ব্রেন
টিউমার (Brain tumor) কী? ব্রেন টিউমার
কী কারণে হয়ে থাকে? ব্রেন
টিউমার হলে কোন ধরনের
লক্ষ্মণ বা উপসর্গ গুলো
দেখা যায়? কী উপায় অবলম্বন
করলে ব্রেন টিউমার প্রতিরোধ করা যায় এ সম্পর্কে বিস্তারিত
জেনে নিন –
ছবি :সংগৃহিত
বর্তমানে
বিশ্বের প্রায় অধিকাংশ মানুষ ব্রেন টিউমার সম্পর্কে জানেন এবং প্রতিনিয়তই ব্রেন
টিউমার এ আক্রান্ত হওয়ার
প্রবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ব্রেন টিউমার এর অবস্থা যদি
বেশি খারাপ হয় তাহলে ব্রেনের
এই টিউমারটি ধীরে ধীরে ক্যান্সারে
পরিণত হতে পারে। যার
ফলে রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে। ব্রেন
টিউমারের লক্ষ্মণ যে কোন বয়সে
মানুষের ক্ষেত্রে দেখা দিতে পারে।
আমাদের মধ্যে অনেক মানুষ আছেন
যারা ব্রেন টিউমারের লক্ষ্মণ গুলো ঠিক মত
বুঝতে পারেন না। এর ফলে
ব্রেন টিউমার জটিল আকার ধারণ
করতে পারে এবং শরীরকে
ক্ষতিগ্রস্থ করতে পারে। তাই
ব্রেন টিউমার সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা থাকা অত্যন্ত জরুরি।
এখানে, যা যা থাকছে..
- ব্রেন টিউমার (Cerebral Tumor) আসলে কী ?ব্রেন টিউমার কয় ধরনের হয়ে থাকে ?
- ব্রেন টিউমার কাদের হয় ?ব্রেন টিউমার কী কারণে হয়ে থাকে ?
- ব্রেন টিউমার হলে কোন ধরনের লক্ষ্মণ বা উপসর্গ গুলো দেখা যায় ?
- ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত হলে প্রতিকারের উপায়গুলো কী কী ?
- কী উপায় অবলম্বন করলে ব্রেন টিউমার প্রতিরোধ করা যায় ?
ব্রেন টিউমার (Cerebral Tumor) আসলে কী?
ব্রেন টিউমার বা মস্তিষ্কের টিউমারকে চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষার অনেক সময় Cerebral Tumor ও বলা হয়ে থাকে। যেটা সাধারণত মস্তিষ্ক বা ব্রেনে সংঘটিত হয়। তবে এই টিউমার মস্তিষ্কের বাইরে ও সৃষ্টি হতে পারে এবং পরে এটা মস্তিষ্কে ছড়িয়ে পড়ে। যখন মস্তিষ্ক বা ব্রেনের ভিতরে কোষগুলো অনিয়ন্ত্রিতভাবে বৃদ্ধি পেতে থাকে তখন মস্তিষ্কের এই অবস্থাকে ব্রেন টিউমার বা Cerebral Tumor বলা হয়ে থাকে।ব্রেন টিউমার কাদের হয়?
ব্রেন টিউমার নারী এবং পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রেই দেখা দিতে পারে। ব্রেন টিউমার হওয়ার কোন নির্দিষ্ট বয়স সীমা থাকে না। অর্থাৎ যে কোন বয়সের মানুষের ভিতরে ব্রেন টিউমারের লক্ষ্মণ দেখা দেয়ার সম্ভাবনা থাকে। তবে বয়স বাড়ার সাথে সাথে ব্রেন টিউমার হওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়। বর্তমানে এখন শিশুদের ভিতরে ও ব্রেন টিউমার হওয়ার প্রবণতা লক্ষ করা যাচ্ছে। কাজেই ব্রেন টিউমারের বিষয়টিকে হেলা-ফেলা না করে অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে দেখতে হবে।ব্রেন টিউমার কয় ধরনের হয়ে থাকে?
সাধারণত
দুই ধরনের ব্রেন টিউমার হয়ে থাকে।
* Benign Tumor (বিনাইন টিউমার)
* Malignant Tumor (ম্যালিগন্যান্ট টিউমার)
* Benign Tumor (বিনাইন টিউমার)
* Malignant Tumor (ম্যালিগন্যান্ট টিউমার)
বিনাইন টিউমার
বিনাইন
টিউমার হল ক্যান্সারবিহীন টিউমার।
অর্থাৎ এই টিউমার থেকে
ক্যান্সার সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা থাকে না। প্রাথমিক
অবস্থায় বিনাইন টিউমার ধরা পড়লে সাধারণত
নরমাল চিকিৎসার মাধ্যমে এই টিউমার অপসারণ
করা হয়।
ম্যালিগন্যান্ট টিউমার
ম্যালিগন্যান্ট
টিউমার হল ক্যন্সারযুক্ত টিউমার।
তার মানে হল এই
টিউমার থেকে ক্যান্সার সৃষ্টি
হওয়ার আশঙ্কা থাকে। ম্যালিগন্যান্ট টিউমার যদি দেরিতে ধরা
পড়ে তাহলে এটি মস্তিষ্ক বা
ব্রেনের ওপর প্রচুর চাপ
সৃষ্টি করে। এর ফলে
রোগী মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়তে পারে।
ব্রেন টিউমার কী কারণে হয়ে থাকে?
ব্রেন টিউমার পেছনে কয়েকটি উল্লেখ যোগ্য কারণ রয়েছে। কারণ গুলো সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হলো :জিনগত ত্রুটি
ব্রেন টিউমার হওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ হল জিনগত ত্রুটি। অর্থাৎ জন্মগত ত্রুটি বা জিনগত পরিবর্তনের কারণে ব্রেন বা মস্তিষ্কের ভিতরে কোষগুলো অস্বাভাবিক ভাবে বৃদ্ধি পেতে থাকে। যার ফলে ব্রেন টিউমার সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
মস্তিষ্কের
কোষগুলো জমাট বাঁধা
স্বাভাবিক
অবস্থায় আমাদের শরীরে কোষগুলো ক্রমাগত ভাবে বিভাজিত হতে
থাকে এবং পুরানো কেষগুলো
মরে যায়। কিন্ত যখন
এই কোষগুলো অনিয়ন্ত্রিতভাবে বৃদ্ধি পেতে থাকে নতুন
কোষ সৃষ্টি হওয়ার পরেও পুরানো কোষগুলো
ধ্বংস হয় না। তখন
এই সব কোষগুলো জমাট
বেঁধে মস্তিষ্কে টিউমারের সৃষ্টি করে।
বংশগত
কারণে
পরিবারের কোন সদস্য যদি আগে থেকে ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত থাকেন তাহলে পরিবারের বাকি সদস্যদের ক্ষেত্রে ও এই টিউমারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে।
বয়স বৃদ্ধি
বয়স বাড়ার সাথে আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের জটিল রোগ সৃষ্টি হয়। এর ফলে শরীরের কোষগুলো ক্রমাগত ভাবে বৃদ্ধি পায় তবে ধ্বংস হতে পারে না। যার ফলে ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
ধূমপান এবং মদ্যপান করলে
প্রতিনিয়ত ধূমপান এবং মদ্যপান করার ফলে শরীরের ভিতরে বিভিন্ন ধরনের বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ প্রবেশ করে। যা মস্তিষ্ক বা ব্রেনকে ক্ষতিগ্রস্থ করে। এর ফলে ব্রেন টিউমার সৃষ্টি হওয়ার প্রবণতা দেখা দিতে পারে।
রাসায়নিক
পদার্থের সংস্পর্শ গেলে
রাসায়নিক
পদার্থের সংস্পর্শ গেলে ব্রেন টিউমার
হওয়ার ঝুঁকি থাকে। কারণ এই সব
পদার্থ থেকে নির্গত গন্ধ
নাক দিয়ে শরীরের ভিতর
ঢুকে ব্রেনের কোষগুলোকে উত্তেজিত করে। এর ফলে
কোষগুলো অস্বাভাবিক ভাবে বৃদ্ধি পেতে
থাকে। যার ফলে ব্রেন
টিউমার হওয়ার ঝুঁকি থাকে।
ব্রেন টিউমার হলে কোন ধরনের লক্ষ্মণ বা উপসর্গ গুলো দেখা যায়?
সাধারণত ব্রেন টিউমার হলে আমরা অনেকেই লক্ষ্মণ বা উপসর্গ গুলো বুঝতে পারি না। এর ফলে টিউমারের জটিল আকার ধারণ করার মত সমস্যা দেখা দিতে পারে। নিচে ব্রেন টিউমারের লক্ষ্মণ গুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো :প্রচন্ড মাথা ব্যাথা করা :
ব্রেন টিউমারের অন্যতম প্রধান লক্ষ্মণ গুলোর মধ্যে একটি হল মাথা ব্যাথা করা। ধীরে ধীরে এই মাথা ব্যাথার মাত্রা বাড়তে থাকে। এক পর্যায়ে সমস্ত মস্তিষ্ক জুড়ে এই ব্যাথা ছড়িয়ে পড়ে।
বমি
হওয়া :
ব্রেন
টিউমার হলে ঘন ঘন
বমি হতে থাকে। সাধারণত
মাথা ঘোরানো বা ব্যাথার কারণে
বমি হয়ে থাকে।
খিঁচুনি দেখা দেয়া :
ব্রেন টিউমারের অন্যতম লক্ষ্মণ হল খিঁচুনি দেখা দেয়া। টিউমারের অবস্থান যদি খারাপ অবস্থায় থাকে তখন খিঁচুনি দেখা দিতে পারে।
ভারসাম্য হারিয়ে ফেলা :
ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত হওয়ার ফলে মস্তিষ্ক বা ব্রেনের কোষগুলো অনিয়ন্ত্রিতভাবে বৃদ্ধি পেতে থাকে। এর ফলে ব্রেন মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। আর ব্রেনের প্রভাব দেহের ভারসাম্যের ওপর ও পড়ে। ব্রেন টিউমার হলে রোগী ধীরে ধীরে দেহের ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন।
মানসিক অবসাদ বৃদ্ধি পাওয়া :
ব্রেন টিউমার হওয়ার কারণে মানসিক অবসাদ বৃদ্ধি পেতে থাকে। রোগী অতিরিক্ত টেনশন, হতাশা, নিদ্রাহীনতার মত সমস্যায় ভুগে থাকেন।
দৃষ্টিশক্তি
লোপ পাওয়া :
ব্রেন
টিউমারে আক্রান্ত হলে দৃষ্টিশক্তি লোপ
পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এ সময় কাছের
জিনিস কাছের জিনিস ও ঠিক মত
দেখা যায় না। অর্থাৎ
কাছের জিনিসগুলো ও আমাদের কাছে
অস্পষ্ট বা ঝাপসা লাগে।
অতিরিক্ত ক্লান্তি অনুভব করা :
ব্রেন টিউমার হওয়ার কারণে প্রচন্ড মাথা ঘোরাতে থাকে এবং এর সাথে বার বার বমি হতে থাকে। এর ফলে রোগীর শরীর অনেক দূর্বল হয়ে পড়ে। তার সাথে শরীরে প্রচন্ড ক্লান্তি অনুভব হয় এবং ঘুম ঘুম ভাব আসে। অর্থাৎ কোন কাজ করার শক্তি থাকে না।
চলা-ফেরায় সমস্যা :
ব্রেন টিউমার হলে ব্রেন বা মস্তিষ্কের ভিতরে পেশীগুলো টান খায়। এছাড়াও এ সময় শরীর অনেক দূর্বল থাকে । এর ফলে হাঁটতে-চলতে সমস্যা দেখা দিতে পারে।
ব্রেন টিউমার নির্ণয়ে কোন ধরনের পরীক্ষা করা হয়?
টিউমারের ধরণ এবং অবস্থানের ওপর ভিত্তি করে চিকিৎসকরা নিচের পরীক্ষাগুলোর মাধ্যমে ব্রেন টিউমার শনাক্ত করে থাকেন।* CT Scan (সিটি স্ক্যান)
* MRI (এমআরআই)
* Electro Encephalography (EEG) বা ইইজি
* Nerve Conduction Test বা ইলেকট্রোমায়োগ্রাফি
* CT Guided FNAC (সিটি গাইডেড এফএনএসি)
ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত হলে প্রতিকারের উপায়গুলো কী কী?
সাধারণত ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত হলে চিকিৎসকরা নিচের পদ্ধতিগুলো অবলম্বন করে রোগীকে চিকিৎসা দিয়ে থাকেন।Surgery (অস্ত্রোপচার) :
ব্রেন টিউমার যদি প্রাথমিক অবস্থায় ধরা পড়ে অর্থাৎ টিউমার কোষের বৃদ্ধি যদি বেশি না হয় তাহলে ব্রেন টিউমার সার্জারি বা অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে মস্তিষ্ক বা ব্রেন থেকে অপসারণ করা হয়।
Radiation Therapy (বিকিরণ থেরাপি) :
ব্রেন টিউমারে কোষের বৃদ্ধি যদি বেশি মাত্রায় হয় তখন সার্জারির আগে রেডিয়েশন থেরাপি বা বিকিরণ থেরাপির মাধ্যমে টিউমার কোষের বৃদ্ধি কমিয়ে ফেলা হয়। অর্থাৎ টিউমার কোষের কার্যক্ষমতা নষ্ট করে দেয়া হয়।
Chemotherapy (কেমোথেরাপি)
:
সাধারণত
প্রথমে সার্জারি করে টিউমার ব্রেন
থেকে অপসারণ করা হয়। এর
পরে কেমোথেরাপি দেয়া হয়। কেমোথেরাপি
দেয়ার মূল উদ্দেশ্য হল
টিউমার কোষগুলো যাতে পুনরায় সৃষ্টি
হতে না পারে। কেমোথেরাপি
দিলে টিউমার কোষগুলো পুরোপুরি ধ্বংস
হয়ে যায়।
Targeted Therapy (টারগেটেড
থেরাপি) :
টারগেটেড থেরাপির মাধ্যমে নির্দিষ্ট কিছু ওষুধ মস্তিষ্কের ভিতরে প্রয়োগ করে টিউমার কোষগুলোকে নষ্ট করে দেয়া হয়।
Radio Surgery (রেডিও সার্জারি) :
ব্রেন টিউমার কোষের বৃদ্ধি যদি অল্প জায়গার মধ্যে থাকে তখন রেডিও সার্জারির মাধ্যমে টিউমার কোষকে নষ্ট করে দেয়া হয়।
কী উপায় অবলম্বন করলে ব্রেন টিউমার প্রতিরোধ করা যায়?
নিচের নিয়মগুলো যদি ঠিক মত অনুসরণ করা যায় তাহলে ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেকাংশেই কমানো সম্ভব হতে পারে।জীবনযাত্রার পরিবর্তন করা :
ব্রেন টিউমার প্রতিরোধ করতে হলে সবার আগেই জীবনযাত্রার মানের পরিবর্তন করতে হবে। রোগ-ব্যাথি সম্পর্কে সব সময় সচেতন থাকতে হবে। অসুখ-বিসুখ দেখা দেয়ার সাথে সাথে হেলা-ফেলা না করে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
মানসিক অবসাদ দূর করা :
অতিরিক্ত মানসিক অবসাদ বা টেনশনের ফলে ব্রেনে চাপ সৃষ্টি হয়। এর ফলে ব্রেনের কোষগুলোর অস্বাভাবিক বৃদ্ধি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। যার ফলে ব্রেন টিউমার সৃষ্টি হয়। তাই ব্রেন টিউমার থেকে বাঁচতে হলে আমাদেরকে মানসিক অবসাদ দূর করতে হবে বা সব সময় টেনশন মুক্ত থাকতে হবে।
ধূমপান এবং মদ্যপান ত্যাগ করা :
ব্রেন টিউমারের হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করার জন্য অবশ্যই ধূমপান এবং মদ্যপান বর্জন করতে হবে। এর ফলে ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থগুলো মস্তিষ্কের ভিতরে ঢুকতে পারবে না এবং মস্তিষ্ক বা ব্রেনে কোষের বৃদ্ধি ও স্বাভাবিক থাকবে।
পর্যাপ্ত
ঘুম এবং বিশ্রাম নেয়া
:
পর্যাপ্ত ঘুম এবং বিশ্রাম নেয়ার ফলে ব্রেন স্বাভাবিক থাকে। কোন প্রকার টেনশন বা অবসাদ থাকে না। এর ফলে ব্রেন ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার হাত থেকে রক্ষা পায় এবং ব্রেন টিউমার হওয়ার ঝুঁকি ও তুলনামূলক ভাবে অনেক কম থাকে।
টিউমার প্রতিরোধী খাবার খাওয়া :
বিভিন্ন ধরনের ফলমূল যেমন: আঙ্গুর, আপেল, গাজর, ব্রকোলি প্রভৃতি ব্রেন টিউমার প্রতিরোধে অধিক কার্যকরী। তাই ব্রেন টিউমার প্রতিরোধ করতে হলে এই সব ফলমূল বেশি করে খেতে হবে। সবুজ শাক-সবজি এবং আঁশযুক্ত খাবার বেশি করে খেতে হবে।
উচ্চমাত্রার বিকিরণ এড়িয়ে চলা :
ব্রেন টিউমার প্রতিরোধ করতে হলে যেসব পদার্থ থেকে উচ্চমাত্রার বিকিরণ নির্গত হয় সেসব পদার্থের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলতে হবে। মোবাইল, টিভি, ল্যাপটপের ব্যাবহার কম করতে হবে। কারণ এর থেকে উচ্চ মাত্রার বিকিরণ নির্গত হয় যা ব্রেনকে ক্ষতিগ্রস্থ করে।
রাসায়নিক পদার্থের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলা :
রাসায়নিক পদার্থ থেকে বের হওয়া গন্ধ মস্তিষ্ক বা ব্রেনের ভিতরে ঢুকে টিউমার সৃষ্টি করতে পারে। তাই রাসায়নিক পদার্থের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলতে হবে।
পরিশেষে
বলা যায় যে,
ব্রেন টিউমার হল একটি জটিল ব্যাধি। তবে প্রাথমিক অবস্থায় ব্রেন টিউমারের চিকিৎসা করানো হলে রোগী এর থেকে সেরে উঠে সুস্থ এবং স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারেন। কিন্তু যদি সময় মতো চিকিৎসা না করানো হয় তাহলে এই টিউমার থেকে পরবর্তীতে ক্যান্সার সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
এর ফলে রোগীর
মৃত্যু পর্যন্ত ঘটার সম্ভাবনা দেখা
দিতে পারে। তাই ব্রেন টিউমারে
আক্রান্ত হওয়ার হাত থেকে নিজেকে
রক্ষা করতে হলে উপরিউক্ত
বিষয় গুলো ঠিক মত
অনুসরণ করতে হবে এবং
অবশ্যই চিকিৎসকের দেয়া পরামর্শগুলো ঠিক
মত পালন করতে হবে।
Tags:
disease