চোখ ওঠা রোগ হলে করণীয় কি?বিস্তারিত জেনে নিন-
চোখ
ওঠার শব্দটি অতি পরিচিত একটি
শব্দ। সাধারণত সব বয়সের মানুষ
এই এই রোগে আক্রান্ত হতে
পারে। জীবনে একবার চোখ ওঠে নাই
এমন মানুষ পাওয়া আসলেই দুষ্কর। চোখ ওঠার নির্দিষ্ট
কোন বয়স নাই যেকোনো
সময় যে কোন বয়সের
মানুষের চোখ উঠতে পারে। সাধারণত ভাইরাস জনিত কারণে চোখ
ওঠে। তবে ব্যাকটেরিয়াজনিত কারণেও
চোখ উঠতে পারে ।
এটি একটি সংক্রামক রোগ
। আসুন জেনে নেই-কংজাংকটিভাইটিস বা চোখ ওঠা
রোগ হলে করণীয় কি
চোখ ওঠার কারণ:
চোখ
ওঠার নির্দিষ্ট কোন কারণ নেই।
তবে বেশিরভাগ সময় ভাইরাসজনিত কারণে
চোখ ওঠে। চোখের বাইরের
সাদা অংশটির নাম "কংজাংকটিভা" । ভাইরাসের সংক্রমণের
কারণে এই অংশটি লাল
হয়ে যায়, ফুলে যায় তখন
আমরা এটাকে জাংকটিভাইটিস বা চোখ ওঠা
বলি।
জেনে নিন-এলার্জির হওয়ার কারণ, লক্ষণ, প্রতিকার সম্পর্কে
চোখ ওঠলে যে সব লক্ষণ বা উপর্সগ দেখা দিতে পারে
চোখ ওঠলে সাধারণত ওয সব লক্ষণ দেখা দিতে পারে তা নিম্মরুপ :
১. চোখের সাদা অংশ লাল হয়ে যায়
২. চোখের পাতা ফুলে যায়
৩ ঘুম থেকে ওঠার
পর চোখের দুই পাতা একসঙ্গে
লেগে থাকতে পারে
৪ চোখ দিয়ে পানি
পড়া এবং চোখের জ্বালা
পোড়া অনুভব করা
৫ চোখে সাধারণত হলুদ
বা সাদা রংয়ের ময়লা
জমা।
চোখ উঠলে যা যা পালনীয়
১. চোখে বার বার হাত দেয়া
যাবে না ।
২. চোখে কালো চশমা
বা সানগ্লাস ব্যবহার করা ।
৩. রোদে এবং ধুলাবালিযুক্ত
স্থানে না যাওয়া
৪. পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেয়া
৫. ময়লা পরিষ্কারের জন্য নরম টিস্যু
ব্যবহার করা
৬. আক্রান্ত ব্যক্তির ব্যবহৃত জিনিস আলাদা করা এবং অন্য কেউ ব্যবহার না করা ।
চিকিৎসা:
জটিল
আকার ধারন না করলে
চোখ ওঠা রোগের তেমন
কোনো চিকিৎসা করতে হয়
না।
নিয়মিত হালকা গরম পানি দিয়ে
চোখ বার বার পরিষ্কার
করলে সাধারণত আট থেকে
দশ
দিনের মধ্যে সেরে যাবে। তবে
ডাক্তাররা সাধারণত( Eye drop:
Ciprofloxacin, Moxifloxacin, Olopatadin ,Cloramfenicol ETC) দিয়ে থাকে। কোন
অবস্থাতেই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া এসব ঔষধ ব্যবহার
করা যাবে না।
জেনে নিন-জ্বর ঠোসা কি ? কেন হয় এবং সারানোর উপায়
চোখ উঠলে যে সব খাবার খাওয়া যাবে না
চোখ উঠলে খাবারে
তেমন কোন নিষেধ নেই । সব ধরনের খাবার খেতে পারবেন তবে যদি কারো কোন খাবারে এলার্জি
থাকে সে সব খাবার এড়িয়ে চলা ভালো বিশেষ করে বেগুন,চিংড়ি মাছ,গরুর মাংস ইত্যাদি ।
মন্তব্য :
চোখ ওঠা যেহেতু
সংক্রামক বা ছোয়াচে রোগ । তাই এ রোগ হলে বিশেষ সতর্কতা অবল্বন করতে হবে । কোন অবস্থাতেই
অবহেলা করা যাবে না । আক্রান্ত ব্যবহিত জিনিসপত্র এমনকি বিছানা পর্যন্ত আলাদা করতে
হবে ।জটিল আকার ধারণ করলে ডাক্তারের পড়ামর্শ নিতে হবে ।