বর্তমান বিশ্বে এখন আমাদের মধ্যে বেশিরভাগই মানুষ বিষণ্নতা বা Depression শিকার হচ্ছেন এবং প্রতিনিয়ত এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন করার কারণে মূলত ডিপ্রেশন হয়ে থাকে। অনেক সময় ডিপ্রেশন আপনার মৃত্যুর কারণ হয়ে ও দাঁড়াতে পারে। আমাদের মধ্যে এমন অনেক মানুষ রয়েছেন যারা প্রাথমিক অবস্থায় ডিপ্রেশন লক্ষ্মণ প্রকাশ পাওয়ার পরেও এ সম্পর্কে ঠিকমত বুঝতে পারেন না। এর ফলে ডিপ্রেশন আপনার শরীরে মারাত্নক প্রভাব ফেলতে পারে যার ফলে আপনার বিভিন্ন ধরনের জটিল রোগ সৃষ্টি করতে পারে এবং আপনার জীবনের বাঁচার আকাঙ্খাকে অনেক কমিয়ে দিতে পারে। তাই ডিপ্রেশন থেকে বাঁচতে এ সম্পর্কে আমাদের বিস্তারিত ধারণা থাকা অত্যন্ত জরুরি।
Depression আসলে কী ?
Depressionকে বাংলায় আমরা বলি বিষণ্নতা।
চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় অনেক সময় হতাশাগ্রস্থ
হওয়াকে ও আমরা ডিপ্রেশন
বলে থাকি। এটি মূলত একটি
মানসিক রোগ। আমাদের জীবনে
কোন একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা
বা দূর্ঘটনা কারণে আমরা প্রায় সময়
ঐ বিষয়টিকে নিয়ে চিন্তা করতে
থাকি। কিন্তু যখন এই চিন্তা-ভাবনার মাত্রাতিরিক্ত হয়ে যায় এবং
আমাদের মানসিক ধারণ ক্ষমতার বাইরে
চলে যায় তখন এই
অবস্থাটিকে আমরা বলে থাকি
ডিপ্রেশন বা বিষণ্নতা।
Depression কাদের হয়ে থাকে ?
Depression নারী ও পুরুষ উভয়ের
মধ্যে দেখা দিতে পারে।
তবে পুরুষের তুলনায় নারীরা ডিপ্রেশনে বেশি ভুগে থাকেন।
এই রোগের কোন নির্দিষ্ট বয়সসীমা
থাকে না অর্থাৎ যে
কোন বয়সেই আপনার ডিপ্রেশন দেখা দিতে পারে।
তবে বর্তমানে তরুণ-তরুণীদের মধ্যে
অর্থাৎ যাদের বয়স ১৮-৩৫
ভিতরে রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে এই রোগে আক্রান্তের
প্রবণতা বেশি লক্ষ্য করা
যাচ্ছে।
Depression কয় ধরনের হয়ে থাকে ?
সাধারণত
মানুষের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের Depression বা বিষণ্নতা দেখা
দিতে পারে। সে গুলো হল
–
* Major Depressive
Disorder (মেজর
ডিপ্রেসিভ ডিজঅর্ডার)
* Persistent Depressive
Disorder (ক্রমাগত ডিপ্রেসিভ ডিজঅর্ডার)
* Bipolar (বাইপোলার ডিপ্রেশন)
* Perinatal (পেরিন্যাটাল
এবং প্রসবোত্তর হতাশা)
* Premenstrual
Dysphoric Disorder (প্রাক-মাসিক ডিসফোরিক ডিজঅর্ডার)
* Seasonal Affective
Disorder (মৌসুমী অনুষঙ্গ ডিজঅর্ডার)
উপরিউক্ত
ডিপ্রেশন গুলোর ভিতর থেকে Major Depressive Disorder (মেজর ডিপ্রেসিভ ডিজঅর্ডার)
সবচেয়ে বিপদজনক। এর সমস্যায় ভুগা
ব্যক্তিদের জীবনের প্রতি হতাশা সবথেকে বেশি থাকে এবং
তাদের মধ্যে দূর্ঘটনা ঘটানোর প্রবণতা ও তুলনামূলক ভাবে
অনেক বেশি থাকে।
কী কারণে আপনার Depression হতে পারে ?
আপনার
Depression হওয়ার পেছনে রয়েছে কয়েকটি উল্লেখযোগ্য কারণ থাকতে পারে।
কারণগুলো সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত জেনে
নিন :
জেনেটিক
পরিবর্তন :
আপনার
শরীরে যদি কোন জেনেটিক
পরিবর্তন বা জিনগত ত্রুটি
থাকে তাহলে আপনার মানসিক চাপ অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি
পেতে পারে। যার থেকে পরবর্তীতে
আপনার মধ্যে ডিপ্রেশন বা বিষণ্নতা সৃষ্টি
হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
বংশগত
কারণে :
আপনার
পরিবারের কোন সদস্য যদি
আগে থেকে ডিপ্রেশন বা
বিষণ্নতায় ভুগে থাকেন তাহলে
আপনার উপর ও এই
ডিপ্রেশন বা বিষণ্নতার প্রভাব
দেখা দেওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।
ব্যক্তিগত
সমস্যার কারণে :
আপনার
জীবনে কিছু ব্যক্তিগত সমস্যা
যেমন : পড়াশোনা, বিয়ে, চাকরি, ব্যবসা-বাণিজ্য প্রভৃতি নিয়ে অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা
কারণে ও আপনার মানসিক
চাপের প্রভাব বেড়ে যেতে পারে।
যার ফলে আপনার ভিতরে
বিষণ্নতা বা ডিপ্রেশন কাজ
করতে পারে।
ধূমপান
করলে :
ধূমপান
করার ফলে আপনার শরীরে
মানসিক চাপের প্রভাব বেড়ে যেতে পারে
সিগারেটের ভিতরে থাকা ক্ষতিকর রাসায়নিক
পদার্থের কারণে। যার ফলে আপনার
ডিপ্রেশন বা বিষণ্নতা হওয়ার
ঝুঁকি বেড়ে যায়।
হরমোনের
সমস্যা থাকলে :
আপনার
যদি আগে থেকে হরমোনের
কোন সমস্যা থাকে তাহলে এসব
সমস্যা আপনার মস্তিষ্ককে প্রভাবিত করতে পারে। যার
ফলে আপনার ডিপ্রেশন বা বিষণ্নতার সম্ভাবনা
বেড়ে যায়।
অ্যালকোহল
জাতীয় দ্রব্য গ্রহণ করলে :
আপনি
যদি মদ বা অ্যালকোহল
জাতীয় দ্রব্য বেশি খান তাহলে
এর ভিতরে থাকা উচ্চ মাত্রার
অ্যালকোহল আপনার স্বাভাবিক মানসিক বিকাশে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। যার ফলে আপনার
ডিপ্রেশন বা বিষণ্নতার সমস্যা
দেখা দিতে পারে।
ক্ষতিকর
রাসায়নিক পদার্থের প্রবেশ :
আপনার
শরীরে ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থের প্রবেশ করলে এটি আপনার
মস্তিষ্ককে প্রভাবিত করতে পারে। যার
ফলে আপনার ডিপ্রেশন বা বিষণ্নতা হওয়ার
ঝুঁকি রয়েছে।
ডিপ্রেশন (Depression) হলে আপনার শরীরে কোন ধরনের লক্ষ্মণ দেখা যায় ?
সাধারণত
ডিপ্রেশন বা বিষণ্নতা হলে
আপনার শরীরে নিম্নলিখিত লক্ষ্মণগুলো দেখা দিয়ে থাকে।
লক্ষ্মণ গুলো দেখা দিলে
আপনাকে সতর্ক হয়ে যেতে হবে।
লক্ষ্মণ গুলো হল –
মাথা
ব্যথা করা :
ডিপ্রেশন
বা বিষণ্নতা হলে আপনার মানসিক
চাপ স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি
বেড়ে যায়। যার ফলে
এ সময় আপনার প্রচন্ড
মাথা ব্যথা করতে পারে।
মেজাজ
পরিবর্তন হওয়া :
ডিপ্রেশন
বা বিষণ্নতার কারণে নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ না
থাকার কারণে হুটহাট করে আপনার মেজাজ
পরিবর্তন হয়ে যেতে পারে।
খিটখিটে
স্বভাবের হওয়া :
ডিপ্রেশন
বা বিষণ্নতার কারণে আপনার স্বভাবে পরিবর্তন দেখা দিতে পারে।
ধীরে ধীরে আপনার শরীরের
ওপর এর প্রভাব বাড়লে
আপনি খিটখিটে স্বভাবের হয়ে যেতে পারেন।
কাজের
প্রতি অনীহা :
ডিপ্রেশন
বা বিষণ্নতায় ভুগলে আপনার কোন কাজেই ঠিক
মত মন বসে না।
যার ফলে আপনার সব
কাজের প্রতিই একটা অনীহা চলে
আসে।
নিজেকে
অপরাধী মনে করা :
আপনার
শরীরে বিষণ্নতার প্রভাব
বেশি হলে আপনার জীবনে
যে কোন ছোট-বড়
দূর্ঘটনার কারণ হিসেবে আপনি
নিজেকে দায়ী বা অপরাধী
মনে করতে থাকেন।
সাধারণ Depression) ত বিষণ্নতায় ভুগলে আপনার কোমরের ব্যথা বা পিঠের ব্যথা হতে পারে এবং ধীরে ধীরে আপনার এই ব্যথার প্রবণতা বাড়তে পারে এবং সমস্ত শরীরে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
ক্ষুধা
কমে যাওয়া :
ডিপ্রেশন
বা বিষণ্নতায় ভুগার কারণে আপনার খাবার খাওয়ার ইচ্ছা বা চাহিদা অনেক
কমে যেতে পারে।
অতিরিক্ত
ক্লান্তি অনুভব করা :
Depressionবা বিষণ্নতায় ভুগলে আপনার শরীর অনেক দূর্বল
হয়ে পড়তে পারে এবং
এ সময় আপনার অতিরিক্ত
ক্লান্তি অনুভূত হয়ে থাকতে পারে।
স্বজন
থেকে বিচ্ছেদ হওয়া :
বিষণ্নতায় ভুগার কারণে আপনার নিজের স্বজন, বন্ধু -বান্ধবদের সাথে কথা বলার
ইচ্ছাশক্তি অনেক কমে যেতে
পারে। এ সময় আপনার
ধীরে ধীরে বন্ধু -বান্ধব,
স্বজনদের থেকে বিচ্ছেদ হওয়ার
প্রবণতা বেড়ে যায়। অর্থাৎ
এ সময় আপনার একাকীত্বকে
বেছে নিতে ইচ্ছা করে।
নিদ্রাহীনতায়
ভুগা :
আপনার
শরীরে যখন ডিপ্রেশন বা
বিষণ্নতার প্রভাব বেশি হয়ে যায়
তখন আপনার ঘুমানোর প্রবণতা অনেক কমে যেতে
পারে। এ সময় আপনার
নিদ্রাহীনতায় ভুগার সম্ভাবনা থাকে।
অ্যালকোহল
সেবনের মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়া :
আপনার
শরীরে ডিপ্রেশন বা বিষণ্নতার প্রভাব
বেশি হলে আপনার অ্যালকোহল
সেবনের মাত্রা ক্রমাগত ভাবে বৃদ্ধি পেতে
থাকে।
চিন্তা-ভাবনা করতে অসুবিধা :
ডিপ্রেশন
বা বিষণ্নতা ভুগলে আপনার কোন কিছু চিন্তা-ভাবনা করতে গেলে মস্তিষ্কে
চাপ সৃষ্টি হতে পারে। এর
ফলে আপনার চিন্তা-ভাবনা করতে ও অসুবিধা
হতে পারে।
Depression হলে কোন ধরনের পরীক্ষা-নীরিক্ষা করা হয় ?
আপনার মস্তিষ্কের উপর ডিপ্রেশন বা বিষণ্নতার প্রভাব ও ধরণ অনুযায়ী চিকিৎসক নিম্ন লিখিত পরীক্ষা-নীরিক্ষা গুলো করে থাকেন। পরীক্ষা-নীরিক্ষা গুলো হল –
* Physical Test (শারীরিক পরীক্ষা)
* Lab Test (ল্যাব পরীক্ষা)
* Blood Test (রক্ত পরীক্ষা)
* Questionnaire Test (প্রশ্নাবলীর পরীক্ষা)
উপরিউক্ত
পরীক্ষা-নীরিক্ষাগুলো করার আগে অবশ্যই
আপনাকে চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে।
আপনার
Depression হলে কী উপায়ে
প্রতিকার করবেন ?
ডিপ্রেশন
বা বিষণ্নতা হলে সর্বপ্রথমেই আপনাকে
চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। এরপর
চিকিৎসক আপনার শরীরে এর প্রভাবের উপর
ভিত্তি করে প্রয়োজন বোধে
নিচের পদ্ধতিতে চিকিৎসা করে থাকেন। পদ্ধতি
গুলো হল –
জ্ঞানভিত্তিক
আলোচনা মাধ্যমে :
এই পদ্ধতিতে চিকিৎসক আপনাকে কিছু মোটিভেশনাল স্পিচ
বা জ্ঞানভিত্তিক আলোচনা মাধ্যমে আপনার ডিপ্রেশন বা বিষণ্নতার কারণগুলোকে
কমিয়ে আনতে সাহায্য করে
থাকেন।
সাইকোথেরাপি
:
এই পদ্ধতিতে চিকিৎসক আপনার জীবনের অতীত থেকে বর্তমান
পর্যন্ত সব তথ্য অনুসন্ধান
করবেন এবং হতাশার কারণ
খুঁজে বের করবেন। এরপরে
ডিপ্রেশন বা বিষণ্নতাকে কীভাবে
দূর করে নিজের জীবনের
সাথে খাপ-খাইয়ে চলবেন
সেই বিষয়ের পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
আপনার
ডিপ্রেশন বা বিষণ্নতা যখন
চরম পর্যায়ে পৌঁছে যায় তখন চিকিৎসক
আপনাকে ইলেকট্রকনভালডিভ থেরাপি বা শক থেরাপি
দিতে পারেন। এটি আপনার মস্তিষ্কের
কোষগুলোকে উজ্জীবিত করতে সাহায্য করে
থাকে।
মেডিটেশন
থেরাপি :
এই পদ্ধতির চিকিৎসক আপনার মানসিক চাপ, ভয়, উদ্বেগকে
নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে
থাকে। এর
ফলে আপনার ডিপ্রেশনের প্রবণতা অনেক কমে যেতে
পারে।
কীভাবে আপনার ডিপ্রেশন বা বিষণ্নতা প্রতিরোধ করবেন ?
ডিপ্রেশন
বা বিষণ্নতা এর থেকে বাঁচতে
হলে আপনাকে নিম্নোক্ত বিষয়গুলোর প্রতি মনোযোগ দিতে হবে এবং
সেগুলো ঠিক মত পালন
করতে হবে। বিষয়গুলো হল
–
জীবনযাত্রার
পরিবর্তন করা :
আপনাকে
ডিপ্রেশন প্রতিরোধ করার জন্য সবার
আগেই জীবনযাত্রার মানের পরিবর্তন করা দরকার। আপনি
হতাশা বা দুশ্চিন্তায় না
ভুগে আপনার সমস্যা গুলো পরিবার, বন্ধু
-বান্ধবদের শেয়ার করুন এবং প্রয়োজনে
একজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে পারেন।
মানসিক
চাপ মুক্ত থাকা :
ডিপ্রেশন
প্রতিরোধ করতে হলে আপনাকে
অবশ্যই মানসিক চাপ মুক্ত থাকতে
হবে। এর ফলে আপনার
মস্তিষ্কের বিকাশ ও স্বাভাবিক থাকবে
এবং ডিপ্রেশন বা বিষণ্নতার ঝুঁকি
ও অনেক কমে যাবে।
পরিপূর্ণ
বিশ্রাম নেয়া :
ডিপ্রেশন
বা বিষণ্নতা প্রতিরোধ করার জন্য আপনাকে
নিয়মিত বিশ্রাম করতে হবে। এটি
আপনাকে মানসিক চাপ মুক্ত থাকতে
সহায়তা করে।
আপনি
যদি নিয়মিত যদি শরীরচর্চা এবং
ব্যায়াম করেন তাহলে ডিপ্রেশন
বা বিষণ্নতা প্রতিরোধে আপনি অধিক কার্যকরী
ফল পেতে পারেন। তাই
প্রতিদিন অন্তত আপনার ৩০ মিনিট শারীরিক
ব্যায়াম করা উচিত।
জেনে নিন-মাথা ব্যথার কারণ কী? মাথাব্যথা হলে কি করবেন?
সামাজিক
যোগাযোগমাধ্যমের ব্যবহার কম করা :
ডিপ্রেশন
বা বিষণ্নতা প্রতিরোধ করার জন্য আপনাকে
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ব্যবহার কমিয়ে দিতে হবে। কারণ
এর অতিরিক্ত ব্যাবহার আপনার ডিপ্রেশনকে বাড়িয়ে দেয়। তাই
আপনাকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ব্যাবহার কমিয়ে দিয়ে পরিবার এবং
নিজেকে সময় দিতে হবে।
ধূমপান
এবং মদ্যপান ত্যাগ করা :
ডিপ্রেশন
বা বিষণ্নতা প্রতিরোধ করতে হলে সবার
প্রথমেই আপনাকে ধূমপান এবং মদ্যপান করা
বন্ধ করে দিতে হবে।
এর ফলে ক্ষতিকর রাসায়নিক
পদার্থগুলো আপনার শরীরের ভিতরে প্রবেশ করতে পারবে না
এবং মস্তিষ্কের ভিতরে চাপের পরিমাণ ও স্বাভাবিক থাকবে।
পরিশেষে বলা যায় যে,
আমরা জানিDepression বা বিষণ্নতা একটি মারাত্মক ব্যাধি। আপনার জীবনে ডিপ্রেশনের প্রকোপ যদি বেড়ে যায় তাহলে এটি আপনার বাঁচার আকাঙ্খাকে অনেক কমিয়ে দিতে পারে। তাই এই রোগের লক্ষ্মণ গুলো সম্পর্কে আমাদের সবাইকে সচেতন থাকতে হবে এবং লক্ষ্মণ প্রকাশের সাথে সাথে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে চিকিৎসা করাতে হবে। কারণ প্রাথমিক অবস্থায় এই রোগের চিকিৎসা করালে আপনি দ্রুতই এই রোগ থেকে সেরে উঠে সুস্থ স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারবেন। তাই আপনি যদি Depression বা বিষণ্নতার হাত থেকে বাঁচতে চান তাহলে অবশ্যই উপরিউক্ত বিষয়গুলোর লক্ষ্য রাখতে হবে এবং সেগুলো মেনে চলতে হবে এবং অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে।