Insomnia বা নিদ্রাহীনতা আপনার শরীরে মারাত্নক প্রভাব ফেলতে পারে

 নিদ্রাহীনতার যে মারাত্মক প্রভাব বিস্তারিত

আপনার কি ঠিকমত ঘুম হচ্ছে না ? নিদ্রাহীনতায় (Insomnia) ভুগছেন না তো আবার ? কীভাবে এর থেকে নিস্তার পাবেন ? আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় হল নিদ্রাহীনতানিদ্রাহীনতা (Insomnia) কি এবং কেন হয় সম্পর্কে আপনি কি জানেন ? নিদ্রাহীনতা হলে আপনার শরীরে কোন ধরনের লক্ষ্মণ দেখা যায় ? কীভাবে আপনার নিদ্রাহীনতা প্রতিরোধ করবেন ?তাহলে আর্টিকেলটি সুন্দরভাবে পড়ুন-

নিদ্রাহীনতা আপনার শরীরে মারাত্নক প্রভাব ফেলতে পারে


বর্তমান বিশ্বে এখন আমাদের মধ্যে বেশিরভাগই মানুষ নিদ্রাহীনতা বা ইনসমনিয়া (Insomnia) শিকার হচ্ছেন এবং  প্রতিনিয়ত এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছেঅনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন করার কারণে মূলত নিদ্রাহীনতা হয়ে থাকে আমাদের মধ্যে এমন অনেক মানুষ রয়েছেন যারা প্রাথমিক অবস্থায় নিদ্রাহীনতার লক্ষণ প্রকাশ পাওয়ার পরেও এ সম্পর্কে ঠিকমত বুঝতে পারেন নাএর ফলে Insomnia বা নিদ্রাহীনতা আপনার শরীরে মারাত্নক প্রভাব ফেলতে পারে যার ফলে আপনার শরীরে বিভিন্ন ধরনের জটিল রোগ সৃষ্টি হতে পারে, আপনি হতাশা গ্রস্হ পর্যন্ত হয়ে যেতে পারেন যা আপনার বাঁচার আকাঙ্খাকে অনেক কমিয়ে দিতে পারেতাই Insomnia বা নিদ্রাহীনতা থেকে বাঁচতে সম্পর্কে আমাদের বিস্তারিত ধারণা থাকা অত্যন্ত জরুরি
 

নিদ্রাহীনতা (Insomnia)  কী ?


নিদ্রাহীনতা বা অনিদ্রাকে ইংরেজিতে আমরা বলি ইনসমনিয়া এটি একটি ঘুমের ব্যধি বা রোগ আমাদের মধ্যে প্রায় প্রতিটি মানুষ কম বেশি ঘুমের সমস্যায় ভুগে থাকেন এই সমস্যা যখন প্রতিনিয়ত ঘটতে থাকে বা ঘুমের সব সুযোগ-সুবিধা এবং ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও অনেক চেষ্টা করার পরে যখন আমরা ঘুমাতে পারি না তখন এই অবস্থাকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় আমরা বলি নিদ্রাহীনতা বা ইনসমনিয়া
 

নিদ্রাহীনতা কাদের হয়ে থাকে ?


নিদ্রাহীনতা (Insomnia) নারী পুরুষ উভয়ের মধ্যে দেখা দিতে পারেতবে পুরুষের তুলনায় নারীরা নিদ্রাহীনতায় বেশি ভুগে থাকেনএই রোগের কোন নির্দিষ্ট বয়সসীমা থাকে না অর্থাৎ আপনার জীবদ্দশায় যে কোন সময়েই আপনার নিদ্রাহীনতা বা অনিদ্রা দেখা দিতে পারেতবে যারা মধ্যবয়স্ক রয়েছেন যাদের বয়স ৫০ এর বেশি তাদের মধ্যে এই সমস্যায় ভুগার প্রবণতা বেশি লক্ষ্য করা যায় 
 

নিদ্রাহীনতা (Insomnia) কয় ধরনের হয়ে থাকে ?


সাধারণত মানুষের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের নিদ্রাহীনতা (Insomnia) বা অনিদ্রা দেখা দিতে পারেসে গুলো হল
*  Acute Insomnia (তীব্র অনিদ্রা)
*  Chronic Insomnia (দীর্ঘস্থায়ী অনিদ্রা)
*  Initial Insomnia (প্রাথমিক অনিদ্রা)
*  Secondary Insomnia (সেকেন্ডারি অনিদ্রা)
*  Paradoxical Insomnia (প্যারাডক্সিক্যাল অনিদ্রা)
*  Sleep-onset Insomnia (ঘুমের সূত্রপাত অনিদ্রা)
*  Maintenance Insomnia (ঘুম রক্ষণাবেক্ষণের অনিদ্রা)
*  Mixed Insomnia (মিশ্র অনিদ্রা)
 
উপরিউক্ত নিদ্রাহীনতা বা অনিদ্রাগুলোর ভিতর থেকে Secondary Insomnia (সেকেন্ডারি অনিদ্রা) এর সমস্যায় ভুগা ব্যক্তিরা আগে থেকেই বিভিন্ন ধরনের জটিল রোগে ভুগে থাকে এবং নিদ্রাহীনতায় তাদের অবস্থা আরও বেশি খারাপ হয়ে যেতে পারে 


 কী কারণে আপনার নিদ্রাহীনতা (Insomnia) হতে পারে ?


আপনার নিদ্রাহীনতা (Insomnia) হওয়ার পেছনে রয়েছে কয়েকটি উল্লেখযোগ্য কারণ থাকতে পারে কারণগুলো সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত জেনে নিন :


মানসিক চাপের কারণে :


আপনার জীবনে কিছু ব্যক্তিগত সমস্যা যেমন : পড়াশোনা, বিয়ে, চাকরি, ব্যবসা-বাণিজ্য প্রভৃতি নিয়ে অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা থাকার কারণে আপনার মানসিক চাপের প্রভাব বেড়ে যেতে পারে যার ফলে আপনার নিদ্রাহীনতা বা ঘুমের ব্যাঘাত ঘটতে পারে

আরও জানুন:


ডিপ্রেশনে ভুগলে :

আপনার মস্তিষ্কে যদি ডিপ্রেশনের প্রভাব বেশি থাকে তাহলে আপনার মানসিক চাপ বৃদ্ধি পেতে পারেযার ফলে আপনার নিদ্রাহীনতা বা ইনসমনিয়া দেখা দিতে পারে


ধূমপান করলে :


ধূমপান করার ফলে আপনার শরীরে মানসিক চাপের প্রভাব বেড়ে যেতে পারে সিগারেটের ভিতরে থাকা ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থের কারণে যার ফলে আপনার নিদ্রহীনতা বা ঘুম না আসার প্রবণতা বেড়ে যায়


অ্যালকোহল জাতীয় দ্রব্য গ্রহণ করলে :


আপনি যদি মদ বা অ্যালকোহল জাতীয় দ্রব্য বেশি খান তাহলে এর ভিতরে থাকা উচ্চ মাত্রার অ্যালকোহল আপনার স্বাভাবিক ঘুমের অভ্যাসে ব্যাঘাত ঘটাতে পারেযার ফলে আপনার ইনসমনিয়া বা নিদ্রাহীনতার সমস্যা দেখা দিতে পারে


অতিরিক্ত ক্যাফেইন পান করলে :


আপনি ক্যাফেইন জাতীয় দ্রব্য যেমন : চা, কফি ইত্যাদি খেলে এগুলো আপনার ঘুম কমাতে সাহায্য করেএগুলো বেশি খেলে আপনার ঘুমের প্রবণতাকে কমিয়ে দিতে পারেযার ফলে আপনার নিদ্রাহীনতা বা ইনসমনিয়া হতে পারে

অতিরিক্ত ঔষধ সেবনের কারণে :

আপনি যদি প্রয়োজন ছাড়া বেশি ঔষধ খান তাহলে ওষুধ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারণে ও আপনার নিদ্রাহীনতা বা ইনসমনিয়ার সমস্যা দেখা দিতে পারে
 

অতিরিক্ত কাজের চাপের কারণে :


আপনার কাজের চাপ যদি বেশি থাকে তাহলে অনেক রাত জেগে কাজ করার ফলে আপনার ঘুমের ব্যাঘাত ঘটতে পারেনিয়মিত এ রকম হলে এটি এক সময় অভ্যাসে পরিণত হতে পারেতখন আপনার নিদ্রাহীনতা বা ইনসমনিয়ার প্রভাব বেড়ে যেতে পারে


জটিল রোগে আক্রান্ত থাকলে :


আপনার যদি আগে থেকে জটিল রোগ যেমন ডায়াবেটিসউচ্চ রক্তচাপহাঁপানি প্রভৃতির কারণে আপনার মানসিক অবসাদ বেড়ে যেতে পারে। যার ফলে ইনসমনিয়া বা নিদ্রাহীনতার সমস্যা হতে পারে 


পরিবেশগত সমস্যার কারণে :


আপনার চারপাশের পরিবেশে হট্টগোল, কোলাহল যদি সব সময় বেশি থাকে তাহলে আপনার নিদ্রাহীনতা বা ইনসমনিয়ার সমস্যা দেখা দিতে পারে

 
নিদ্রাহীনতা (Insomnia) হলে শরীরে যে লক্ষণ দেখা যায় ?


সাধারণত নিদ্রাহীনতা বা Insomnia  হলে আপনার শরীরে নিম্নলিখিত লক্ষ্মণগুলো দেখা দিয়ে থাকে লক্ষ্মণ গুলো দেখা দিলে আপনাকে সতর্ক হয়ে যেতে হবে লক্ষ্মণ গুলো হল

রাতে ঘুমাতে সমস্যা হওয়া :


নিদ্রাহীতা বা ইনসমনিয়ার কারণে রাতে আপনার ঘুমের ব্যাঘাত ঘটতে পারেঅর্থাৎ এ সময় ঘুম আসলে ও হঠাৎ করে মাঝ রাতে ঘুম ভেঙ্গে যেতে পারেতখন চেষ্টা করে ও আপনি আর ঘুমাতে পারেন না


ঘুমানোর সময়ে দুশ্চিন্তা করা :


ইনসমনিয়া বা নিদ্রাহীনতায় ভুগলে আপনার ঘুমের ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও এ সময় আপনি যদি কিছু নিয়ে দুশ্চিন্তা করেন তখন এর প্রভাবে আপনার ঘুমে ব্যাঘাত সৃষ্টি হতে পারে

অতিরিক্ত ক্লান্তি অনুভব করা :

ইনসমনিয়া বা নিদ্রাহীতায় ভুগলে আপনার শরীর অনেক দূর্বল হয়ে পড়তে পারে এবং এ সময় আপনার অতিরিক্ত ক্লান্তি অনুভূত হয়ে থাকতে পারে  


খিটখিটে স্বভাবের হওয়া :


নিদ্রাহীতা বা ইনসমনিয়ার কারণে আপনার স্বভাবে পরিবর্তন দেখা দিতে পারেধীরে ধীরে আপনার শরীরের ওপর এর প্রভাব বাড়লে আপনি খিটখিটে স্বভাবের হয়ে যেতে পারেন

স্মৃতিশক্তি হ্রাস পাওয়া :

ইনসমনিয়া বা নিদ্রাহীতায় ভুগলে আপনার মস্তিষ্কে অতিরিক্ত চাপের সৃষ্টি হতে পারেএর ফলে আপনার স্মৃতিশক্তি হ্রাস পেতে পারে

কাজের প্রতি অনীহা :


ইনসমনিয়া বা নিদ্রাহীতায় ভুগলে আপনার কোন কাজেই ঠিক মত মন বসে নাযার ফলে আপনার সব কাজের প্রতিই একটা অনীহা চলে আসে

মেজাজ পরিবর্তন হওয়া :

নিদ্রাহীতা বা ইনসমনিয়ার কারণে অনেক সময় নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ না থাকার কারণে হুটহাট করে আপনার মেজাজ পরিবর্তন হয়ে যেতে পারে

স্বজন থেকে বিচ্ছেদ হওয়া :


ইনসমনিয়া বা নিদ্রাহীতায় ভুগার কারণে আপনার নিজের স্বজন, বন্ধু -বান্ধবদের সাথে কথা বলার ইচ্ছাশক্তি অনেক কমে যেতে পারেএমনকি সময় আপনার বন্ধু -বান্ধব, স্বজনদের থেকে বিচ্ছেদ হওয়ার প্রবণতা বেড়ে যেতে পারেঅর্থাৎ সময় আপনার একাকীত্বকে বেছে নিতে ইচ্ছা করে

আপনার নিদ্রাহীনতা হলে কী উপায়ে প্রতিকার করবেন ?


নিদ্রাহীনতার লক্ষ্মণ প্রকাশ পাওয়ার সাথে সাথেই আপনাকে সবার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবেএরপর চিকিৎসক আপনার মস্তিষ্কে এই চাপের অবস্থানের উপর ভিত্তি করে প্রয়োজন বোধে নিচের পদ্ধতিতে চিকিৎসা করে থাকেন পদ্ধতি গুলো হল

কগনিটিভ থেরাপি:


এই পদ্ধতির মাধ্যমে চিকিৎসক আপনাকে  ইতিবাচক নেতিবাচক চিন্তা-ভাবনা চেনাতে সাহায্য করে থাকেন এবং কিভাবে মানসিক চাপ মুক্ত থাকা যায় সে সম্পর্কে সহায়তা প্রদান করেন

আচারণগত থেরাপি:


এই পদ্ধতিতে চিকিৎসক আপনার সকল প্রকার খারাপ আচারণ এবং অভ্যাস যা আপনার ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে সব আচরণ অভ্যাস পরিবর্তন করতে সাহায্য করে থাকেন  


কীভাবে নিদ্রাহীনতা বা উদ্বেগ প্রতিরোধ করবেন ?


নিদ্রাহীনতা বা Insomnia এর থেকে বাঁচতে হলে আপনাকে নিম্নোক্ত বিষয়গুলোর প্রতি মনোযোগ দিতে হবে এবং সেগুলো ঠিক মত পালন করতে হবেবিষয়গুলো হল


জীবনযাত্রার পরিবর্তন করা :


আপনাকে নিদ্রাহীনতা প্রতিরোধ করার জন্য সবার আগেই জীবনযাত্রার মানের পরিবর্তন করা দরকার আপনি হতাশা বা দুশ্চিন্তায় না ভুগে আপনার সমস্যা গুলো পরিবার, বন্ধু-বান্ধবদের সাথে শেয়ার করুন প্রয়োজন পড়লে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে

মানসিক অবসাদ দূর করা :

নিদ্রাহীনতা প্রতিরোধ করতে হলে আপনাকে অবশ্যই মানসিক চাপ মুক্ত থাকতে হবেএর ফলে আপনার মানসিক বিকাশ স্বাভাবিক থাকবে, শরীর সুস্থ থাকবে এবং নিদ্রাহীনতা ঝুঁকি কমে যাবে


পরিপূর্ণ বিশ্রাম নেয়া :


ইনসমনিয়া বা নিদ্রাহীনতা প্রতিরোধ করার জন্য আপনাকে নিয়মিত বিশ্রাম করতে হবেএটি আপনাকে মানসিক চাপ মুক্ত থাকতে সহায়তা করে। যার ফলে আপনার ঘুমে ব্যাঘাত সৃষ্টির প্রবণতা কম থাকবে।

দৈনন্দিন ব্যায়াম বা শরীরচর্চা করা :

আপনি যদি নিয়মিত যদি শরীরচর্চা এবং ব্যায়াম করেন তাহলে ইনসমনিয়া বা নিদ্রাহীনতা প্রতিরোধে আপনি অধিক কার্যকরী ফল পেতে পারেন তাই প্রতিদিন অন্তত আপনার ৩০ মিনিট শারীরিক ব্যায়াম করা উচিত  


সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ব্যবহার কম করা :


ইনসমনিয়া বা নিদ্রাহীনতা প্রতিরোধ করার জন্য আপনাকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ব্যবহার কমিয়ে দিতে হবে। কারণ এর অতিরিক্ত ব্যাবহার আপনার মস্তিষ্কের চাপকে বাড়িয়ে দেয় যার ফলে আপনার সহজে ঘুম আসতে চায় না। তাই আপনাকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ব্যাবহার কমিয়ে দিয়ে পরিবার এবং নিজেকে সময় দিতে হবে।


ধূমপান এবং মদ্যপান ত্যাগ করা :


ইনসমনিয়া বা নিদ্রাহীনতা প্রতিরোধ করতে হলে সবার প্রথমেই আপনাকে ধূমপান এবং মদ্যপান করা বন্ধ করে দিতে হবে এর ফলে ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থগুলো আপনার শরীরের ভিতরে প্রবেশ করতে পারবে না এবং মস্তিষ্কের ভিতরে চাপের পরিমাণ ও স্বাভাবিক থাকবে এবং ঘুম ঠিক মত হবে

 
পরিশেষে বলা যায় যে,

 
আমরা জানি,নিদ্রাহীনতা একটি মারাত্মক ঘুমের ব্যাধি আপনার জীবনে নিদ্রাহীনতার প্রকোপ যদি বেড়ে যায় তাহলে এটি আপনার সুস্থভাবে বেঁচে থাকার আকাঙ্খাকে অনেক কমিয়ে দিতে পারে তাই এই রোগের লক্ষণ গুলো সম্পর্কে আমাদের সবাইকে সচেতন থাকতে হবে এবং এর প্রকোপ যদি বেড়ে যায় তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে চিকিৎসা করাতে হবে কারণ প্রাথমিক অবস্থায় এই রোগের চিকিৎসা করালে আপনি দ্রুতই এই রোগ থেকে সেরে উঠে সুস্থ স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারবেন তাই আপনি যদি Insomnia বা নিদ্রাহীনতার হাত থেকে বাঁচতে চান তাহলে অবশ্যই উপরিউক্ত বিষয়গুলোর লক্ষ্য রাখতে হবে এবং সেগুলো মেনে চলতে হবে এবং অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে  

Post a Comment

Previous Next