কী কারণে আপনার এলার্জি হতে পারে ? এলার্জির
লক্ষণ এবং প্রতিকার সম্পর্কে
আপনি কি জানেন ? কিভাবে
এর থেকে নিস্তার পাবেন
? এ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন –
ছবি:সংগৃহিত
এলার্জি( Allergies)বর্তমান সময়ে আমাদের সবার
কাছে একটি অতি পরিচিত
সমস্যা। বিশ্বজুড়ে প্রতিনিয়ত এই সমস্যার প্রকোপ
বৃদ্ধি পাচ্ছে। যার প্রভাব আমাদের
দৈনন্দিন কার্যক্রমের উপর পড়ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে, মূলত অনিয়ন্ত্রিত
জীবনযাপন করার ফলে মানব দেহে এলার্জির ( Allergies)প্রবণতা বেড়েই চলেছে। ধুলো-বালি, যানবাহনের
কালো ধোঁয়া, নির্দিষ্ট কিছু খাবার এবং
ঔষধ, ফুলের রেণু, তীব্র গরম প্রভৃতির কারণে
এলার্জি ক্রমশ বিস্তার লাভ করছে। আমাদের
শরীরে এলার্জি( Allergies)থেকে বিভিন্ন ধরনের
জটিল রোগ সৃষ্টি হওয়ার
ঝুঁকি বেশি থাকে। আমাদের
মধ্যে অনেকেই আছে যারা এলার্জির
হওয়ার কারণ, লক্ষণ, প্রতিকার সম্পর্কে ঠিকমত জানেন না এজন্য চিকিৎসা
করান না এতে করে
আপনার শরীরে এলার্জির প্রভাব বেড়ে যেতে পারে
এবং পরবর্তীতে এটি মারণ ব্যাধিতে
পরিণত হতে পারে। এ
জন্য এলার্জি( Allergies)সম্পর্কে আমাদের বিস্তারিত ধারণা থাকা অত্যন্ত জরুরি।
এলার্জি (Allergy) কি ?
এলার্জি
(Allergy) কে বাংলায় আমরা বলি অতিপ্রতিক্রিয়া।
এলার্জি বা অতিপ্রতিক্রিয়া হল
আমাদের দেহের ইমিউনো সিস্টেম বা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাগত
একটি ত্রুটি। যেটা আমাদের পরিবেশে
অবস্থিত নির্দিষ্ট কিছু বস্তুর উপস্থিতির
কারণে ঘটে থাকে। এই
বস্তুগুলো আমাদের দেহের সংস্পর্শে আসলে বা দেহের
ভিতরে প্রবেশ করলে এদের বিরুদ্ধে
আমাদের ইমিউনো সিস্টেমের অতি সংবেদনশীলতার তৈরি
হয়। এই সংবেদনশীলতা থেকে
একটি তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। এই তীব্র
প্রতিক্রিয়াকে আমরা চিকিৎসা বিজ্ঞানের
ভাষায় এলার্জি (Allergy) বলে থাকি।
এলার্জি
(Allergy) কাদের হয় ?
এলার্জি
(Allergy) হওয়ার কোন নির্দিষ্ট বয়সসীমা
থাকে না অর্থাৎ আপনার
জীবদ্দশার যে কোন সময়ে
আপনার এলার্জি হতে পারে। সাধারণত
যাদের দেহে Immunoglobulin E (IGE) এর পরিমাণ বেশি
থাকে তাদের এলার্জি হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে।
আরও পড়ুন....
এলার্জি
(Allergy) কয় ধরনের হয়ে থাকে ?
একজন
মানুষের শরীরে বিভিন্ন ধরনের এলার্জি (Allergy) বা অতিপ্রতিক্রিয়া দেখা
দিতে পারে। সে গুলো হল
–
* Nickel Allergy (নিকেল এলার্জি)
* Seasonal Allergy (মৌসুমি এলার্জি)
* Poison Ivy Allergy
(পয়েজন আইভি এলার্জি)
* Antibiotic Allergy
(অ্যান্টিবায়োটিক এলার্জি)
* Dust Mite Allergy (ডাস্ট মাইট এলার্জি)
* Pet Allergy (পোষ্য এলার্জি)
* AC Allergy (এসি এলার্জি)
* Latex Allergy (ল্যাটেক্স
এলার্জি)
উপরিউক্ত
এলার্জি বা অতিপ্রতিক্রিয়া ভিতর
থেকে বর্তমানে Latex Allergy (ল্যাটেক্স
এলার্জি) মারাত্নকভাবে প্রভাব বিস্তার করছে যা বেলুন,
রাবার ব্যান্ড, বল, গ্লাভস, কনডম
প্রভৃতির থেকে সৃষ্টি হয়।
এর থেকে আমাদের শরীরে
নানা ধরনের জটিল রোগ সৃষ্টি
হতে পারে এবং ধীরে
ধীরে তাদের শরীরে মারাত্নক ভাবে ক্ষতি হতে
পারে। আমাদের শরীরে এই এলার্জির প্রভাব
বেড়ে গেলে চোখে প্রচন্ড
জ্বালা-পোড়া করা, নাক
দিয়ে অঝরে পানি পড়া,
তীব্র শ্বাসকষ্টের মত খারাপ অবস্থা
দেখা দিতে পারে।
এলার্জির কারণ
আপনার
এলার্জি (Allergy) বা অতিপ্রতিক্রিয়া হওয়ার
পেছনে কয়েকটি উল্লেখ যোগ্য কারণ রয়েছে। কারণ
গুলো সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা
করা হলো –
জেনেটিক
পরিবর্তন :
আপনার
শরীরে যদি কোন জেনেটিক
পরিবর্তন বা জিনগত ত্রুটি
থাকে তাহলে আপনার ইমিউনো সিস্টেমের মধ্যে অতি সংবেদনশীলতা কাজ
করে। যার থেকে পরবর্তীতে
আপনার এলার্জি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
বংশগত
কারণে :
আপনার
পরিবারের কোন সদস্য যদি
আগে থেকে এলার্জির সমস্যায়
ভুগে থাকেন তাহলে আপনার ক্ষেত্রে ও এলার্জিতে আক্রান্ত
হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিতে পারে।
মানসিক
চাপের কারণে :
অতিরিক্ত
মানসিক চাপ বা স্ট্রেস
আপনার প্রতিরক্ষা তন্ত্রকে অতি সংবেদনশীল করে
তোলে। যার ফলে আপনার
দেহে অতিপ্রতিক্রিয়া বা এলার্জির সৃষ্টি
হতে পারে।
ধুলা-বালি থেকে :
বাইরের
ধুলা-বালি যদি আপনার
শরীরে প্রবেশ করলে তাহলে আপনার
চামড়া বা স্কিনে এলার্জি
দেখা দিতে পারে।
আবহাওয়ার
পরিবর্তন হলে :
আবহাওয়া
পরিবর্তন অর্থাৎ অতিরিক্ত গরম বা ঠান্ডা
আবহাওয়ার কারণে ও আপনার এলার্জি
হতে পারে।
অতিরিক্ত
ঘাম হলে :
আপনার
শরীর থেকে যদি অতিরিক্ত
ঘাম ঝরতে থাকে এবং
ঘামের কাপড় যদি আপনি
পড়ে থাকেন তখন ঐ ভেজা
স্কিনে আপনার এলার্জি হতে পারে।
ফুলের
রেণু থেকে :
ফুলের
রেণু সংস্পর্শে গেলে ও আপনার
শরীরে এলার্জি দেখা দিতে পারে।
কারণ ফুলের রেণুতে এলারজেন থাকে যা আপনার
শরীরে প্রবেশ করলে আপনার এলার্জি
হতে পারে।
পোষা
প্রাণীর সংস্পর্শে থাকলে :
আপনি
যদি সব সময় পোষা
প্রাণী যেমন: বিড়াল, কুকুর, পাখি প্রভৃতির সংস্পর্শে
থাকেন এবং এই সব
প্রাণী বাইরের থেকে ক্ষতিকর অনুজীব
বহন করে আনলে সেগুলো
আপনার শরীরে প্রবেশ করলে আপনার এলার্জি
হতে পারে।
মোল্ড
বা ছত্রাক হলে :
মোল্ড
বা ছত্রাক হল এক ধরনের
অনুজীব। এই অনুজীবের কারণে
আপনার শরীরে এলার্জি সৃষ্টি হতে পারে।
সূর্যালোক
রশ্মির কারণে :
দীর্ঘ
সময় ধরে সূর্যালোক রশ্মি
বা সূর্যের আলোতে দাঁড়িয়ে থাকলে আপনার স্কিনে এলার্জি দেখা দিতে পারে।
নির্দিষ্ট
কিছু খাবার খেলে :
নির্দিষ্ট
কিছু খাবার যেমন: বেগুন, চিংড়ি, গরুর মাংস, ইলিশ
মাছ, বাদাম প্রভৃতি অতিরিক্ত মাত্রায় খাওয়ার ফলে আপনার শরীরে
এলার্জি দেখা দিতে পারে।
তবে সবার ইমিউনো সিস্টেম
একই ভাবে কাজ করে
না অর্থাৎ একেকজন মানুষের একেক ধরনের খাবার
খেলে এলার্জি হয় সে ক্ষেত্রে
আপনার কোন খাবারে এলার্জি
হচ্ছে এ বিষয়ে আপনাকে
সচেতন থাকতে হবে।
বিভিন্ন
ধরনের ওষুধ সেবন :
অসুখের
জন্য আপনি নানা ধরনের
ওষুধ খেতে পারেন। তবে
সব ওষুধ আপনার শরীরে
একই ভাবে কাজ করে
না অর্থাৎ কিছু ওষুধ সেবন
করার ফলে আপনার শরীরে
এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে।
যার ফলে আপনার অতিপ্রতিক্রিয়া
বা এলার্জি হতে পারে।
ক্ষতিকর
রাসায়নিক পদার্থের সংস্পর্শে আসলে :
কিছু
কিছু ব্যবহৃত জিনিস যেমন: রাবার, সীসা, প্লাস্টিক, পেট্রোলিয়াম প্রভৃতির সংস্পর্শে আসলে এর থেকে
ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ নির্গত হতে থাকে। যার
ফলে আপনার এলার্জি হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।
কীটনাশক
সারের ভিতরে নাইট্রোজেন, পটাশিয়াম ছাড়া ও বিভিন্ন
ধরনের ক্ষতিকর পদার্থ থাকে। যে গুলোর সংস্পর্শে
থাকলে এসব পদার্থ আপনার
শরীরের ভিতরে ঢুকে তারপর ইমিউনো
সিস্টেমকে ক্ষতিগ্রস্থ করে। এর ফলে
এলার্জি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
এলার্জির লক্ষণ
ছবি :সংগৃহিত
সাধারণত
অতিপ্রতিক্রিয়া বা এলার্জি হলে
আপনার শরীরে নিম্নলিখিত লক্ষ্মণগুলো দেখা দিয়ে থাকে।
লক্ষ্মণ গুলো দেখা দিলে
আপনাকে সতর্ক হয়ে যেতে হবে।
লক্ষ্মণ গুলো হল –
স্কিনে
চুলকানি দেখা দেয়া :
এলার্জি ( Allergies)হলে আপনার স্কিনে বা চামড়ায় চুলকানি
দেখা দিতে পারে। সাধারণত
চুলকানোর স্থানে জ্বালা-পোড়া করতে থাকে।
লাল
বর্ণের র্যাশ ওঠা
:
অতিপ্রতিক্রয়া
বা এলার্জি হলে আপনার ত্বকে
লাল বর্ণের র্যাশ বা
ফুসকুড়ি উঠতে পারে।
চাকা
চাকা দাগ দেখা দেয়া
:
এলার্জির ( Allergies)প্রভাব বেড়ে গেলে আপনার
শরীরের কিছু অংশে চাকা
চাকা দাগ দেখা দিতে
পারে বা শরীর ফুলে
যেতে পারে।
মুখমন্ডল
ফুলে যাওয়া :
আপনার
শরীরে এলার্জির প্রভাব বেড়ে গেলে মুখমন্ডলের
অংশ ঠোঁট, জিহ্বা, মুখ, চোখ প্রভৃতি
ফুলে যেতে পারে।
চোখ
লাল হয়ে যাওয়া :
এলার্জি ( Allergies)হলে আপনার চোখে চুলকানি হতে
পারে। যার ফলে আপনার
চোখ থেকে পানি পড়া,
ফোলা এবং চোখ লাল
হয়ে যেতে পারে।
আপনার
শরীরে যদি এলার্জি বা
অতিপ্রতিক্রিয়া প্রভাব বেড়ে যায় তাহলে
শ্বাসনালীতে ঠিকমত বাতাসের আদান-প্রদান না
থাকার কারণে এ সময় নিঃশ্বাস
নিতে সমস্যা দেখা দিতে পারে।
বুকে
চাপ চাপ বোধ হওয়া
:
এলার্জি( Allergies)বা অতিপ্রতিক্রিয়া হলে আপনার বুকের
ভিতরে চাপ চাপ অনুভূত
হতে পারে। এই চাপের প্রভাব
বেড়ে গেলে আপনার বুকে
ব্যথা ও হতে পারে।
অতিরিক্ত
কাশি হওয়া :
এলার্জি ( Allergies)বা অতিপ্রতিক্রিয়া হলে আপনার হালকা
কাশি হতে পারে। তবে
ধীরে ধীরে যদি এলার্জির
প্রভাব বেড়ে যায় তাহলে
আপনার কাশির মাত্রা বেড়ে যেতে পারে।
পেটে
ব্যাথা করা :
আপনার
এলার্জি হলে পেটে ব্যাথা
করতে পারে এবং আস্তে
আস্তে এই ব্যাথার প্রবণতা
বাড়তে পারে।
বমি
বমি ভাব :
আপনার
শরীরের ভিতরে যদি এলার্জির প্রভাব
মারাত্মক ভাবে বেড়ে যায়
তাহলে আপনার বমি বমি ভাব
বা বমি হতে পারে।
এলার্জি থেকে মুক্তির উপায়
এলার্জি
বা অতিপ্রতিক্রিয়া প্রভাব বেড়ে গেলে সর্বপ্রথমেই
আপনাকে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। এরপর
চিকিৎসক আপনার শরীরে এলার্জির প্রভাবের উপর ভিত্তি করে
প্রয়োজন বোধে নিচের পদ্ধতিতে
চিকিৎসা করে থাকেন। পদ্ধতি
গুলো হল –
অ্যান্টিহিস্টামিন
জাতীয় ওষুধ সেবন :
আপনার
শরীরে এলার্জির প্রভাব অল্প থাকলে চিকিৎসকের
পরামর্শ নিয়ে আপনি অ্যান্টিহিস্টামিন
জাতীয় ওষুধ খেতে পারেন।
এসব ওষুধ: সিরাপ, ড্রপ, ট্যাবলেট প্রভৃতি আকারে ফার্মেসীতে পাওয়া যায়। তবে ওষুধ
সেবনের আগে কোন ওষুধ
আপনার জন্য প্রযোজ্য তা
জানতে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন।
ক্রিম
বা মলম ব্যবহার করা
:
সাধারণত
ত্বকের এলার্জিতে আপনার তেমন কোন ওষুধ
খাওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। এর
জন্য চিকিৎসক আপনাকে এলার্জি প্রতিরোধী ক্রিম বা মলম, লোশন
ব্যবহারের পরামর্শ দিতে পারেন।
স্টেরয়েড
জাতীয় ওষুধ সেবন :
আপনার
এলার্জির মাত্রা খুব বেশি হলে
স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ সেবন করতে
পারেন। তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই
আপনাকে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
ইমিউনোথেরাপি
:
মারাত্নক
এলার্জি( Allergies)হলে চিকিৎসক এই
পদ্ধতিতে চিকিৎসা দিতে পারেন। এর
ফলে আপনার শরীরে এলার্জির প্রভাব কমে যাবে এবং
ইমিউনো সিস্টেম নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
জীবনযাত্রার
পরিবর্তন করা :
আপনাকে
এলার্জি প্রতিরোধ করার জন্য সবার
আগেই জীবনযাত্রার মানের পরিবর্তন করা দরকার। রোগ-ব্যাথি সম্পর্কে সব সময় সচেতন
থাকতে হবে। অসুখ-বিসুখ
দেখা দেয়ার সাথে সাথে হেলা-ফেলা না করে
অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
মানসিক
চাপ মুক্ত থাকা :
এলার্জি( Allergies)প্রতিরোধ করতে হলে আপনাকে
অবশ্যই মানসিক চাপ মুক্ত থাকতে
হবে। এর ফলে আপনার
ইমিউনো সিস্টেমের কার্যক্রম স্বাভাবিক ভাবে চলমান থাকবে
এবং এলার্জি বা অতিপ্রতিক্রিয়ার ঝুঁকি
ও অনেক কমে যাবে।
পরিষ্কার-পরিছন্ন থাকা :
এলার্জির
হাত থেকে নিজেকে রক্ষা
করতে হলে আপনাকে সব
সময় পরিষ্কার-পরিছন্ন থাকতে হবে। বাইরের ধুলা-বালি এড়ানোর জন্য
মুখে মাস্ক পড়তে হবে এবং
বাড়িতে ফিরে গোসল করতে
হবে। এতে করে বাইরের
জীবাণু আপনার শরীরে সহজে প্রবেশ করতে
পারবে না।
অ্যালার্জিজনিত
খাবার ত্যাগ করা :
এলার্জি
বা অতিপ্রতিক্রিয়া প্রতিরোধ করতে হলে অবশ্যই
আপনাকে অ্যালার্জিজনিত খাবার যেমন : বেগুন, চিংড়ি, ইলিশ, গরুর মাংস প্রভৃতি
খাদ্য তালিকা থেকে বাদ দিতে
হবে অথবা পরিমাণে কম
খেতে হবে।
ক্ষতিকর
রাসায়নিক পদার্থের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলা :
এলার্জি
বা অতিপ্রতিক্রিয়া থেকে বাঁচতে হলে
আপনাকে ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থের সংস্পর্শ থেকে এড়িয়ে চলতে
হবে। এর ফলে আপনার
শরীরে ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থের প্রবেশ করতে পারবে না।
যার ফলে আপনার এলার্জি
বা অতিপ্রতিক্রিয়া হওয়ার ঝুঁকি কম থাকবে।
আরও জানুন....
পরিশেষে বলা যায় যে,
এলার্জি ( Allergies)বা অতিপ্রতিক্রিয়া আপনার শরীরে স্বল্প সময়ের জন্য স্থায়ী হলে
ও এর প্রভাবে আপনার
দেহের মারাত্নক ক্ষতি হতে পারে। আপনার
শরীরে এলার্জির প্রকোপ যদি বেড়ে যায়
তাহলে এটি আপনার সুস্থভাবে
জীবনযাপনের পথে ব্যাঘাত সৃষ্টি
করতে পারে। তাই এই সমস্যার
লক্ষ্মণ গুলো সম্পর্কে আমাদের
সবাইকে সচেতন থাকতে হবে এবং এর
প্রকোপ যদি বেড়ে যায়
তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে চিকিৎসা করাতে
হবে।
কারণ প্রাথমিক অবস্থায়
এই রোগের চিকিৎসা করালে আপনি দ্রুতই এই
রোগ থেকে সেরে উঠে
সুস্থ স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারবেন। তাই
আপনি যদি এলার্জি বা
অতিপ্রতিক্রিয়া হাত থেকে বাঁচতে
চান তাহলে অবশ্যই উপরিউক্ত বিষয়গুলোর লক্ষ্য রাখতে হবে এবং সেগুলো
মেনে চলতে হবে এবং
অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে।