শিশুটি যখন পৃথিবীতে একেবারেই নতুন, সবকিছুর সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে তার সময় লাগে। পৃথিবীর আলো-বাতাস, ধুলো-মাটির সঙ্গে মিলেমিশে বড় হতে থাকে সে। তাই নবজাতকের যত্নের কি কি ভুল আপনার করা উচিত নয়? সেই বিষয়ে জানা জরুরী।
শিশুর জন্মের সঙ্গে সঙ্গে দুজন মানুষের জন্ম হয় মা-বাবা হিসেবে।তাদের বাড়ে অনেক দায়িত্ব। কীসে সন্তানের ভালো হবে সেই চিন্তা করতে থাকেন তারা।
নবজাতকের
যত্ন নিয়ে নানা ধরনের ধারণা প্রচলিত রয়েছে। তার মধ্যে কিছু সত্যিই কার্যকরী, কিছু আবার কুসংস্কার। কিছু কিছু কুসংস্কার বহু বছর ধরে চলে আসছে।
সেসব
মেনে চলতে গিয়ে শিশুর ভালোর বদলে খারাপই হয় বেশি। না
জেনেই শিশুর ক্ষতি ডেকে আনেন অভিভাবকেরা। জেনে নিন যত্নের নামে শিশুর সমস্যা সৃষ্টি করে কোন নিয়মগুলো-
১। নবজাতকের মুখে মধু দেওয়া যাবে না
অনেকেই
নবজাতকের মুখে মধু দেন। বিশেষজ্ঞরা ছয় মাস বয়সের আগে শিশুকে মায়ের দুধ ছাড়া অন্য কোনো খাবার দিতে নিষেধ করেছেন, আপনি অবশ্যই বুঝতে পারবেন যে মধু সরাসরি
দেওয়া কতটা ক্ষতিকর।
এক
বছর বয়সের আগে শিশুকে মধু খেতে দেবেন না। কারণ বোটুলিজম নামক রোগের ঝুঁকি থাকে। যা শিশুর মারাত্মক
ক্ষতির কারণ হতে পারে।
আরো জানুন:
শিশুর বয়স এক বছর না হলে কি কি খাবার দেওয়া যাবে না?
শিশু তথা বাচ্চারা খেতে না চাইলে করনীয় ?
২। নবজাতকের চোখে-কপালে কাজল দিতে নাই
নবজাতকের
চোখে ও কপালে কাজল
লাগান না এমন অভিভাবক
কমই আছেন। এটা বিশ্বাস করা হয় যে এটি শিশুকে
বিভিন্ন লোকের মন্দ নজর থেকে রক্ষা করে।
বলাই
বাহুল্য এটা কুসংস্কার। এদিকে কাজলের কারণে শিশুর কোমল ত্বক নষ্ট হয়ে যায়। সতর্কতা অবলম্বন না করলে শিশুদের
ত্বকে সংক্রমণ হওয়া অস্বাভাবিক নয়।
৩। শিশুর কানের ব্যথার জন্য বুকের দুধ
মায়ের
বুকের দুধ শিশুর জন্য সবচেয়ে পুষ্টিকর। অনেকে মনে করেন, মায়ের বুকের দুধ শিশুর কানের ব্যথায় ড্রপার হিসেবে ব্যবহার করলে উপশম পাওয়া যায়।
কিন্তু এটা সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। শিশুর কানের ভিতর দুধ দিলে তাতে ব্যাকটেরিয়া বাসা বেঁধে সংক্রমণের ভয় বেড়ে যায়।
৪। শিশুকে কাপড়ে শক্ত করে জড়িয়ে নেওয়া
জন্মের
পরপরই বাচ্চাকে তোয়ালে বা কাঁথা দিয়ে
শক্ত করে জড়িয়ে রাখা হয়। এটা বিশ্বাস করা হয় যে শিশুদের পা
সোজা হবে।
কিন্তু
জন্মের পরপরই এই ধরনের অস্বস্তিকর
অবস্থা শিশুর জন্য কঠিন হয়ে পড়ে। এমনকি তার শ্বাস নিতেও সমস্যা হতে পারে। তাই শিশুকে যতটা সম্ভব আরামদায়ক করুন।
৫। নবজাতকের ছাগলের দুধ পুষ্টিকর বলে খাওয়ানো
গরুর
দুধের চেয়ে ছাগলের দুধ বেশি পুষ্টিকর। আর তাই বেশি
পুষ্টির আশায় শিশুদের ছাগলের দুধ খাওয়ানো হয়।
ছয়
মাস বয়সের পর বাচ্চাদের ছাগলের
দুধ দেবেন না। কারণ এটি পুষ্টিগুণে ভরপুর কিন্তু শিশুরা সহজে হজম করতে পারে না।
আরো জানুন: