- ডায়াবেটিস কী ? এবং কত প্রকার ?
- ডায়াবেটিস কি কারণে হয় ?ডায়াবেটিস সাধারণত কাদের হয়
- ডায়াবেটিসের লক্ষণ গুলো কি কি ?ডায়াবেটিস প্রতিরোধের উপায়
- ঔষধ ছাড়া কিভাবে ডায়াবেটিস নিয়ত্রণে রাখা যায় ?
ডায়াবেটিস কী? What is diabetes?
ডায়াবেটিস (Diabetes) হল একটি বহুমূত্র রোগ, মধুমেহ হরমোন সংশ্লিষ্ট রোগ। এটি ‘ডায়াবেটিস মেটিলাস’ নামেও পরিচিত। আমেরিকান ডায়াবেটিস অ্যাসোসিয়েশন বলছে, ডায়াবেটিস এমনই একটি রোগ, যা কখনো সারেনা। কিন্তু সচেতনতার মাধ্যমে এই রোগকে সহজেইনিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।
অর্থাৎ এই রোগ হলে তা কখনই ভাল হবে না। তবে কিছু নিয়ম-কানুন অনুযায়ী চললে এই ডায়াবেটিজকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
ডায়াবেটিস কি কারণে হয়? What causes diabetes?
অগ্নাশয়ের ‘ আইলেটস অফ ল্যাঙ্গার হ্যানস– এর বিটা কোষ থেকে ইনসুলিন হরমোন নিঃসৃত হয়।ইনসুলিন হল এমন একধরনের হরমোন যার কাজ হলো এই গ্লুকোজকে মানুষের দেহের কোষগুলোয়পৌঁছে দেওয়াএরপর সেই গ্লুকোজ ব্যবহার করে শরীরের কোষগুলো শক্তি উৎপাদন করে।এই শক্তি দিয়েই মানুষ প্রতিদিনের কাজকর্ম করে থাকে তাই যখন এই গ্লুকোজ শরীরেরকোষে পৌঁছাবে না, তখন স্বাভাবিক ভাবেই মানুষের দৈনন্দিন কাজ ব্যাহত হবে।
কারওডায়াবেটিস হলে তার শরীরের থেকে ইনসুলিন হরমোনের নিঃসরণ কমে যায় এর ফলে দেহের কোষে গ্লুকোজ পৌঁছাতে পারে না। এতে করে রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ বেড়ে যায়।
ডায়াবেটিস কাদের হয়ে থাকে?
নারী- পুরুষ উভয়ের যে কোন বয়সেডায়াবেটিস হতে পারে ।সাধারণত দুই ধরনের মানুষের মধ্যে এই রোগের প্রবণতাবেশি থাকে।
১. যাদের বংশে এই রোগ আছেএবং
২. মধ্য বয়সী, মেদপ্রধান এবং হাইপারটেনশনে যারা ভুগছেন। এছাড়াও অন্যান্য বিভিন্ন কারণে ডায়াবেটিস হতে পারে।
ডায়াবেটিসের লক্ষণ গুলো কি ? (Symptoms of diabetes)
ডায়াবেটিস রোগের বেশ কিছু লক্ষণ রয়েছে। আমেরিকান ডায়াবেটিস অ্যাসোসিয়েশনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, কিছু বিষয়ে খেয়াল রাখলে সহজেই চিহ্নিত করা যায় ডায়াবেটিস। আর ডায়াবেটিস চিহ্নিতহলে তখনই নিয়ন্ত্রণমূলক পদক্ষেপ নিতে হবে আপনাকে। ডায়াবেটিসের লক্ষণগুলো নিচে উল্লেখ করা হলো।
১. রোগের শুরুতে ঘন ঘন প্রস্রাবহওয়া এবং প্রস্রাবের সময় মূত্রদ্বার জ্বালা করতে পারে।
২. পানি পিপাসা বেড়ে যায়।
৩. নিয়মিত খাওয়ার পরও ঘন ঘন ক্ষুধালাগে।
৪. দেহের বিভিন্ন স্থানে চুলকানি হয়।
৫. মেয়েদের লিউকোরিয়া হয়।
৬. ডায়াবেটিস রোগী সামান্য কারণে উত্তেজিত হয়ে পড়ে
৭. চোখে ঝাপসা দেখে ,দৃষ্টিশক্তি কমে যায়
৮. শরীরের বিভিন্ন স্থানের কাটাছেঁড়া সহজে নিরাময় হয় না
৯. প্রচুর খাওয়া সত্ত্বেও ওজন কমে যায়
১০. হাতে-পায়ে ব্যথা হয় বা মাঝেমাঝে অবশ হয়ে যায়।
১১. ব্লাড প্রেসার বেড়ে যায়, অনেকের চুল পড়ে যায়।
১২.ঘন ঘন প্রস্রাবহওয়ার কারণে রোগীর শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণ গ্লুকোজ বের হয়ে যায়। এর ফলে প্রয়োজনীয়শক্তি উৎপাদন করতে পারে না দেহের কোষগুলো।এ কারণে রোগীঅতিরিক্ত দুর্বলতা অনুভব করেন।
ডায়াবেটিস কত প্রকার কি কি? ( Diabetes Type)
ডায়াবেটিস সাধারণত দুই প্রকারের হয়ে থাকে। যেমন-
* টাইপ-১ ডায়াবেটিস
* টাইপ-২ ডায়াবেটিস
টাইপ-১ ডায়াবেটিস (Type-1 Diabetes)
এটিসাধারণত তরুণদের হয়ে থাকে এবং এটি খুব দ্রুত দেখা দেয়। তবে টাইপ-১ ডায়াবেটিসের কারণএখনো জানা যায় নি। চিকিৎসকদের মতে টাইপ-১ ডায়াবেটিস টাইপ-২ এর চেয়েঅনেক কম দেখা যায়।
রোগেরলক্ষণঃ
সাধারণতযাদের ছোটবেলা থেকে ইনসুলিনেরমাত্রা খুবই কম থাকে অথবাএকদমই থাকে না তাদেরই সাধারণতটাইপ-১ ডায়াবেটিস হয়েথাকে।ছোটবেলা থেকে একজন মানুষের শরীরে যদি ইনসুলিন কম থাকে তাহলেতাদের টাইপ-১ ডায়াবেটিস এররোগী বলা হয় এরকম ডায়াবেটিস আন্টায়াবুবস রোগীদের জন্য কৃত্রিমভাবে ইনসুলিন সরবরাহ করা অত্যন্ত প্রয়োজন। টাইপ-১ ডায়াবেটিস বাJuvenile Diabetes রোগীদেরজন্য ইনসুলিন ছাড়া এর কোন ওষুধনেই। এদের যদি বেঁচে থাকতে হয়তাহলে ইনসুলিননিয়ে বাঁচতে হবে। টাইপ-১ ডায়াবেটিস সাধারণতহয়ে থাকে ১৫-৩০ বছরেরমধ্যে, কারো আবার আগেও হতে পারে। দক্ষিণ এশিয়াতে এই ডায়াবেটিসের ঝুঁকিবেশি। টাইপ-১ ডায়াবেটিস রোগীরশরীরে ইনসুলিন একদমই থাকে না।
চিকিৎসাঃ
টাইপ-১ ডায়াবেটিস রোগীরশরীরে ইনসুলিন একদমই থাকার না কারণে তাদেরকেঅবশ্যই ইনসুলিন নিতে হবে। তাছাড়াশরীরে রক্তের শর্করার পরিমাণ খুব থাকার কারণে তাড়াতাড়ি বৃদ্ধি পেলে অল্প কিছুক্ষণের ভিতরে অম্লজাতীয় বিষক্রিয়ায় রোগী অজ্ঞান হয়ে মৃত্যুও হতে পারে।
ইনসুলিনরক্তের শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখে, টাইপ-১ ডায়াবেটিস রোগীরশরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণ ইনসুলিন উৎপন্ন হয় না হওয়ার কারণেতাদের বাহিরের থেকে ইনসুলিন শরীরের ভিতরে প্রবেশ করানো হয়। টাইপ-১ ডায়াবেটিস জিনগতকারণে হয়ে থাকে। HLADR 3 এবং HLADR 4 নামের এই দুটি জিনেরকারণে হয়। ডায়াবেটিস এমন এক ধরনের রোগযা অটোইমিউনিটির জন্য বিটা কোষ ধ্বংশের কারণে হয়ে যায়। অনেক সময় গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস ধরা পড়ে তখন মা ও শিশুউভয় ঝুঁকিতে পড়তে পারে , এদের যথাযথ চিকিৎসা দেয়া প্রয়োজন।
টাইপ-২ ডায়াবেটিস (Type-2 Diabetes)
টাইপ-২ ডায়াবেটিস সাধারণত৩৫-৪০ বছরের পরেহয়ে থাকে। এর সঠিক কারণও জানা জায় না।
রোগেরলক্ষণঃ
টাইপ-২ ডায়াবেটিস হয়যখন অগ্ন্যাশয় থেকে শরীরের প্রয়োজন অনুযায়ী ইনসুলিন তৈরি করতে পারে না কিংবা উৎপন্নকম হয়। এ ধরনের ডায়াবেটিসদেখা দিলে ইনসুলিন ব্যবহার না করে বিশেষপর্যবেক্ষণের সাহায্যে স্বাভাবিক জীবন যাপন করা সম্ভব বলে জানা গেছে। বর্তমানে প্রায় ৯৫% টাইপ-২ ডায়াবেটিস রোগীরয়েছে। টাইপ-২ বাAdult Onset Diabetes এইডায়াবেটিস বংশগত হতে পারে।
চিকিৎসাঃ
টাইপ-২ ডায়াবেটিস ইনসুলিনছাড়াও নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব, ব্যায়াম ও ওষুধ গ্রহণকরে নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। এই ডায়াবেটিস হলেচিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী খেতে হবে।
টাইপ-২ ডায়াবেটিস এরআরেকটি ওষুধ হলো INSULIN যখন কোন ওষুধ যখন কাজ নাকরে শরীরে তখন এই Insulin দেয়া হয়। ডায়াবেটিস রোগীকে সবসময় ব্যায়াম করতে বলা হয়ে থাকে।
টাইপ-২ ডায়াবেটিস দেখাদিলে নিয়ম মেনে জীবন যাপন করতে হবে এবং আপনার যদি এই রোগটি হয়েথাকে তাহলে আপনি ভালো কোন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী একটি সুন্দর করে খাবার তালিকা তৈরি করে নিতে পারেন। চিকিৎসকের পরামর্শঅনুযায়ী নিয়ম মেনে চলতে পারলে এবং খাবার খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ থাকবে। তখন ডায়াবেটিস নিয়ে আপনাকে বড় কোন সমস্যারসম্মুখীন হতে হবে না। নিয়ম মেনে চললে এই রোগ নিয়েদীর্ঘ দিন সুস্থ থাকা যায়। যদি নিয়মের মধ্যে থাকা যায় তাহলে ডায়াবেটিসের ওষুধ ছাড়াই সুস্থ সুন্দর জীবন যাপন করা যায়। এছাড়াও মাতৃত্বকালীনডায়াবেটিস হতে পারে।
গর্ভবতী অবস্থায় ডায়াবেটিস হলে করণীয়
অনেকসময় গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস ধরা পড়ে তখন মা ও শিশুউভয় ঝুঁকিতে পড়তে পারে , এদের যথাযথ চিকিৎসা দেয়া প্রয়োজন।
গ্লুকোজেরপরিমাণ গর্ভাবস্থায় যখন বেড়ে যায় তখন তাকে মাতৃত্বকালীন ডায়াবেটিস বলে। এই ডায়াবেটিস হলেঘাবড়ানো বা ভয় পাওয়ারকোন কারণ নেই। নিয়মিত ব্যায়াম করলে এবং সময়মত খাবার গ্রহণ করলে ডায়াবেটিস নিয়ে সুস্থ থাকা সম্ভব।
কিভাবে ঔষধ ছাড়া দ্রুত ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা যায়
চিকিৎসা যেমন জরুরী ঠিক তেমন নিয়ম অনুযায়ী চলাফেরা এবং খাদ্য গ্রহণ করাও জরুরি। যেভাবে আপনি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ এ রাখবেন:
- শর্করা জাতীয় খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে এবং এর পরিবর্তে শাকসবজিপ্রচুর খেতে বে।
- সবুজ শাকসবজি বেশি করে খেতে হবে, কারণ এ গুলোতে ক্যালোরিরপরিমাণ কম থাকে। শর্করারপরিমাণ কম থাকে এবংপ্রচুর ভিটামিন ও মিনারোল থাকেযা আমাদের দেহের জন্য অধক উপকারী ও প্রয়োজন।
- রসুন অধিক কার্যকরী। প্রতিদিন ২-৩ টারসুনের কোয়া কাঁচা খেলে শরীরে রক্তে কোলস্টেরলের মাত্রা কমে যায়। এর ফলে ডায়াবেটিসনিয়ন্ত্রণে থাকে।
- টাইম মেইনটেন করে অল্প অল্প করে খেতে হবে, কখনো পেট ভরে খাওয়া যাবে না।
- নিয়মিত প্রতিদিন ব্যায়াম করতে হবে। কমপক্ষে ৪৫-৫০ মিনিটব্যায়াম বা হাটাহাটি করতেহবে। এর ফলে শরীরেইনসুলি তৈরি হতে সাহায্য করবে।
- স্বাস্থ্য সম্মত তেল যেমন খাঁটি সরিষার তেল খাওয়া ভালো। এসব ধরনের তেল শরীরের খাদ্যের চাহিদা কমিয়ে দেয়, যার ফলে ক্ষুধা কম লাগে আরঅতিরিক্ত খাদ্য গ্রহণের প্রয়োজন হয় না। শরীরে অতিরিক্ত চর্বি বাড়ার সম্ভাবনা কম থাকে।
- ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ এর জন্য সামুদ্রিকমাছ খুব উপকারী। রূপচাঁদা,স্যামন, ইলিশ সহ অন্যান্য মাছখেতে হবে। এছাড়াও পাঙ্গাস, পুটি, মলা মাছ এর মতো এসিডসমৃদ্ধ মাছ এগুলো খেতে হবে।
- আপনার উচিৎ হলো প্রতি মাসে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা পরীক্ষা করা। নিয়মিত পরীক্ষা করতে না পারলেও কমপক্ষেএকবার পরীক্ষা করা দরকার। দুই তিন মাস পরপর hba1c পরীক্ষা করাবেন ।পাঁচ ছয় মাস পরপর কিডনি, লিপিডি পরীক্ষা করাবেন। এছাড়াও আপনার ডায়াবেটিস থাকলে নিয়মিতচোখ পরীক্ষা করাবেন। কেননা ডায়াবেটিসরোগীর চোখে সমস্যা হয় এবং এই রোগের কারণে চোখে ঝাঁপসা দেখে।
ডায়াবেটিস কিভাবে প্রতিরোধ করা যায়? How to prevent diabetes?
ডায়াবেটিসহলে দৈনিক খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তনের পাশাপাশি আমাদের কিছু কাজ বর্জন করতে হবে। তাহলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ রাখা আমাদের জন্য আরও সহজ হবে। যেমন-
দ্রুতঘুমানোর অভ্যাস
তাড়াতাড়িঘুমিয়ে পড়তে হবে এবং খুব সকালে ঘুম থেকে উঠতে হবে। ভোরে ঘুম থেকে উঠে হাঁটতে হবে এবং ব্যায়াম করতে হবে।
প্রফুল্লথাকা
সবসময়চেষ্টা করতে হবে হাসি খুশি এবং দুশ্চিন্তা মুক্ত থাকতে কারণ টেনশন করলে ডায়াবেটিস অধিক বেড়ে যায়।
মিষ্টিজাতীয় খাবার পরিহার করা
মিষ্টিজাতীয় খাবার খাওয়া যাবে না। কারণ এসব খাবারে প্রচুর পরিমাণ শর্করা ও চিনি থাকেযার ফলে এই শর্করা ওচিনি জাতীয় খাবার রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে যা ডায়াবেটিস রোগীদেরজন্য ক্ষতিকর।
অতিরিক্ততেল যুক্ত খাবার পরিহার করা
অতিরিক্ততেল যুক্ত খাবার পরিহার করতে হবে। কারণ অতিরিক্ত তেলে ভাজা খাবার অ্যাসিডিটি বৃদ্ধি করে রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণও বৃদ্ধি করে তাই এ সব তেলেভাজা খাবার খাওয়া বন্ধ করতে হবে।
ফাইবারজাতীয় খাবার বর্জন
চিনি, গম, ভুট্টা দিয়ে তৈরি খাবার বর্জন করতে হবে কারণ রক্তে মাত্রাতিরিক্ত শর্করা থেকে গ্লুকোজের পরিমাণ বাড়ে। আর এগুলো হলোডায়াবেটিসের মূল হওয়ার কারণে শর্করা জাতীয় খাবার বর্জন করতে পারলে রক্তে গ্লুকোজ জমা হবে না। এতে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।
অ্যালকোহলযুক্ত খাবার পরিহার করা
সবধরনের অ্যালকোহল জাতীয় খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে কারণ এসব পানীয় বা অ্যালকোহল জাতীয়খাবারের মধ্যে উচ্চ মাত্রার গ্লুকোজ মিশানো থাকে। আর এগুলো সরাসরিরক্তে পৌছে যায়।
ফাস্টফুড পরিহার
বাজারেবিভিন্ন রকমের ফলের জুস পাওয়া যায় এসব খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। এসব খাবারে চিনি মিশানো থাকে এবং ডায়াবেটিস রোগীর জন্য ক্ষতিকর।
যেসমস্ত খাবার খেলে ওজন বাড়ে সে সমস্ত খাবারপরিহার করতে হবে, করণ ওজন বৃদ্ধি পেলে ডায়াবেটিস রোগীর জীবন ঝুঁকিতে পড়তে পারে।
পরিশেষে আমরা বলতে পারি যে,
রোগী যদি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সঠিক ব্যবস্থা গ্রহণ না করেন, তাহলে তার রক্তনালি, স্নায়ু, কিডনি, চোখ ও হৃদ্যন্ত্রের সমস্যাসহ নানা ধরনের শারীরিক জটিলতা দেখা দিতে পারে । ডায়াবেটিস মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ভালোহয় না এবং এর থেকে শরীরে বিভিন্ন ধরনের রোগ হয়ে থাকে।
ডায়াবেটিস বলতে গেলে সব রোগের বাসা,ডায়াবেটিস একটি দূরারোগ্য ব্যাধি ডায়াবেটিস রোগী নিয়ম মেনে জীবন যাপন করতে পারলে টাইপ-২ ডায়াবেটিস এরক্ষেত্রে ও ইনসুলিন ব্যবহারের দরকার নেই। দীর্ঘদিন সুন্দর জীবন যাপন করা যায় এবং সুস্থ্য থাকা যায় তাই ডায়াবেটিস রোগীকে সুস্থ্য থাকতে হলে অবশ্যই নিয়ন্ত্রিত জীবন যাপন ডাক্টরের পরামর্শক মেনে চলা আবশ্যক।