ব্রেন
ক্যান্সার (Brain
Cancer) কী? ব্রেন ক্যান্সার কী কারণে হয়ে
থাকে ?ব্রেন ক্যান্সার হলে কোন ধরনের
লক্ষণ বা উপসর্গ দেখা
যায়? কী উপায় অবলম্বন
করলে ব্রেন ক্যান্সার প্রতিরোধ করা
যায়? এ সম্পর্কে বিস্তারিত
জেনে নিন –
ছবি :সংগৃহিত
বর্তমানে
বিশ্বের প্রায় অধিকাংশ মানুষ ব্রেন ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছেন এবং প্রতিনিয়ত এই ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীর হওয়ার সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর সেই সাথে
মৃত্যুর হারও ক্রমাগত
ভাবে বেড়েই চলেছে। যে কোন বয়সের
মানুষের ভিতরে ব্রেন ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার
ঝুঁকি থাকে। ব্রেন ক্যান্সারের সবচেয়ে ভয়াবহ দিক হল এই
রোগ হলে অনেকই এর লক্ষ্মণ গুলো বুঝতে পারেন
না। এর ফলে ক্যান্সারের
জীবাণু পুরো শরীরে ছড়িয়ে পড়ার
সম্ভাবনা থাকে। যা রোগীর মৃত্যু
পর্যন্ত ঘটাতে পারে। তাই এই ক্যান্সার
সম্পর্কে ধারণা
থাকা অত্যন্ত জরুরি।
ব্রেন ক্যান্সার (Cerebral Cancer) আসলে কী
ব্রেন
ক্যান্সার বা মস্তিষ্কের ক্যান্সারকে
অনেক সময় Cerebral Cancer ও বলা হয়ে থাকে।
যেটা মস্তিষ্ক বা ব্রেনের ভিতরে
সংঘটিত হয়ে থাকে। মস্তিষ্কের
ভিতরে যখন কোষ গুলো
অনিয়ন্ত্রিতভাবে বৃদ্ধি পেতে থাকে তখন
মস্তিষ্কের ক্যান্সার বা ব্রেন ক্যান্সারের সূচনা
ঘটে। সাধারণত ব্রেন টিউমার থেকে ব্রেন ক্যান্সারের
সূত্রপাত হয়। তবে সব
ব্রেন টিউমার
থেকে কিন্তু ব্রেন ক্যান্সার হয় না।
ব্রেন ক্যান্সার কাদের হয়?
নারী ও পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রেই ব্রেন ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা লক্ষ করা যায়। এই ক্যান্সার হওয়ার কোন নির্দিষ্ট বয়স সীমা থাকে না। অর্থাৎ যে কোন বয়সের মানুষ এই ক্যান্সারে আক্রান্ত হতে পারেন। এখন ছোট শিশুদের মধ্যে ও ব্রেন ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা লক্ষ করা যাচ্ছে।
সাধারণত ৬-৭ বছর
বয়সের শিশুদের মধ্যে এই ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। শিশুদের
মধ্যে মেয়েদের তুলনায় ছেলেদের ভিতরে
ব্রেন ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার হার বেশি থাকে।
কাজেই এই বিষয়টিকে হেলা- ফেলা
না করে অত্যন্ত গুরুত্বের
সাথে দেখা উচিত।
ব্রেন ক্যান্সার কয় ধরনের হয়ে থাকে?
সাধারণত দুই ধরনের ব্রেন ক্যান্সার হয়ে থাকে।* Benign Cancer (বিনাইন ক্যান্সার)
* Malignant Cancer (ম্যালিগন্যান্ট ক্যান্সার)
বিনাইন ক্যান্সার
ব্রেন
ক্যান্সার যদি প্রাথমিক অবস্থায়
ধরা পড়ে তখন ঐ
ক্যান্সারকে বিনাইন ক্যান্সার বলা
হয় থাকে। বিনাইন ক্যান্সারে কোষগুলোর বৃদ্ধি তুলনামূলক ভাবে কম হয়
এবং এই ক্যান্সারের
জীবাণু মস্তিষ্কের বাইরে যায় না। প্রাথমিক
অবস্থায় চিকিৎসা করানো হলে এই ক্যান্সার সেরে যায়।
ম্যালিগন্যান্ট
ক্যান্সার
ক্যান্সার
কোষের বৃদ্ধি যখন মস্তিষ্ক এবং
এর বাইরে শরীরের বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে পড়ে তখন
ঐ ক্যান্সারকে ম্যালিগন্যান্ট বলা হয়ে থাকে।
ম্যালিগন্যান্ট ক্যান্সার হলে উচ্চ শ্রেণির
চিকিৎসা পদ্ধতির প্রয়োজন হয়।
ব্রেন ক্যান্সার কী কারণে হয়ে থাকে?
ব্রেন
ক্যান্সার হওয়ার পেছনে কয়েকটি উল্লেখযোগ্য কারণ রয়েছে। কারণ
গুলো সম্পর্কে
নিচে আলোচনা করা হলো :
বয়স বৃদ্ধি পেলে
বয়স বাড়ার সাথে সাথে মানুষের শরীরে বিভিন্ন ধরনের রোগ এসে বাসা বাঁধে। আর এসব রোগ নিয়ন্ত্রণে না থাকলে মস্তিষ্কের কোষগুলো অনিয়ন্ত্রিতভাবে বৃদ্ধি পেতে থাকে।এর ফলে ধীরে ধীরে ব্রেন ক্যান্সারের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
ধূমপান
এবং মদ্যপান করলে
দৈনন্দিন
ধূমপান করার ফলে ব্রেন
ক্যন্সার হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। সিগারেটের ভিতরে
বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকর পদার্থ থাকে যেগুলো শরীরের
ভিতরে ঢুকে মস্তিষ্কের কোষগুলোকে
ক্ষতিগ্রস্থ করে। যার ফলে
ব্রেন ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। নিয়মিত
মদ্যপান করলে ও ব্রেন
ক্যান্সার হওয়ার প্রবণতা থাকে।
কারণ মদের ভিতরে অতিরিক্ত
মাত্রায় অ্যালকোহল ও বিভিন্ন ধরনের
ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ মিশ্রিত থাকে।
এসব পদার্থ শরীরের ভিতরে ঢুকে মস্তিষ্কের কোষগুলোতে
অনিয়ন্ত্রিত বৃদ্ধি ঘটায়। এর ফলে ব্রেন ক্যান্সার
হওয়ার ঝুঁকি দেখা দিতে পারে।
উচ্চ
মাত্রার বিকিরণ
সারাক্ষণ
উচ্চ মাত্রার বিকিরণের সংস্পর্শে থাকলে ব্রেন ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে।
কারণ উচ্চ মাত্রার বিকিরণে
থাকা রশ্মি গুলো মস্তিষ্কের কোষগুলোর
বৃদ্ধিতে প্রভাবিত
করে। এর ফলে কোষগুলোর
অনিয়ন্ত্রিত বৃদ্ধি ঘটতে পারে। তখন
ব্রেন ক্যান্সার
হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিতে পারে।
জন্মগত ত্রুটি
জন্মগত ত্রুটি বা জিনগত কোন পরিবর্তন ঘটলে মস্তিষ্কের কোষগুলো অনিয়ন্ত্রিতভাবে বৃদ্ধি পেতে থাকে। এর ফলে ব্রেন ক্যান্সারের সৃষ্টি হতে পারে।
বংশগত
কারণে
যদি
পরিবারের কোন সদস্য আগে
থেকে ব্রেন ক্যান্সারে আক্রান্ত থাকেন তাহলে পরিবারের
বাকি সদস্যদের ক্ষেত্রে ও এই ক্যান্সারে
আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে।
ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থের সংস্পর্শে আসলে
কিছু কিছু ব্যবহৃত জিনিস যেমন: রাবার, সীসা, প্লাস্টিক, পেট্রোলিয়াম প্রভৃতির সংস্পর্শে আসলে এর থেকে ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ নির্গত হতে থাকে। যার ফলে ব্রেন ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।
কীটনাশক সারের সংস্পর্শে থাকলে
কীটনাশক
সারের ভিতরে নাইট্রোজেন, পটাশিয়াম ছাড়া ও বিভিন্ন
ধরনের ক্ষতিকর পদার্থ
থাকে। যে গুলোর গন্ধ
নাক দিয়ে শরীরের ভিতরে
ঢুকে তারপর ব্রেনের কোষগুলোকে
ক্ষতিগ্রস্থ করে। এর ফলে
ব্রেন ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
ব্রেন ক্যান্সারের লক্ষণ বা উপসর্গগুলো কী কী?
সাধারণত ব্রেন ক্যান্সার হলে অনেকেই এর লক্ষ্মণ বা উপসর্গ গুলো বুঝতে পারেন না। এর ফলে ক্যান্সার জটিল আকার ধারণ করতে পারে। নিচে ব্রেন ক্যান্সারের লক্ষ্মণ গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলোঃ-ছবি :সংগৃহিত
প্রচন্ড
মাথা ব্যাথা করা
ব্রেন ক্যান্সারের অন্যতম প্রধান লক্ষ্মণ হল মাথা ব্যাথা করা। এই ব্যাথা ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে। এক পর্যায়ে সমস্ত মস্তিষ্ক জুড়ে এই ব্যাথা বিস্তার লাভ করে।
দৃষ্টিশক্তি লোপ পাওয়া
ব্রেন ক্যান্সার হলে দৃষ্টিশক্তি লোপ পেতে পারে। এ সময় কাছের জিনিস ও অস্পষ্ট লাগে বা ঠিক মত দেখা যায় না।
ভারসাম্য হারিয়ে ফেলা
ব্রেন ক্যান্সার হওয়ার ফলে মস্তিষ্কের কোষগুলো অনিয়ন্ত্রিতভাবে বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে দেহের ভারসাম্যের উপর প্রভাব পড়ে। ব্রেন ক্ষতিগ্রস্থ হলে রোগী ধীরে ধীরে দেহের ভারসাম্য ও হারিয়ে ফেলেন।
স্মৃতি
শক্তি কমে যাওয়া
ব্রেন
ক্যান্সার হওয়ার কারণে মস্তিষ্কের কোষগুলো ক্রমাগত ভাবে বৃদ্ধি এবং
ধ্বংস হতে থাকে।
এর ফলে ব্রেনের স্মৃতি
শক্তি ধরে রাখার ক্ষমতা
লোপ পেতে পারে অথবা
অনেক কমে
যেতে পারে।
বমি হওয়া
ঘন ঘন বমি হওয়া ব্রেন ক্যান্সারের একটি লক্ষ্মণ। এর ফলে শরীর অনেক দূর্বল হয়ে পড়ে।
চিন্তা শক্তি কমে যাওয়া
ব্রেন ক্যান্সার হওয়ার ফলে মস্তিষ্ক বা ব্রেন কোন প্রকার টেনশন বা মানসিক চাপ সহ্য করতে পারে না। চিন্তা করলেই তার মাথায় অসম্ভব যন্ত্রণা করতে থাকে। এর ফলে চিন্তা শক্তি কমে যেতে থাকে।
হাটা-চলার সমস্যা
ব্রেন
ক্যান্সার হলে রোগীর মস্তিষ্কের
ভিতরে পেশিগুলোতে টান খায়। মাথা
ব্যাথা হওয়ার
কারণে মাথা ঘোরানোর মত
সমস্যা দেখা দেয়। এর
ফলে হাটা-চলায় সমস্যা সৃষ্টি
করে।
ব্রেন ক্যান্সার নির্ণয়ে কোন ধরনের পরীক্ষা করা হয়?
ক্যান্সারের লক্ষ্মণ এবং অবস্থানের ওপর ভিত্তি করে চিকিৎসকরা নিচের পরীক্ষাগুলোরমাধ্যমে চিকিৎসা করে থাকেন।
* স্নায়বিক পরীক্ষা
* রক্ত পরীক্ষা
* ইমেজিং পরীক্ষা
* বায়োপসি,
প্রভৃতি।
ব্রেন ক্যান্সারে আক্রান্ত হলে প্রতিকারের উপায়গুলো কী কী?
সাধারণত ব্রেন ক্যান্সার হলে চিকিৎসকরা নিচের পদ্ধতিগুলো অবলম্বন করে চিকিৎসা দিয়ে থাকেন।সার্জারি :
মস্তিষ্কের
ক্যান্সার যদি মস্তিষ্কের টিউমার
থেকে বিস্তার লাভ করে তাহলে
এই টিউমার সার্জারির
মাধ্যমে মস্তিষ্ক থেকে অপসারণ করা
হয়। সাধারণত প্রাথমিক অবস্থায় ধরা পড়লে
সার্জারির পরে চিকিৎসকরা আার
কোন চিকিৎসা দেন না। তবে
অবস্থা খারাপ হলে
চিকিৎসকরা সার্জারি পরেও বিভিন্ন ধরনের
চিকিৎসা দিয়ে থাকেন।
বিকিরণ
থেরাপি :
বিকিরণ
থেরাপি বা রেডিয়েশন থেরাপির
মাধ্যমে ক্যান্সার কোষ গুলোকে ধ্বংস
করা হয়।
ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি যদি বেশি হয়
তখন এই বৃদ্ধিকে প্রতিহত
করতে সার্জারি করার
আগেই চিকিৎসকরা বিকিরণ থেরাপির মাধ্যমে ক্যান্সার কোষ গুলোকে ধ্বংস করে
থাকেন। এর পরে সার্জারি
করেন।
কেমোথেরাপি :
সাধারণত সার্জারি করার পরে চিকিৎসকরা কেমোথেরাপি দিয়ে থাকেন। ক্যান্সার কোষকে পুরোপুরি মেরে ফেলার জন্য কেমোথেরাপি দেয়া হয়। অর্থাৎ ক্যান্সারের জীবাণু যাতে পুনরায় সৃষ্টি হতে না পারে সেজন্য কেমোথেরাপি দেয়া হয়। এর ফলে ক্যান্সার কোষ পুনরায় সৃষ্টি হতে পারে না।
ইমিউনো
থেরাপি :
মস্তিষ্কের
ক্যন্সার কোষগুলোর বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য
চিকিৎসকরা রোগীকে ইমিউনো
থেরাপি দিয়ে থাকেন। এই
থেরাপি দেয়ার ফলে শরীরের রোগ
প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি
পায় এবং ক্যন্সার কোষগুলোর
বিরুদ্ধে লড়াই করার শক্তি
পাওয়া যায়।
লেজার :
লেজার রশ্মি ব্যবহার করা হয় ক্যান্সার কোষকে উত্তপ্ত এবং ধ্বংস করার জন্য। কী উপায় অবলম্বন করলে ব্রেন ক্যান্সার প্রতিরোধ করা যায় ?নিচের নিয়মগুলো যদি ঠিক মত অনুসরণ করা যায় তাহলে ব্রেন ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেকাংশেই কমানো সম্ভব হতে পারে।
জীবন
যাত্রায় পরিবর্তন আনা :
জীবন যাত্রায় পরিবর্তন আনার ফলে ব্রেন ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি কম থাকে। শরীরের প্রতি যত্নবান হতে হবে। যদি রোগ-ব্যধি দেখা দেয় তাহলে হেলা-ফেলা না করে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। সে জন্য সব সময় শরীরের দিকে খেয়াল রাখতে হবে এবং সতর্ক থাকতে হবে।
ধূমপান এবং মদ্যপান ত্যাগ করা :
ধূমপান এবং মদ্যপান ত্যাগ করার ফলে এতে থাকা ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ গুলো শরীরের ভিতরে ঢুকতে পারে না। যার ফলে মস্তিষ্ক ক্ষতিগ্রস্থ হওয়া থেকে রক্ষা পায়। এর ফলে ব্রেন ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা তুলনামূলক ভাবে অনেক কম থাকে। তাই ব্রেন ক্যান্সার থেকে বাঁচতে হলে অবশ্যই ধূমপান এবং মদ্যপান করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
ব্রেন ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে হলে উচ্চ মাত্রার বিকিরণ এড়িয়ে চলতে হবে। এর ফলে শরীরের ভিতরে ক্ষতিকর বিকিরিত রশ্মি ঢুকতে পারে না। এর ফলে ব্রেনকে ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
মানসিক চাপ মুক্ত থাকা :
অতিরিক্ত মানসিক চাপ মস্তিষ্কের কোষগুলোর অনিয়ন্ত্রিত বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। যার ফলে ব্রেন ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি থাকে। তাই ব্রেন ক্যন্সার প্রতিরোধ করতে হলে নিজেকে অবশ্যই মানসিক চাপ মুক্ত থাকতে হবে।
আঁশযুক্ত
খাবার খাওয়া :
আঁশযুক্ত
খাবার যে কোন ধরণের
ক্যান্সার প্রতিরোধে অনেক উপকারী। তাই
ব্রেন ক্যান্সার
প্রতিরোধ করতে হলে উচ্চ
মাত্রার কোলেস্টেরল জাতীয় খাবার বাদ দিয়ে বেশি করে
আঁশযুক্ত খাবার খেতে হবে।
রাসায়নিক পদার্থের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলা :
রাসায়নিক পদার্থের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলা :
ব্রেন ক্যন্সার প্রতিরোধ করতে হলে রাসায়নিক পদার্থের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলতে হবে। যে সমস্ত কলকারখানায় ব্যবহৃত জিনিস হতে ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ নির্গত হয় সে সমস্ত জিনিসের কাছে যাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
কীটনাশক পদার্থর সংস্পর্শ এড়িয়ে চলা :
কীটনাশক জাতীয় পদার্থে ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ বিদ্যমান থাকে। যেগুলো মস্তিষ্ককে ক্ষতিগ্রস্থ করতে পারে। তাই এসব কীটনাশক জাতীয় পদার্থের কাছে যাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
পরিশেষে
বলা যায় যে,
ব্রেন ক্যাসার হল একটি মারাত্মক ব্যাধি। তবে ব্রেন ক্যান্সারের লক্ষণ গুলো প্রকাশ পাওয়ার সাথে সাথে যদি চিকিৎসা করানো হয় তাহলে এই রোগের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। কিন্তু যদি সময় মতো চিকিৎসা না করানো হয় তাহলে ক্যান্সারের জীবাণু পুরো শরীরে ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকে।
এর ফলে রোগীর মৃত্যুর
ঝুঁকি দেখা দিতে পারে।
তাই ব্রেন ক্যান্সার থেকে বাঁচতে হলে
আমাদেরকে উপরিউক্ত বিষয় গুলো ঠিক মত অনুসরণ করতে হবে এবং চিকিৎসকের দেয়া নির্দেশনা গুলো ঠিক মত মেনে চলতে হবে।
Tags:
disease