ব্রেন স্ট্রোক( Brain Stroke) কী কারণে হয়? ব্রেন স্ট্রোকের লক্ষণ বা উপসর্গ কি কি?

ব্রেন স্ট্রোক কী ? ব্রেন স্ট্রোক (Brain Stroke) কী কারণে হয়? ব্রেন স্ট্রোক হলে কী কী লক্ষ্মণ বা উপসর্গ দেখা যায়কোন ধরনের উপায় অবলম্বন করলে ব্রেন স্ট্রোক প্রতিরোধ করা যায়? সম্পর্কে বিস্তারিত
নিম্নে উল্লেখ করা হলো

ব্রেন স্ট্রোক( Brain Stroke) কী কারণে হয়? ব্রেন স্ট্রোক হলে কী কী লক্ষণ বা উপসর্গ দেখা যায়?
ছবি :সংগৃহিত

বর্তমানে বিশ্বের অধিকাংশ মানুষই ব্রেন স্ট্রোক এর শিকার হচ্ছেন। এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং সেই সাথে মৃত্যুর হারও ক্রমাগত ভাবে বেড়ে যাচ্ছে। ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার কোন নির্দিষ্ট বয়সসীমা নেই এবং বেশির ভাগ মানুষ এর লক্ষ্মণগুলো বুঝতে পারেন না। এর ফলে রোগীর শরীর মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়তে পারে। এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে। তাই এই রোগ সম্পর্কে ধারণা থাকা অত্যন্ত জরুরি।

এখনে আমরা যে বিষয় গুলো জানব,
  • ব্রেন স্ট্রোক আসলে কীব্রেন স্ট্রোক কাদের হয়ব্রেন স্ট্রোক কী কারণে হয়?
  • ব্রেন স্ট্রোক কয় ধরনের হয়ে থাকে?
  • ব্রেন স্ট্রোক হলে কী কী লক্ষ্মণ বা উপসর্গ দেখা যায়?
  • কোন ধরনের উপায় অবলম্বন করলে ব্রেন স্ট্রোক প্রতিরোধ করা যায়?


ব্রেন স্ট্রোক কী?

ব্রেন স্ট্রোককে Cerebral Stroke বলা হয়ে থাকে। যেটা মস্তিষ্ক বা ব্রেনে সংঘটিত হয়ে থাকে। যখন মস্তিষ্কের ধমনীতে যখন রক্ত চলাচল কমে যায় বা রক্ত চলাচলের পথ বন্ধ হয়ে যায় তখন এই অবস্থাকে বলা হয় ব্রেন স্ট্রোক বা Cerebral Stroke.

ব্রেন স্ট্রোক কাদের হয়?

নারী এবং পুরুষ উভয়ের মধ্যে ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা দেখা যায়। এই রোগের কোন নির্দিষ্ট বয়স সীমা থাকে না। তবে মধ্যবয়স্কদের মধ্যে ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে।

ব্রেন স্ট্রোক কয় ধরনের হয়ে থাকে?

সাধারণত ব্রেন স্ট্রোক দুই ধরনের হয়ে থাকে
  1. মস্তিষ্কে রক্ত ক্ষরণ
  2. মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল বন্ধ হওয়া বা রক্ত জমাট বাঁধা

মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হওয়া

হঠাৎ করে যদি কোন ধমনী যদি ফেটে যায় বা ছিঁড়ে যায় তাহলে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়।
এই মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ ব্রেন স্ট্রোক হওয়ার অন্যতম একটি কারণ। এই অবস্থাকে বলা
হয় Cerebral Haemorrhage

মস্তিষ্কে রক্ত জমাট বাঁধা

রক্তের ধমনী যদি আকারে ছোট বা সরু হয়ে যায় তাহলে মস্তিষ্কে ঠিক মত রক্ত পৌঁছাতে পারে না। এর ফলে মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল বন্ধ বা রক্ত জমাট বাঁধতে পারে। এর ফলে ব্রেন স্ট্রোক হওয়ার ঝুঁকি থাকে। এই অবস্থাকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় Cerebral Thrombosis বলা হয়ে থাকে আর এই ধরনের স্ট্রোককে বলা হয় Ischaemic Stroke (ইচকেমিক স্ট্রোক) ব্রেন স্ট্রোকের মধ্যে প্রায় ৮৫ ভাগই হল Ischaemic Stroke (ইচকেমিক স্ট্রোক)

ব্রেন স্ট্রোক হওয়ার কারণ

ব্রেন স্ট্রোক হওয়ার কারণ পেছনে কয়েকটি উল্লেখযোগ্য কারণ রয়েছে। কারণ গুলো সম্পর্কে
নিচে আলোচনা করা হলো:-

ধূমপান এবং মদ্যপান করা

ধূমপান এবং মদ্যপানকারীদের ভিতরে ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে নিয়মিত ধূমপান এবং মদ্যপান করার ফলে রক্তনালীর পথ সংকুচিত হয়ে যায়। এর ফলে মস্তিষ্কে ঠিক মত রক্ত পৌঁছাতে না পারার কারণে ব্রেন স্ট্রোক হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে না থাকা

যাদের শরীরে রক্ত চাপ স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি বেড়ে যায় বা নিয়ন্ত্রণে না থাকে অর্থাৎ যাদের উচ্চ রক্তচাপ জনিত সমস্যা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে না রাখলে ব্রেন স্ট্রোক হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে।

অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস

ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রেও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে না পারলে রক্ত চলাচলে সমস্যা সৃষ্টি করে এর ফলে ব্রেন স্ট্রোক হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।

অতিরিক্ত মানসিক চাপ

যারা অতিরিক্ত মানসিক চাপ বা টেনশন এবং হতাশায় ভুগে থাকেন তাদের শরীরে রক্তচাপের পরিমাণ বেড়ে যায়। যার ফলে ব্রেন স্ট্রোক হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।

নিয়মিত ব্যায়াম বা শরীরচর্চা না করা

নিয়মিত ব্যায়াম বা শরীরচর্চা না করলে শরীরে ঠিক মত রক্ত চলাচল করতে পারে না এবং মস্তিষ্কে রক্ত জমাট বাঁধার সম্ভাবনা থাকে। এর ফলে ব্রেন স্ট্রোক হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।

ওজন নিয়ন্ত্রণে না থাকলে

শারীরের ওজন অতিরিক্ত বৃদ্ধি পেলে বা ওজন যদি নিয়ন্ত্রণে না থাকে তাহলে মস্তিষ্কে রক্তের চাহিদা দেখা দেয়। এর ফলে ব্রেন স্ট্রোক হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব

পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব বা ঘুম যদি ঠিক মত না হয় তাহলে মস্তিষ্কে রক্ত চলাচলের পথে সমস্যা সৃষ্টি করে। এর ফলে ব্রেন স্ট্রোক হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেয়।

পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ না করলে

পুষ্টিকর খাবারের ঘাটতি থাকলে রক্ত চলাচলে ব্যাঘাত ঘটতে পারে। এর ফলে ব্রেন স্ট্রোক হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

হরমোনাল ওষুধ সেবন করলে

দীর্ঘ দিন ধরে যদি হরমোনাল ওষুধ সেবন করা হয় তাহলে ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি দেখা দিতে পারে।

বদ্ধ ঘরে থাকলে

আলো-বাতাস পূর্ণ জায়গায় না থাকলে বা যদি সারাক্ষণ বদ্ধ ঘরের ভিতরে থাকা হয় তাহলে ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে।

বংশ জনিত সমস্যা

বংশের কেউ যদি আগে থেকেই ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত থাকেন তাহলে পরিবারের বাকি সদস্যদের ক্ষেত্রেও এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে।

ব্রেন স্ট্রোক হলে কী কী লক্ষ্মণ বা উপসর্গ দেখা যায় ?

সাধারণত ব্রেন স্ট্রোক হলে অনেকই এর লক্ষ্মণ গুলো বুঝতে পারেন না। এর ফলে শরীরে বিভিন্ন ধরনের জটিল সমস্যা দেখা দিতে পারে। নিচে ব্রেন স্ট্রোক এর লক্ষ্মণ গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো:

হঠাৎ করে হাত-পা অবশ হয়ে যাওয়াঃ- ব্রেন স্ট্রোক বা যে কোন ধরনের স্ট্রোক হলে হঠাৎ করেই রোগীর হাত-পা অবশ হয়ে যেতে থাকে। এর ফলে ধীরে ধীরে দেহের ভারসাম্য হারিয়ে যেতে পারে।

ঘাড়ে-মাথায় যন্ত্রণা করাঃ- ব্রেন স্ট্রোক হওয়ার আগে ঘাড় থেকে শুরু করে মাথায় যন্ত্রণা ছড়িয়ে পড়ে। সময় রোগীর প্রচুর মাথা যন্ত্রণা বা মাথা ঘোরানোর মত সমস্যা দেখা দেয়।

চোখে ঝাপসা দেখাঃ- চোখে ঝাপসা দেখা বা দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়ার মত সমস্যা ব্রেন স্ট্রোক হওয়ার কিছু দিন আগে দেখা দেয়।

মুখ অবশ হয়ে যাওয়াঃ- ব্রেন স্ট্রোকের একটি অন্যতম লক্ষ্মণ হল মুখ অবশ হয়ে যাওয়া। সময় মুখের সামনের অংশ নিচের দিকে ঝুলে পড়ে এবং রোগী যে সময় কথা বলে তখন মুখের এক পাশ অবশ বা অসাড় হয়ে গেছে বলে মনে হয়।

কথা বলায় সমস্যা দেখা দেয়াঃ- সাধারণত ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হলে কথা বলায় সমস্যা দেখা দেয়। অর্থাৎ রোগী যখন কারও সাথে কথা বলে তখন তার কথা অস্পষ্ট থাকে বা জড়িয়ে যেতে থাকে এবং একই শব্দ বার বার বলার মত সমস্যা দেখা দিতে পারে।

অজ্ঞান হয়ে পড়াঃ- ব্রেন স্ট্রোক হওয়ার সময় রোগী দেহের ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন। এর ফলে তার মাথা ভারী হয়ে যায় বা মাথা ঘোরাতে থাকে এবং রোগী অজ্ঞান হয়ে পড়েন।

বমি হওয়াঃ- সাধারণত ব্রেন স্ট্রোক হওয়ার কিছু দিন আগে থেকে ঘন ঘন বমি হতে থাকে।

হাঁটা-চলায় সমস্যা দেখা দেয়াঃ-  সময় দেহের ভারসাম্য কমে যাওয়ার কারণে হাত-পা ব্যাথা করে এবং অবশ হয়ে যেতে থাকে। এর ফলে হাঁটা-চলায় সমস্যা দেখা দেয় অর্থাৎ তারা ঠিক মত হাটতে পারেন না।

বাহুতে দূর্বলতা দেখা দেয়াঃ- ব্রেন স্ট্রোক হওয়ার আগে রোগীর শরীরে পেশিগুলো ধীরে ধীরে অবশ হয়ে যেতে থাকে। এর ফলে বাহুগুলো দূর্বল হয়ে পড়ে এবং কোন জিনিস ঠিক মত ধরে রাখতে পারে না বা হাত থেকে পড়ে যেতে পারে। অর্থাৎ রোগী কাজ করার সক্ষমতা হারিয়ে ফেলেন।

স্মৃতি শক্তি কমে যাওয়াঃ- ব্রেন স্ট্রোক হওয়ার আগে এবং পরে স্মৃতি শক্তি কমে যেতে পারে। ঝিমিয়ে থাকা রোগীর শরীর দূর্বল হয়ে পড়ার কারণে ঘন ঘন ঘুম আসে বা ঝিমিয়ে থাকার মত লক্ষ্মণ প্রকাশ পায়।

কোন ধরনের উপায় অবলম্বন করলে ব্রেন স্ট্রোক প্রতিরোধ করা যায়?

নিচের নিয়মগুলো যদি ঠিক মত অনুসরণ করা হয় তাহলে ব্রেন স্ট্রোকের ঝুঁকি অনেকাংশেই কমানো সম্ভব হতে পারে। জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনা ব্রেন স্ট্রোক প্রতিরোধ করতে গেলে সবার প্রথমেই জীবন যাত্রায় পরিবর্তন আনতে হবে। অলসতার জীবন থেকে বেরিয়ে এসে দৈনন্দিন কাজের প্রতি সক্রিয় হতে হবে। আর সেই সাথে নিজের শরীরের প্রতি সচেতন হতে হবে। তাই অসুখ হলে হেলা-ফেলা না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

নিয়মিত ব্যায়াম বা শরীর চর্চা করা

নিয়মিত ব্যায়াম বা শরীর চর্চা করলে শরীরে ঠিক মত রক্ত চলাচল করতে পারে এবং মস্তিষ্কে রক্ত চলাচলের পথে কোন সমস্যা সৃষ্টি হয় না। এর ফলে ব্রেন স্ট্রোক হওয়ার থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট শারীরিক ব্যায়াম করা স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো। তাই ব্রেন স্ট্রোক প্রতিরোধ করতে হলে নিয়মিত ব্যায়াম করা অপরিহার্য।

মানসিক চাপ মুক্ত থাকা

ব্রেন স্ট্রোক প্রতিরোধের অন্যতম উপায় হল মানসিক চাপ মুক্ত বা টেনশন মুক্ত থাকা। মানসিক চাপ বা টেনশন মুক্ত থাকলে মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল ঠিক থাকে। এর ফলে শরীরে জটিল কোন সমস্যা দেখা দেয় না অর্থাৎ শরীর সুস্থ থাকে এবং ব্রেন স্ট্রোক হওয়ার ঝুঁকি কম থাকে।

ধূমপান এবং মদ্যপান ত্যাগ করা

ধূমপান এবং মদ্যপান করলে এতে থাকা ক্ষতিকর পদার্থ শরীরের ভিতর ঢুকে রক্তনালীতে রক্ত চলাচল করতে ব্যাঘাত সৃষ্টি করে এর ফলে রক্ত জমাট বেঁধে ব্রেন স্ট্রোক হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। অধূমপায়ী যারা মদ্যপান করে না তাদের ক্ষেত্রে ধরনের সমস্যা তুলনামূলক ভাবে অনেক কম দেখা যায়। তাই ব্রেন স্ট্রোক এর হাত থেকে বাঁচতে হলে ধূমপান এবং মদ্যপান ত্যাগ করতে হবে।

উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা

ব্রেন স্ট্রোক প্রতিরোধ করতে হলে শরীরে রক্তচাপের মাত্রা স্বাভাবিক রাখতে হবে। যাদের উচ্চ রক্তচাপ জনিত সমস্যা রয়েছে তাদেরকে উচ্চ মাত্রার কোলেস্টেরল জাতীয় খাবার বা যেসব খাবার খেলে রক্তচাপের পরিমাণ বেড়ে যায় সেসব খাবার খাওয়া পরিহার করতে হবে।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলে ব্রেন স্ট্রোকের ঝুঁকি অনেকাংশেই কমানো সম্ভবহতে পারে। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে মিষ্টি জাতীয় খাবার বা যেসব খাবার খেলে ডায়াবেটিস এর মাত্রা বেড়ে যায় সেসব খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।

স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খাওয়া

পুষ্টিকর খাবার বা স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খেলে শরীরে চলাচলের পরিমাণ ঠিক থাকে। এর ফলে মস্তিষ্কে রক্ত চলাচলে কোন প্রকার ব্যাঘাত ঘটে না। তাই ব্রেন স্ট্রোক প্রতিরোধ করতে হলে বাইরের অস্বাস্থ্যকর খাবার বাদ দিয়ে ঘরের তৈরী স্বাস্থ্যসম্মত পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে।

অতিরিক্ত তেল-চর্বিজাতীয় খাবার পরিহার করা

অতিরিক্ত তেল-চর্বি জাতীয় খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে কারণ এসব খাবার বেশি খেলে মস্তিষ্কে রক্ত জমাট বাঁধতে পারে। তাই ব্রেন স্ট্রোক প্রতিরোধ করতে হলে এসব খাবার বেশি খাওয়া যাবে না।

পর্যাপ্ত ঘুম বিশ্রাম নেয়া

পর্যাপ্ত ঘুম এবং ঠিক মত বিশ্রাম নিলে মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক থাকে। এর ফলে শরীর সক্রিয় থাকে এবং ব্রেন স্ট্রোক হওয়ার ঝুঁকি কম থাকে।

ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা

ব্রেন স্ট্রোক প্রতিরোধ করতে হলে শরীরে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। নিয়মিত ব্যায়াম শরীরচর্চা করতে হবে। এতে করে শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে এবং মস্তিষ্কের রক্তনালীতে রক্ত চলাচলের পরিমাণ স্বাভাবিক থাকবে।

পরিশেষে বলা যায় যে,

ব্রেন স্ট্রোক হল একটা মারাত্মক ব্যাধি। যা মূলত অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনের কারণে হয়ে থাকে। এই রোগে আক্রান্ত হলে যদি সময়মত চিকিৎসা না করানো হয় তাহলে রোগী আস্তে আস্তে পঙ্গুত্ব লাভ করতে পারে। অবস্থা জটিল হলে রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে। তাই ব্রেন স্ট্রোক থেকে বাঁচতে হলে উপরিউক্ত বিষয়গুলো ঠিক মত অনুসরণ করতে হবে এবং চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চলতে হবে।

Post a Comment

Previous Next