্রকাশের সাথেই দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। নয়তো
পরবর্তীতে এটি জটিল আকার
ধারণ করতে পারে। তাই
অর্শের সমস্যার হাত থেকে নিজেকে
বাঁচাতে হলে আপনাকে অবশ্যই
উপরিউক্ত বিষয়গুলো প্রতি লক্ষ্য রাখতে হবে এবং এই
রোগের জন্য যে চিকিৎসক
বিশেষজ্ঞ আছেন তার পরামর্শ
নিতে হবে।