এজমা বা হাঁপানি কি কেন হয়, অ্যাজমা হলে শরীরের কোন ধরনের লক্ষণ দেখা দিতে পারে, কিভাবে এই রোগ থেকে নিস্তার পাবেন, এই সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য নিয়ে আজকের আর্টিকেলে আলোচনা করা হয়েছে। আপনারা যারা এই সংক্রান্ত তথ্য জানতে আগ্রহে মূলত তাদের জন্য আজকের আমাদের এই আর্টিকেল। চলুন জেনে নেওয়া যাক এই সংক্রান্ত তথ্যগুলো।
ছবি :সংগৃহিত
বর্তমান
বিশ্বে এখন আমাদের মধ্যে
বেশিরভাগই মানুষ অ্যাজমা বা হাঁপানি সমস্যায়
ভুগছেন এবং প্রতিনিয়ত এই
রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন করার কারণে মূলত
অ্যাজমা হয়ে থাকে। আমাদের
মধ্যে এমন অনেক মানুষ
রয়েছেন যারা প্রাথমিক অবস্থায়
অ্যাজমার লক্ষ্মণ প্রকাশ পাওয়ার পরেও এ সম্পর্কে
ঠিকমত বুঝতে পারেন না।
এর ফলে
অ্যাজমা বা হাঁপানি আপনার
শরীরে মারাত্নক ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে। অ্যাজমা থেকে আপনার শরীরে
বিভিন্ন ধরনের জটিল রোগ সৃষ্টি
হতে পারে। এমনকি আপনার মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে। তাই
অ্যাজমা বা হাঁপানি থেকে
বাঁচতে এ সম্পর্কে আমাদের
বিস্তারিত ধারণা থাকা অত্যন্ত জরুরি।
অ্যাজমা আসলে কী?
অ্যাজমা
(Asthma) কে বাংলায় আমরা বলি হাঁপানি।
একে অনেক সময় আমরা
শ্বাসকষ্ট ও বলে থাকি।
এটি মূলত একটি শ্বাসনালীর
প্রদাহজনিত রোগ। আমাদের শ্বাসনালীতে
যখন বাতাস ঠিকমত প্রবেশ করতে না পারে
অর্থাৎ শ্বাসনালী যখন সরু হয়ে
যায় আমাদের নিঃশ্বাস নিতে অনেক কষ্ট
হয় তখন এই অবস্থাটিকে
চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় আমরা বলে থাকি
অ্যাজমা বা হাঁপানি।
ছবি :সংগৃহিত
অ্যাজমা কাদের হয়ে থাকে?
অ্যাজমা বা হাঁপানি নারী ও পুরুষ
উভয়ের মধ্যে দেখা দিতে পারে।
আর এই রোগের কোন
নির্দিষ্ট বয়সসীমা থাকে না অর্থাৎ
যে কোন বয়সেই আপনার
অ্যাজমা বা হাঁপানি দেখা
দিতে পারে। তবে সাধারণত শিশুদের
মধ্যে ছেলেদের এবং প্রবীণদের মধ্যে
মেয়েদের এই রোগে আক্রান্তের
প্রবণতা বেশি থাকে।
ছবি :সংগৃহিত
অ্যাজমা (Asthma) কয় ধরনের হয়ে থাকে?
সাধারণত
মানুষের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের অ্যাজমা (Asthma) বা হাঁপানি দেখা
দিতে পারে। সে গুলো হল
–
উপরিউক্ত
অ্যাজমা বা হাঁপানি গুলোর
ভিতর থেকে Silent Asthma (নীরব অ্যাজমা) সবচেয়ে
বিপদজনক। সাধারণত এই ধরণের অ্যাজমা
কোন লক্ষ্মণ ছাড়াই আক্রমণ করে থাকে। এর
ফলে দূর্ঘটনা ঘটার প্রবণতা তুলনামূলক
ভাবে অনেক বেশি থাকে।
- Acute Asthma (তীব্র হাঁপানি)
- দীর্ঘমেয়াদি হাঁপানি
- অ্যালার্জিক অ্যাজমা
- নন অ্যালার্জিক অ্যাজমা
- মিশ্র অ্যাজমা
- রাত্রিকালীন অ্যাজমা
- ব্রঙ্কিয়াল অ্যাজমা
- কার্ডিয়াক অ্যাজমা
- ব্যয়ামজনিত অ্যাজমা
- পেশাগত অ্যাজমা
- মৌসুমি অ্যাজমা
- বিরক্তিকর কাশিযুক্ত অ্যাজমা
- নীরব অ্যাজমা
কী কারণে আপনার অ্যাজমা হতে পারে?
আপনার Asthma হওয়ার পেছনে রয়েছে কয়েকটি উল্লেখযোগ্য কারণ থাকতে পারে। কারণগুলো সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত জেনে নিনজেনেটিক পরিবর্তন :
আপনার শরীরে যদি কোন জেনেটিক পরিবর্তন বা জিনগত ত্রুটি থাকে তাহলে আপনার প্রশ্বাস-নিঃশ্বাসের স্বাভাবিক চাপে সমস্যা দেখা দিতে পারে। যার থেকে পরবর্তীতে আপনার মধ্যে অ্যাজমা বা হাঁপানি সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
বংশগত কারণে :
আপনার পরিবারের কোন সদস্য যদি আগে থেকে অ্যাজমা বা হাঁপানির সমস্যায় ভুগে থাকেন তাহলে আপনার উপর ও এই অ্যাজমা বা হাঁপানির প্রভাব দেখা দেওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে।
মানসিক চাপের কারণে :
আপনি যদি অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা এর ফলে আপনার মানসিক চাপের প্রভাব বেড়ে যেতে পারে। এর ফলে আপনার শ্বাসনালীতে স্বাভাবিকভাবে শ্বসনকার্য পরিচালনা ব্যাহত হতে পারে। যার ফলে আপনার অ্যাজমা বা হাঁপানি ঘটতে পারে।
ধূমপান করলে :
ধূমপান করার ফলে সিগারেটের ভিতরে থাকা ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থের কারণে আপনার শ্বাসনালী টক্সিক বা বিষাক্ত হয়ে উঠতে পারে এবং শ্বাসনালীতে প্রদাহ বা ব্যাথা হতে পারে এর ফলে আপনার শ্বসনকার্যে ব্যাঘাত ঘটতে পারে। যার ফলে আপনার অ্যাজমা বা হাঁপানি হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।
আপনি যদি মদ বা অ্যালকোহল জাতীয় দ্রব্য বেশি খান তাহলে এর ভিতরে থাকা উচ্চ মাত্রার অ্যালকোহল আপনার প্রশ্বাস-নিঃশ্বাসের স্বাভাবিক গতিতে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। যার ফলে আপনার অ্যাজমা বা হাঁপানি সমস্যা দেখা দিতে পারে।
পরিবেশগত সমস্যার কারণে :
আপনার চারপাশের পরিবেশে যদি ধুলাবালি, কলকারখানার ও যানবাহনের কালো ধোঁয়া সব সময় বেশি থাকে তাহলে আপনার অ্যাজমা বা হাঁপানির সমস্যা দেখা দিতে পারে।
ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থের প্রবেশ :
আপনার শ্বাসনালীতে ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থের প্রবেশ করলে এটি আপনার নিঃশ্বাস-প্রশ্বাসকে মারাত্মক প্রভাবিত করতে পারে। যার ফলে আপনার অ্যাজমা বা হাঁপানি হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে।
অ্যালার্জিজনিত খাবার :
আপনার যদি আগে থেকে অ্যালার্জি সমস্যা থাকে এবং আপনি যদি অ্যালার্জিজনিত খাবার যেমন : বেগুন, চিংড়ি, ইলিশ, গরুর মাংস প্রভৃতি বেশি খান তাহলে আপনার অ্যাজমা বা হাঁপানি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
অ্যাজমা (Asthma) হলে আপনার শরীরে কোন ধরনের লক্ষণ দেখা যেতে পারে?
ছবি :সংগৃহিত
সাধারণত
অ্যাজমা বা হাঁপানি হলে
আপনার শরীরে নিম্নলিখিত লক্ষ্মণগুলো দেখা দিয়ে থাকে।
লক্ষ্মণ গুলো দেখা দিলে
আপনাকে সতর্ক হয়ে যেতে হবে।
লক্ষ্মণ গুলো হল –
নিঃশ্বাস
নিতে সমস্যা হওয়া :
অ্যাজমা বা হাঁপানি প্রভাব বেড়ে গেলে আপনার শ্বাসনালীতে ঠিকমত বাতাসের আদান-প্রদান না থাকার কারণে এ সময় নিঃশ্বাস নিতে সমস্যা দেখা দিতে পারে।
বুকে চাপ চাপ বোধ হওয়া :
আপনার অ্যাজমা বা হাঁপানি হলে বুকের মাঝখানে চাপ চাপ অনুভূতি হতে পারে। এই চাপের প্রভাব বেড়ে গেলে আপনার বুকে ব্যথা ও হতে পারে।
অতিরিক্ত কাশি হওয়া :
অ্যাজমা বা হাঁপানি হওয়ার আগে আপনার হালকা কাশি হতে পারে। ধীরে ধীরে যদি আপনার কাশির গতি বাড়তে থাকে এ সময় আপনার শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
ব্যায়াম করতে অসুবিধা হওয়া :
আপনার অ্যাজমা বা হাঁপানি হওয়ার ফলে ব্যায়াম বা অনুশীলন করার সময় শ্বাস নিতে সমস্যা হতে পারে।
রাতে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটা :
অ্যাজমা
বা হাঁপানি হলে আপনার বুকে
ব্যথা, কাশি, নিঃশ্বাসের সমস্যা প্রভৃতির কারণে আপনার রাতের ঘুমে ব্যাঘাত ঘটতে
পারে।
দম বন্ধ হয়ে যাওয়া
:
আপনার শরীরে অ্যাজমা বা হাঁপানির প্রভাব যদি বেড়ে যায় তাহলে আপনার দম বন্ধ বন্ধ ভাব দেখা দিতে পারে।
বমি
বমি ভাব :
আপনার
শরীরের ভিতরে অ্যাজমা বা হাঁপানির প্রভাব
মারাত্মক ভাবে বেড়ে গেলে
আপনার বমি বমি ভাব
বা বমি হতে পারে।
উপরিউক্ত
পরীক্ষা-নীরিক্ষাগুলো করার আগে অবশ্যই
আপনাকে চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে।
অ্যাজমা (Asthma) হলে কোন ধরনের পরীক্ষা-নীরিক্ষা করা হয়?
আপনার শরীরের উপর অ্যাজমা বা হাঁপানির প্রভাব ও ধরণ অনুযায়ী চিকিৎসক নিম্ন লিখিত পরীক্ষা-নীরিক্ষা গুলো করে থাকেন। পরীক্ষা-নীরিক্ষা গুলো হল –- Physical Test (শারীরিক পরীক্ষা)
- Blood Test (রক্ত পরীক্ষা)
- Spirometry or Peak Flow Meter Test (স্পাইরোমেট্রি বা পিক ফ্লো মিটার পরীক্ষা)
- Methacholine Challenge Test (মেথাকলিন চ্যালেঞ্জ পরীক্ষা)
- Skin Prick Test (স্কিন প্রিক পরীক্ষা)
আপনার অ্যাজমা (Asthma) হলে কী উপায়ে প্রতিকার করবেন?
অ্যাজমা
বা হাঁপানি হলে সর্বপ্রথমেই আপনাকে
চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। এরপর
চিকিৎসক আপনার শরীরে এর প্রভাবের উপর
ভিত্তি করে প্রয়োজন বোধে
নিচের পদ্ধতিতে চিকিৎসা করে থাকেন। পদ্ধতি
গুলো হল
সালবিউটামল ওষুধ সেবন :
আপনার শরীরে অ্যাজমা বা হাঁপানির প্রভাব অল্প থাকলে অব্যশই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে আপনি সালবিউটামল জাতীয় ওষুধ খেতে পারেন। এই ওষুধ আপনার শ্বাসনালীর ছিদ্রপথকে সংকুচিত হতে দেয় না এবং আপনার শ্বাসকষ্টের সমস্যা অনেক কমে যেতে পারে।
ইনহেলার দেয়া :
এই পদ্ধতিতে আপনার বেশি মাত্রার ওষুধ
প্রয়োগের প্রয়োজন হয় না এবং
এর কোন প্রকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
থাকে না। এ জন্য
চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে একটা ভাল
ইনহেলার ব্যবহার করতে পারেন।
নেবুলাইজার
:
আপনার হাঁপানির মাত্রা বেশি হলে চিকিৎসক পরামর্শ নিয়ে নেবুলাইজার ব্যবহার করতে পারেন।
ইনজেকশন দেয়া :
এই পদ্ধতিতে চিকিৎসক অ্যাজমা বা হাঁপানির সংক্রমণ বন্ধ করতে আপনার শিরায় ইনজেকশন প্রয়োগ করতে পারেন। এর ফলে আপনার রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।
কীভাবে আপনার অ্যাজমা বা হাঁপানি প্রতিরোধ করবেন?
ছবি :সংগৃহিত
অ্যাজমা
বা হাঁপানির থেকে বাঁচতে হলে
আপনাকে নিম্নোক্ত বিষয়গুলোর প্রতি মনোযোগ দিতে হবে এবং
সেগুলো ঠিক মত পালন
করতে হবে। বিষয়গুলো হল
–
জীবনযাত্রার পরিবর্তন করা :
আপনাকে অ্যাজমা প্রতিরোধ করার জন্য সবার আগেই জীবনযাত্রার মানের পরিবর্তন করা দরকার। রোগ-ব্যাথি সম্পর্কে সব সময় সচেতন থাকতে হবে। অসুখ-বিসুখ দেখা দেয়ার সাথে সাথে হেলা-ফেলা না করে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
মানসিক চাপ মুক্ত থাকা :
অ্যাজমা প্রতিরোধ করতে হলে আপনাকে অবশ্যই মানসিক চাপ মুক্ত থাকতে হবে। এর ফলে আপনার শ্বাসনালীর ভিতরে শ্বসনকার্য স্বাভাবিক ভাবে চলমান থাকবে এবং অ্যাজমা বা হাঁপানির ঝুঁকি ও অনেক কমে যাবে।
দৈনন্দিন
ব্যায়াম বা শরীরচর্চা করা
:
আপনি যদি নিয়মিত যদি শরীরচর্চা এবং ব্যায়াম করেন তাহলে অ্যাজমা বা হাঁপানি প্রতিরোধে আপনি অধিক কার্যকরী ফল পেতে পারেন। তাই প্রতিদিন অন্তত আপনার ৩০ মিনিট শারীরিক ব্যায়াম করা উচিত।
ধূমপান এবং মদ্যপান ত্যাগ করা :
অ্যাজমা বা হাঁপানি প্রতিরোধ করতে হলে সবার প্রথমেই আপনাকে ধূমপান এবং মদ্যপান করা বন্ধ করে দিতে হবে। এর ফলে ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থগুলো আপনার শ্বাসনালীর ভিতরে প্রবেশ করতে পারবে না এবং প্রশ্বাস-নিঃশ্বাসের প্রক্রিয়া ও স্বাভাবিক থাকবে।
অ্যালার্জিজনিত খাবার ত্যাগ করা :
আপনার অ্যালার্জির সমস্যা থাকলে (Asthma)বা হাঁপানি প্রতিরোধ করতে হলে অবশ্যই আপনাকে অ্যালার্জিজনিত খাবার যেমন : বেগুন, চিংড়ি, ইলিশ, গরুর মাংস প্রভৃতি খাদ্য তালিকা থেকে বাদ দিতে হবে।
ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলা :
অ্যাজমা বা হাঁপানি থেকে বাঁচতে হলে আপনাকে ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থের সংস্পর্শ থেকে এড়িয়ে চলতে হবে। এ সব পদার্থের সংস্পর্শে গেলে মুখে মাস্ক পরিধান করতে পারেন এর ফলে আপনার শ্বাসনালীতে ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থের প্রবেশ করতে পরবে না। যার ফলে আপনার অ্যাজমা বা হাঁপানি হওয়ার ঝুঁকি কম থাকবে।
হাঁপানি প্রতিরোধী খাবার :
অ্যাজমা বা হাঁপানি প্রতিরোধ করতে হলে আপনি হাঁপানি প্রতিরোধী খাবার যেমন : আদা, সরিষার তেল, রসুন, ডুমুর, কফি খেতে পারেন।
আমরা জানি (Asthma) বা হাঁপানি একটি মারাত্মক ব্যাধি। আপনার শরীরে অ্যাজমার প্রকোপ যদি বেড়ে যায় তাহলে এটি আপনার সুস্থভাবে জীবনযাপনে ব্যাঘাত সৃষ্টি করতে পারে। তাই এই রোগের লক্ষ্মণ গুলো সম্পর্কে আমাদের সবাইকে সচেতন থাকতে হবে এবং এর প্রকোপ যদি বেড়ে যায় তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে চিকিৎসা করাতে হবে।
কারণ প্রাথমিক অবস্থায়
এই রোগের চিকিৎসা করালে আপনি দ্রুতই এই
রোগ থেকে সেরে উঠে
সুস্থ স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারবেন। তাই
আপনি যদি অ্যাজমা বা
হাঁপানির হাত থেকে বাঁচতে
চান তাহলে অবশ্যই উপরিউক্ত বিষয়গুলোর লক্ষ্য রাখতে হবে এবং সেগুলো
মেনে চলতে হবে এবং
অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে।
Tags:
disease