জেনে নিন-ঋতুস্রাবের কত দিন পর সহবাস করলে সন্তান গর্ভে আসতে পারে

ঋতুস্রাবের কত দিন পর আপনি সহবাস করলে সন্তান গর্ভে আসতে পারে ? সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন

                            ঋতুস্রাবের কত দিন পর সহবাস করলে সন্তান গর্ভে আসতে পারে



ঋতুস্রাব বা মাসিক চক্র প্রত্যেক নারীর জীবনে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। আর গর্ভধারণের সাথে মাসিক চক্রের গভীর সম্পর্ক রয়েছে। চিকিৎসক বিশেষজ্ঞ দের মতে, ঋতুস্রাবের পর সহবাস করলে সন্তান গর্ভে আসার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি থাকে। তবে এর জন্য নির্দিষ্ট সময় রয়েছে। সময়ের মধ্যে যৌন মিলন করতে পারলে গর্ভবতী হওয়ার চান্স থাকে। কিন্তু সময়ের আগে বা পরে সঙ্গম করলে আবার গর্ভবতী হওয়ার সম্ভাবনা কমে যেতে পারে। পিরিয়ডের পর অধিকাংশ নারীরাই সহবাস করার যথাযথ সময় নির্ধারণ করতে পারেন না। এর ফলে সময়মতো ডিম্বাণু নিষিক্ত হতে পারে না। যার জন্য তাদের মা হওয়ার সম্ভাবনা কমে যেতে পারে। তাই ঋতুস্রাবের পর সহবাস করার সঠিক সময় সম্পর্কে আমাদের বিস্তারিত ধারণা থাকা অত্যন্ত জরুরি। 

এখন চলুন ঋতুস্রাবের কতদিন পর সহবাস করলে সন্তান গর্ভে আসে সে সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই,     

ঋতুস্রাবের কতদিন পর সহবাস করলে সন্তান গর্ভে আসতে পারে ?

ঋতুস্রাবের পর যথাযথ সময়ে সহবাস করলে সন্তান গর্ভে আসতে পারে। আর এই সঠিক সময় বোঝার কয়েকটি পদ্ধতি আছে। পদ্ধতি গুলো হলো

* সাদা স্রাব পর্যবেক্ষণ

* শরীরের তাপমাত্রা নির্ণয়

* স্ট্যান্ডার্ড ডে

* ক্যালেন্ডারে দিন গণণা

* অন্যান্য পদ্ধতি

 . সাদা স্রাব পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে গর্ভধারণের সময় নির্ণয় করা :

 একজন প্রাপ্ত বয়স্ক নারীর শরীরে প্রতি মাসে ঋতুস্রাবের পর সাদা স্রাবের চার অবস্থা দেখা যায়। এই চার অবস্থার মধ্যে চতুর্থ ধাপে কনসিভ করার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি থাকে। এই চার অবস্থা বোঝার জন্য নিচের পয়েন্ট গুলো ভাল করে পড়ুন

 
সাদা স্রাব পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে গর্ভধারণের সময় নির্ণয় করা

 * পিরিয়ডের চার অবস্থার মধ্যে প্রথম অবস্থা হল পিরিয়ড শেষ হওয়ার ঠিক পরে যখন কোন সাদা স্রাব থাকে না। সময় আপনার পিরিয়ডের রাস্তা অর্থাৎ  যোনি পথ একেবারেই শুকনো থাকে। জন্য এই সময়ে যৌন মিলন করলে সন্তান ধারণের সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ থাকে। চিকিৎসকদের মতে, এই সময় গর্ভধারণের সম্ভাবনা থাকে মাত্র .%

 * দ্বিতীয় অবস্থায় আপনার মাসিকের রাস্তা বা যোনি পথ হালকা ভেজা থাকে। কিন্তু সময় কোন সাদা স্রাব দেখা যায় না বা হাত দিয়ে স্পর্শ করলে সাদা স্রাব পাওয়া যায় না। এই সময়ে সন্তান ধারণের সম্ভাবনা থাকে একটু বেশি থাকে প্রায় .% এর মত

 তবে এই প্রথম দুই অবস্থা আবার সবার ক্ষেত্রে দেখা যায় না। আপনার মাসিক চক্র যদি ছোট হয় তাহলে সে ক্ষেত্রে এই দুই অবস্থা আপনার মাসিকের সময়ই হয়ে যেতে পারে।

 * তৃতীয় অবস্থায় যোনি পথ দিয়ে ঘন সাদা স্রাব যাবে এবং এটা বেশ আঠালো থাকে। আপনি সেটা আঙুল দিয়ে ধরলে আপনার আঙুলের সাথে আঠার মত হয়ে লেগে থাকে। তখন বাচ্চা কনসিভ করার পসিবিলিটি প্রায় .% কাছে চলে আসে

 * চতুর্থ অবস্থায় সাদা স্রাব দেখতে স্বচ্ছ, পাতলা এবং পিচ্ছিল হয়ে থাকে। অনেকটা কাচা ডিমের সাদা অংশ মত দেখায়। আর এই সাদা স্রাব দুই আঙ্গুল টেনে দিয়ে বড় করা যায়। সময় সঙ্গম করলে গর্ভধারণের সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়। চিকিৎসকদের মতে, এই সময় গর্ভে সন্তান আসার পসিবিলিটি ২৮.% বা প্রায় ৩০% এর কাছাকাছি।

 * বাচ্চা কনসিভ করার জন্য আপনাকে ঋতুস্রাবের তৃতীয় অবস্থা যখন শুরু হবে তখন থেকেই সহবাস শুরু করতে হবে এবং চতুর্থ অবস্থায় সহবাসের সময় বাড়াতে হবে। চতুর্থ অবস্থা শেষ হওয়ার পরেও অন্তত তিন থেকে চার দিন পর্যন্ত চেষ্টা করে যেতে হবে। কারণ তৃতীয় অবস্থা থেকে চতুর্থ অবস্থা পর্যন্ত সময়ে গর্ভধারণের সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি থাকে।

পড়ুন :

সাদা স্রাব কী? কী কারণে হয় ? ঘরোয়া পদ্ধতিতে  প্রতিরোধ করার উপায় 

জরায়ুতে সিস্ট কেন হয় ? জরায়ুতে সিস্ট হলে কি করণীয় ?

 .শরীরের তাপমাত্রা নির্ণয়ের মাধ্যমে গর্ভধারণের সময় জানা 

 * মাসিক শেষের পর আপনার শরীরের তাপমাত্রা কিছুটা কম থাকে। কিন্তু যখন ডিম্বাশয় থেকে ডিম্বাণু বের হয় অর্থাৎ ডিম ফোটা শুরু হয় তখন শরীরের তাপমাত্রা অনেকটা বেড়ে যেতে থাকে। এটি খুবই সামান্য পরিমাণে বাড়ে . ডিগ্রি সেলসিয়াস বা . ডিগ্রি ফারেনহাইট এর মত তাই না মাপলে আপনি বুঝতে পারবেন না। জন্য নিয়মিত যদি আপনি শরীরের তাপমাত্রা মাপতে থাকেন তাহলে কখন বেড়ে গেলো সেটা আপনি ধরতে পারবেন।

* ডিম্বস্ফোটনের জন্য তাপমাত্রা বাড়ছে কিনা তা বোঝার সহজ নিয়ম হল, দিন একটানা তাপমাত্রা কম থাকার পরে দিন একটানা বেশি তাপমাত্রা থাকতে হবে অর্থাৎ একদিন তাপমাত্রা এসে সেটা আবার চলে গেলে হবে না। একটানা বেশি তাপমাত্রা থাকা অবস্থায় ৩য় দিন পর্যন্ত ফার্টাইল উইন্ডো (Fertile Window) বা গর্ভধারণের সবচেয়ে সম্ভাবনা ময় সময় থাকে। এই সময়টিতে সহবাস করলে সন্তান গর্ভে আসার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি থাকে।

 *  তাপমাত্রা মাপার সঠিক ভাবে মাপার জন্য আপনাকে সকালে ঘুম থেকে উঠার পর কোনকিছু করার আগে অর্থাৎ বিছানায় থাকা অবস্থায়ই তাপমাত্রা মাপতে হবে। প্রতিদিন একই সময়ে ঘুম থেকে উঠে তাপমাত্রা মাপার চেষ্টা করবেন।

 * আমরা অনেকেই বগলের নিচে থার্মোমিটার রেখে তাপমাত্রা মেপে থাকি কিন্তু এখানে সেটা করলে হবে না। এখানে আপনাকে মুখে থার্মোমিটার রেখে তাপমাত্রা নির্ণয় করতে হবে। থার্মোমিটার জিহ্বার নিচে রেখে মুখ বন্ধ করে দিবেন।

 * সাধারণ জ্বর মাপার থার্মোমিটার দিয়ে মাপলে আপনি তাপমাত্রা বাড়ছে কিনা তা বুঝতে পারবেন না। এই তাপমাত্রা নির্ণয়ের জন্য ডিজিটাল থার্মোমিটার ব্যবহার করবেন। বিভিন্ন ফার্মেসিতে অল্প খরচেই এটা পেয়ে যাবেন।

 * এই পদ্ধতিতে আপনি শুধুমাত্র ফার্টাইল উইন্ডো কখন শেষ হচ্ছে সেটা বুঝতে পারবেন কিন্তু কখন শুরু হচ্ছে তা বুঝতে পারবেন না। এই পদ্ধতিতে তাপমাত্রা যেদিন থেকে বাড়া শুরু হয়েছে সেদিন থেকে শুরু করে ৩য় দিন পর্যন্ত সঙ্গম চালিয়ে যাবেন। তাহলে আপনার গর্ভে সন্তান ধারণ করার পসিবিলিটি বেড়ে যেতে পারে।

. স্ট্যান্ডার্ড ডে পদ্ধতি অবলম্বন করে গর্ভধারণের সময় নির্ণয় করা : 

* এই পদ্ধতিটি অন্য পদ্ধতির তুলনায় অনেকটা সহজ। আপনার পিরিয়ড যদি নিয়মিত হয় তাহলে এই পদ্ধতি ব্যবহার করতে পারেন। তার মানে হল আপনার পিরিয়ড সাইকেল যদি ২৬ থেকে ৩২ দিনের মধ্যে থাকে তাহলে এই পদ্ধতি ব্যবহার করতে পারবেন।

* এই পদ্ধতি অনুযায়ী,  ঋতুস্রাব শুরু হওয়ার পর নাম্বার দিন থেকে ১৯ নাম্বার দিন পর্যন্ত হল গর্ভধারণের সবচেয়ে সম্ভাবনা সময়। অর্থাৎ আপনার যদি তারিখ থেকে মাসিক শুরু হয় তাহলে তারিখ থেকে ১৯ তারিখ পর্যন্ত সময়টাতে আপনার কনসিভ হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি থাকবে। জন্য এই সময়টাতে যৌন সঙ্গম চালিয়ে যেতে হবে।

আরও পড়ুন :

অনিয়মিত ঋতুস্রাবের কারণে শরীরে যে সব সমস্যা দেখা দিতে পারে ?

মেয়েদের অতিরিক্ত সাদা স্রাব(  Leucorrhoea) এর কারণ এবং করণীয় কি ?

পিরিয়ড সাইকেল হিসাব গণণা করার নিয়ম :

গর্ভধারণের জন্য আপনার পিরিয়ড সাইকেলের হিসাব রাখা অত্যন্ত জরুরি। কিন্তু অধিকাংশ নারীরাই ঋতুস্রাব চক্রের দিন গণণায় ভুল করে থাকেন। তাই চলুন পিরিয়ড সাইকেল হিসাব গণণার নিয়ম জেনে নেই

প্রথম যেদিন মাসিক শুরু হয় সেই তারিখটা ক্যালেন্ডারের গায়ে দাগ দিয়ে রাখবেন। এরপর আবার যেদিন শুরু হবে সে তারিখটা দাগ দিতে হবে। এই দুটো তারিখের মধ্যে যত পার্থক্য সেটাই আপনার মাসিকের সাইকেলের দৈর্ঘ্য। উদাহরণ স্বরূপ ধরে নিন, আপনার পিরিয়ড তারিখে শুরু হল, তারপর আবার সেই মাসেরই ২৯ তারিখে পিরিয়ড হল। তাহলে তারিখ থেকে সাইকেল শুরু হয়ে ২৮ তারিখে শেষ হয়েছে। আবার ২৯ তারিখ থেকে নতুন শুরু হল। তাহলে আপনার পিরিয়ড সাইকেল ছিল ২৮ দিনের।

 . ক্যালেন্ডারের তারিখ হিসাব রেখে গর্ভধারণের সময় নির্ণয় করা :

 

ক্যালেন্ডারের তারিখ হিসাব রেখে গর্ভধারণের সময় নির্ণয় করা

* এই পদ্ধতিটি একটু জটিল তবে অনেক ভাল কাজ করে। এখানে আপনাকে অন্তত মাস ধরে মাসিক সাইকেলের হিসাব রাখতে হবে। এতে করে আপনি ছয়টা থেকে সাতটা সাইকেলের দৈর্ঘ্য পেয়ে যাবেন।  সবগুলোর দৈর্ঘ্য একই নাও হতে পারে। কোনটার ক্ষেত্রে ৩৩ দিন আসতে পারে আবার কোনটার ক্ষেত্রে ২৬ দিনও আসতে পারে। যখন আপনি ৬টা দৈর্ঘ্য আপনি পেয়ে যাবেন তখন তার মধ্য থেকে সবচেয়ে লম্বা সবচেয়ে ছোট সাইকেল দুটো নিবেন।

* এবার এই সবচেয়ে ছোট সাইকেল থেকে ১৮ বিয়োগ দিলে যে সংখ্যাটি আপনি পাবেন সেই দিন থেকে আপনার ফার্টাইল উইন্ডো শুরু। আর সবচেয়ে লম্বা সাইকেল থেকে ১১ বিয়োগ দিলে যে সংখ্যাটি পাবেন সেই দিন হল আপনার ফার্টাইল উইন্ডো এর শেষ দিন।

* একটা উদাহরণের মাধ্যমে বুঝে যাক ধরুন, আপনার সবচেয়ে ছোট সাইকেল হল ২৬ দিন। এখান থেকে ১৮ দিন বিয়োগ দিলে হল অর্থাৎ আপনার মাসিক সাইকেলের ৮ম দিন থেকে ফার্টাইল উইন্ডো শুরু হল। এরপর ধরুন, আপনার সবচেয়ে লম্বা সাইকেল হল ৩৩ দিনের। এখান থেকে ১১ বিয়োগ দিলে হয় ২২ অর্থাৎ এই ২২তম দিন হল আপনার পিরিয়ড সাইকেলের শেষ দিন

* তাহলে মাসিক শুরু হওয়ার নম্বর দিন থেকে ২২ নম্বর দিন পর্যন্ত হল আপনার ফার্টাইল উইন্ডো এর যে কোন একদিন আপনার ওভারি বা ডিম্বাশয় থেকে ডিম্বাণু বের হওয়ার সম্ভাবনা আছে। তাই এই সময়টাতে যদি আপনি সহবাস করেন তাহলে শুক্রাণু আগে আগে গিয়ে ডিম্বাণুর জন্য অপেক্ষা করতে পারবে। সুতরাং এই সময়টা হল আপনার গর্ভধারণের সবচেয়ে সম্ভাবনা ময় সময়।

. অন্যান্য পদ্ধতির মাধ্যমে গর্ভধারণের সময় জানা :

গর্ভবতী হওয়ার সময় জানার আরও কিছু পদ্ধতি আছে। সে গুলো হল

pregnancy test kit
ছবি :সংগৃহিত

* বাজারে Ovulation Test Kit  পাওয়া যায় যেগুলো দেখতে কিছুটা প্রেগন্যান্সি টেস্টের মতো। এটি আপনার প্রসাবের হরমোন লেবেল মেপে বলে দিবে কখন ডিম্বাণু বের হয়ে আসতে পারে। গর্ভবতী হওয়ার সময় জানার জন্য এগুলোও ব্যবহার করতে পারেন। তবে এর দাম তুলনামূলক  বেশি।

* আপনার মোবাইল ফোনে কিছু অ্যাপ ডাউনলোড করে নিতে পারেন। যেমন: Flo, Clue, Glow ইত্যাদি। এই অ্যাপ ঋতুস্রাবের তারিখ বসালে তারা ফার্টাইল উইন্ডো হিসাব করে দেয়। তবে সাধারণত এসব অ্যাপ নির্ভরযোগ্য হয় না। এটি ব্যবহার করলে শুধুমাত্র আপনার পিরিয়ড সাইকেলের দৈর্ঘ্য সম্পর্কে একটা ধারণা পেতে পারেন।

* এছাড়াও ডিম্বাণু বের হওয়ার পরে আপনার স্তনে, তলপেটে ব্যথা হতে পারে, পেট ফাঁপা ফাঁপা ভাব লাগতে পারে। কিন্তু এই লক্ষণগুলো ব্যবহার করে ফার্টাইল উইন্ডো করা সাধারণত নির্ভরযোগ্য হয় না।

অবশেষে আমরা বলতে পারি যে,

গর্ভে সন্তান ধারণ করা প্রতিটি নারীর কাছে একটি অতি মূল্যবানকর অনুভূতি। আর ঋতুস্রাবের পর উপরিউক্ত নির্দিষ্ট সময় গুলোতে সহবাস করলে আপনার কনসিভ করার পসিবিলিটি বেড়ে যেতে পারে। তবে গর্ভে সন্তান আসার সম্ভাবনা যে শুধুমাত্র এই একটি বিষয়ের উপর নির্ভর করে এমনটি কিন্তু নয় অনেক গুলো বিষয়ের সাথেই গর্ভবতী হওয়ার বিষয় সম্পর্কিত। গর্ভবতী হওয়ার জন্য যদি আপনি চিকিৎসক বিশেষজ্ঞদের নির্দেশনা অনুযায়ী উপরিউক্ত পদ্ধতি গুলো ঠিক মত অনুসরণ করে অন্তত একদিন অন্তর লাগাতার সঙ্গম করতে পারেন তাহলে আপনার সন্তান ধারণ করতে খুব বেশি হলে বছর সময় লাগতে পারে। আর যদি এই বছরে ফল না পান তাহলে অবশ্যই একজন অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করুন।

Post a Comment

Previous Next